মনে পড়ে আজ সে কোন্ জনমে
বাণী
মনে পড়ে আজ সে কোন জনমে বিদায় সন্ধ্যাবেলা – আমি দাঁড়ায়ে রহিনু এপারে তুমি ওপারে ভাসালে ভেলা।। সেই সে বিদায় ক্ষণে শপথ করিলে বন্ধু আমার, রাখিবে আমারে মনে, ফিরিয়া আসিবে খেলিবে আবার সেই পুরাতন খেলা।। আজো আসিলে না হায়, মোর অশ্রুর লিপি বনের বিহগী দিকে দিকে লয়ে যায়, তোমারে খুঁজে না পায়। মোর গানের পাপিয়া ঝুরে গহন কাননে তব নাম লয়ে আজো পিয়া পিয়া সুরে; গান থেমে যায়, হায় ফিরে আসে পাখী বুকে বিঁধে অবহেলা।।
আনন্দ রে আনন্দ আনন্দ আনন্দ
বাণী
আনন্দ রে আনন্দ, আনন্দ আনন্দ, দশ হাতে ঐ দশ দিকে মা ছড়িয়ে এলো আনন্দ। ঘরে ফেরার বাজল বাঁশি, বইছে বাতাস সুমন্দ॥ আমার মায়ের মুখে হাসি, শরত-আলোর কিরণরাশি, কমল বনে উঠছে ভাসি, মায়ের গায়ের সুগন্ধ॥ উঠলো বেজে দিগ্বিদিকে ছুটির মাদল মৃদঙ্গ, মনের আজি নাই ঠিকানা, যেন বনের কুরঙ্গ। দেশান্তরী ছেলেমেয়ে, মায়ের কোলে এলো ধেয়ে, শিশির নীরে এলো নেয়ে স্নিগ্ধ অকাল বসন্ত॥
এসো হৃদি-রাস-মন্দিরে এসো
বাণী
এসো হৃদি-রাস-মন্দিরে এসো হে রাসবিহারী কালা। মম নয়নের পাতে রাখিয়াছি গেঁথে অশ্রু-যূথীর মালা।। আমি ত্যাজিয়াছি কবে লাজ-মান-কুল বহি’ কলঙ্ক এসেছি গোকুল, আমি ভুলিয়াছি ঘর শ্যাম নটবর কর মোরে গোপবালা।। আমার কাঁদন-যমুনার নদী শ্যাম হে ভাঁটি টানে শুধু বহে নিরবধি, তারে বাঁশরির তানে বহাও উজানে ভোলাও বিরহ-জ্বালা।।
আরক্ত কিংশুক কাঁপে
বাণী
আরক্ত কিংশুক কাঁপে, মালতীর বক্ষ ভরি’ চন্দ্রের অমৃত স্পর্শে উঠিতেছে শিহরি’ শিহরি’।। নীরব কোকিলের গুঞ্জন চৈত্র পূর্ণিমা রাত্রি, বাড়িয়াছে বক্ষের স্পন্দন, মোদের নাচের নূপুরের ছন্দ কভু চপল কভু মৃদুমন্দ, বসন্ত-উৎসব সজ্জা অন্তরাল হতে মৃদু ভাষে সুন্দর গুঞ্জন ধ্বনি কেন ভেসে আসে। মমতার মধু-বিন্দু ক্ষরিল মোরা মধু খেয়ে বলিলাম — আহা মরি।। ধরণীর অঙ্গ হতে বাসরের সজ্জা পড়ে খুলি’ গভীর আনন্দে মোরা চাহি দুটি আঁখি তুলি, চৈত্রের পূর্ণিমা রাত্রি এলো ফিরি প্রিয় তুমি কেন চ’লে গেলে ধীরি ধীরি। তুমি ফিরে এলে মোরা লভিতাম অমৃতের স্বাদ চন্দ্রের অমিয়া পান করি।।
নাটক : ‘মদিনা’