তুমি যে আমার আধখানি চাঁদ
বাণী
তুমি যে আমার আধখানি চাঁদ, আধখানি ঐ আকাশে। তুমি হাস যবে মোর বুকে থাকি’ ঝলকে জোছনা হাসে।। কত বেদনায় মোর হিয়াতল ঘন হয়ে আসে যেন দীঘিজল, তারি বুকে তুমি অমল কমল — দুলিছ দখিনা বাতাসে।। আমি যে বাঁধিনু খেলাঘরখানি, তুমি যে পুতুল তারি, বাহিব সেথায় তরণী আমার — তুমি যে অসীম বারি। পথগুলি মোর মিশিল যেথায় আসিনু ফিরিয়া সেই মোহনায়, ভালোবাসা তব জীবনে আমার সৌরভ হ’য়ে ভাসে।।
অগ্নি-ঋষি অগ্নি-বীণা তোমায় শুধু সাজে
বাণী
অগ্নি-ঋষি! অগ্নি-বীণা তোমায় শুধু সাজে; তাই ত তোমার বহ্নি-রাগেও বেদন-বেহাগ বাজে॥ দহন-বনের গহন-চারী — হায় ঋষি — কোন্ বংশীধারী দেশি নিঙ্ড়ে আগুন আনলে বারি, অগ্নি-মরুর মাঝে। সর্বনাশা কোন্ বাঁশি সে বুঝতে পারি না যে॥ দুর্বাসা হে! রুদ্র তড়িৎ হানছিলে বৈশাখে, হঠাৎ সে কার শুন্লে বেণু কদম্বের ঐ শাখে। বজ্রে তোমার বাজল বাঁশি, বহ্নি হল কান্না-হাসি, সুরের ব্যথায় প্রাণ উদাসী — মন সরে না কাজে। তোমার নয়ন-ঝুরা অগ্নি-সুরেও রক্তশিখা রাজে॥
মন লহ নিতি নাম রাধা শ্যাম গাহো
বাণী
মন লহ নিতি নাম রাধা শ্যাম গাহো হরি গুণ গান। তব ধন জন প্রাণ, যাহার কৃপার দান জপ তারি নাম জয় ভগবান জয় ভগবান।। জনক-জননীর স্নেহে তাঁহার হেরিস্ তুই স্নেহময়, ভাই ভগিনীর প্রীতিতে যাঁর, শান্ত মধুর পরিচয়। প্রণয়ী বন্ধুর মাঝে, যাঁর প্রেম রূপ বিরাজে; পুত্র কন্যা-রূপে সেই জুড়ায় তাপিত পরান।। তৃষ্ণা ক্ষুধায় সেই কৃষ্ণেরি লীলা, হাসে শ্যাম শস্যে কুসুমে রঙিলা; তরঙ্গে ছলছল আঁখি জল-নীলা, কল-ভাষা নদী-কলতান। দেয় দুখ্ শোক সেই, পুন সেই করে ত্রাণ। জয় ভগবান, জয় ভগবান, জয় ভগবান।।