কৃষ্ণা নিশীথ নাচে ঝিল্লির নূপুর
বাণী
কৃষ্ণা নিশীথ নাচে ঝিল্লির নূপুর বাজে। রিমিঝিমি রিমিঝিমি মৃদু আওয়াজে।। আঁধারের চাঁচর চিকুর খুলিয়া আপন মনে নাচে হেলিয়া দুলিয়া, মুঠি মুঠি হিম-কণা তারা-ফুল তুলিয়া ছুঁড়ে ফেলে ধরণী মাঝে।। তার মণি-হার খুলে পড়ে উল্কা-মানিক, তার নাচের নেশায় ঝিমায় দশ্দিক। আধো-রাতে আমি শুনি স্বপনে তার গুঞ্জন-গীত কানে-কথা গোপনে, কালো-রূপের শিখা, ওকি শ্যামা বালিকা নাচে নাচে জাগাইতে নটরাজে।।
দোলে প্রাণের কোলে প্রভূর নামের মালা
বাণী
দোলে প্রাণের কোলে প্রভূর নামের মালা। সকাল সাঁঝে সকল কাজে জপি সে নাম নিরালা।। সেই নাম বসন-ভূষণ আমারি সেই নামে ক্ষুধা-তৃষ্ণা নিবারি, সেই নাম লয়ে বেড়াই কেঁদে সেই নামে আবার জুড়াই জ্বালা।। সেই নামরেই নামাবলী গ্রহ তারা রবি শশী দোলে গগন কোলে। মধুর সেই নাম প্রাণে সদা বাজে, মন লাগে না সংসার কাজে সে নামে সদা মন মাতোয়ালা।। আদর-সোহাগ মান -অভিমান আপন মনে তার সাথে; কাঁদায়ে কাঁদি, পায়ে ধ'রে সাধি, কভু করি পূজা, কভু বুকে বাঁধি, আমার স্বামী সে ভুবন-উজালা।।
জয় দুর্গা জননী দাও শক্তি
বাণী
[ওম্ সর্বমঙ্গল্যে শিবে সর্বার্থসাধিকে। শরণ্যে ত্র্যম্বকে গৌরী নারায়ণী নমোস্তুতে।।] জয় দুর্গা, জননী, দাও শক্তি শুদ্ধ জ্ঞান দাও, দাও প্রেম-ভক্তি, অসুর-সংহারি কবচ-অস্ত্র দাও মা, বাঁধি বাহুতে।। অর্থ-বিভব দাও, যশ দাও মাগো, প্রতি ঘরে দাও শান্তি, পরম-অমৃত দাও, দূর কর’ মৃত্যু-সম বাঁচিয়া থাকার এই ক্লান্তি। শ্রান্তিবিহীন উৎসাহ দাও কর্মে নবীন দীক্ষা দাও শক্তির ধর্মে মোদের রক্ষা কর’ বরাভয় বর্মে, চিন্ময় জ্যোতি দাও প্রতি অণুতে।।
মাতৃ নামের হোমের শিখা
বাণী
মাতৃ নামের হোমের শিখা আমার বুকে কে জ্বালালো সেই শিখা আজ হরবে যেন মা ত্রিজগতের আঁধার কালো।। আজ মনে হয় দিবস যামী অমৃতেরই পুত্র আমি মা আনন্দময় হল ত্রিলোক যেদিকে চাই কেবল আলো।। সূর্য যেমন জানে না, তার আলোয় কত জগৎ জাগে, বিকার-বিহীন তেমনি আমি, জ্বলি নামের অনুরাগে। হয়তো আমার আলো লেগে নতুন সৃষ্টি উঠবে জেগে, তাই কি বিপুল আকর্ষণে সবারে চাই বাস্তে ভালো।।
যে নামে মা ডেকেছিল সুরথ
বাণী
যে নামে মা ডেকেছিল সুরথ আর শ্রীমন্ত তোরে। সেই নাম তুই শিখিয়ে দে মা, ডাকব আমি তেমনি ক’রে।। বেদ-পুরাণে যে নাম শুনি যে নাম জপে ঋষি-মুনি সেই নাম দে, যে নাম নিতে বক্ষ ভাসে অশ্রু-নীরে।। ভয় যদি তোর ভক্তি দিতে, কর মা অসুর দানব মোরে আসবি যখন শাস্তি দিতে, দেখব তোরে নয়ন ভরে।। তোর হাতে মা মরণ হলে ঠাঁই পাব যে তোরই কোলে আঘাত করে ছেলেকে মা কাঁদে যেমন বক্ষে ধরে।।