বাণী

নিশি জেগে আমি গান শোনাবো
বন বিহগ যদি মাগে বিদায়
আমার অন্তর মধু পিয়াবো
পিয়াল ফুলের পিয়ালায়।।
বেল ফুল যদি যায় ঝরে
প্রেম ফুল দেব ডালি ভ’রে
মাধবী কুঞ্জ রচিব হিয়ায়
ফাল্গুন যদি ফিরে যায়।।
যদি নাহি বয় দখিনা বাতাস
আমার আছে অঞ্চল আছে কেশ পাশ।
যায় ডুবে যাক আকাশে চাঁদ
মোর চাঁদ যেন নাহি ডুবে যায়।।

বাণী

জনম জনম তব তরে কাঁদিব।
যত হানিবে হেলা ততই সাধিব।।
	তোমারি নাম গাহি’ 
	তোমারি প্রেম চাহি’,
ফিরে ফিরে নিতি তব চরণে আসিব।।
জানি জানি বঁধু, চাহে যে তোমারে,
ভাসে সে চিরদিন নিরাশা-পাথারে।
	তবু জানি হে স্বামী
	কোন্ সে-লোকে আমি,
তোমারে পাব বুকে বাহুতে বাঁধিব।।

১. যত করিবে, ২. ফিরে ফিরে আমি তব চরণে আসিব, ৩. জীবন-স্বামী

বাণী

শুধু নামে যাঁহার এত মধু সে বঁধু কেমন
শুধু নাম শুনে যাঁর জাগে জোয়ার পরানে এমন।।
	শুধু যাহার বাঁশির সুরে
	আমার এত নয়ন ঝুরে
ওগো না জানি তার রূপ কেমন মদন-মোহন।।
সে বুঝি লো' অপরূপ সে চির-নতুন
বাঁশির সুরের মতো আঁখি-সকরুণ।
	তারে আমি দেখি যদি
	কাঁদিব কি নিরবধি
ওগো, যেমন ক'রে ঐ যমুনা কাঁদে অনুক্ষণ।।

বাণী

টলমল টলমল পদভরে
বীরদল চলে সমরে॥
খরধার তরবার কটিতে দোলে
রণন ঝনন রণ-ডঙ্কা বোলে
ঘন তূর্য-রোলে শোক-মৃত্যু ভোলে
দেয় আশিস সূর্য সহস্র করে॥
চলে শ্রান্ত দূর-পথে মরু দুর্গম পর্বতে
চলে বন্ধুবিহীন একা, মোছে রক্তে ললাট-কলঙ্ক-লেখা।
কাঁপে মন্দিরে ভৈরবী -  এ কি বলিদান!
জাগে নিঃশঙ্ক শঙ্কর ত্যজিয়া শ্মশান!
দোলে ঈশান মেঘে কাল প্রলয় নিশান!
বাজে ডম্বরু, অম্বর কাঁপিছে ডরে॥

বাণী

ফিরে আয়, ঘরে ফিরে আয়
পথহারা, ওরে ঘর-ছাড়া,
	ঘরে আয় ফিরে আয়।।
ফেলে যাওয়া তোর বাঁশরি, রে কানাই —
কাঁদে লুটায়ে ধুলায়,
	ফিরে আয় ঘরে আয়।।
ব্রজে আয় ফিরে ওরে ও কিশোর
কাঁদে বৃন্দাবন কায়দে রাখা তোর
বাঁধিব না আর ওরে ননী-চোর
	অভিমানী ফিরে আয়।।

বাণী

দোপাটি লো, লো করবী, নেই সুরভি রূপ আছে
রঙের পাগল রূপ পিয়াসি সেই ভালো আমার কাছে।।
	গন্ধ ফুলের জলসাতে তোর
	গুণীর সভায় নেইকে আদর
গুল্ম বনে দুল হয়ে তুই, দুলিস একা ফুল গাছে।।
লাজুক মেয়ে পল্লী বধূ জল নিতে যায় একলাটি
করবী নেয় কবরীতে বেণীর শেষে দোপাটি
	গন্ধ ল'য়ে স্নিগ্ধ মিঠে
	আলো ক'রে থাকিস ভিটে,
নেই সুবাস, আছে গায়ে কাঁটা, সেই গরবে মন নাচে।।