এলো রে এলো ঐ রণ-রঙ্গিণী
বাণী
এলো রে এলো ঐ রণ-রঙ্গিণী শ্রীচন্ডী, চন্ডী এলো রে এলো ঐ অসুর সংহারিতে বাঁচাতে উৎপীড়িতে ধ্বংস করিতে সব বন্ধন বন্দী, শ্রীচন্ডী, চন্ডী, এলো রে এলো ঐ॥ দনুজ দলনে চামুন্ডা এলো ঐ প্রলয় অগ্নি জ্বালি নাছিছে তাথৈ তাথৈ তাতা থৈ থৈ দুর্বলে বলে মা মাভৈঃ মাভৈঃ মুক্তি লভিবি সব শৃঙ্খল বন্দী, শ্রীচন্ডী, চন্ডী, এলো রে এলো ঐ॥ রক্ত-রঞ্জিত অগ্নি শিখায় করালী কোন্ রসনা দেখা যায়। পাতাল তলের যত মাতাল দানব পৃথিবীতে এসেছিল হইয়া মানব তাদের দন্ড দিতে আসিয়াছে চন্ডীকা সাজিয়া চন্ডী, শ্রীচন্ডী, চন্ডী এলো রে॥
ঐ নন্দন নন্দিনী দয়িতা চির-আনন্দিতা
বাণী
ঐ নন্দন নন্দিনী দয়িতা, চির-আনন্দিতা। যেন প্রথম কবির প্রথম লেখা কবিতা ॥ তব চরণের নূপুরধ্বনি মধুকর গুঞ্জর তোলে যে রণি, মন মোর ভোলে হেরি তোমারে যে গো ঐ যে যৌবন-গর্বিতা ॥ দোলায় দোদুল দুল তব নৃত্য আবেশে আকুল হয় মোর চিত্ত, নৃত্যশেষে তব পায়ের নূপুর গ্রহ তারকায় রয় আকাশের সুদূর, সুরলোক উর্বশী তুমি যে আমার রও চির-অনিন্দিতা ॥
এ কি অপরূপ রূপের কুমার
বাণী
এ কি অপরূপ রূপের কুমার হেরিলাম সখি যমুনা কূলে, তার এ সুনীল লাবনি গলিয়া গলিয়া ঢলিয়া পড়িছে গগন-মূলে ॥ যেন কমল ফুটেছে সখি, সহস্র-দল রূপে-কমল ফুটেছে, রূপের সাগর মন্থন করি’ সখি চাঁদ যেন উঠছে। সখি গো — কালো সে রূপের মাঝে হয়ে যায় হারা কোটি আলো-রাধিকা-রবি, শশী, তারা, প্রেম-যমুনার তীরে সই আমি রিবধি দেখি তারে, দেখি আর চেয়ে রই। আমি এই রূপ চেয়ে থাকি সখি জনমে জনমে জীবনে মরণে এই রূপ চেয়ে থাকি। ঐ মোহন কালোর গহন কাননে হারাইয়া যাক আঁখি ॥
চাঁদের কন্যা চাঁদ সুলতানা
বাণী
চাঁদের কন্যা চাঁদ সুলতানা, চাঁদের চেয়েও জ্যোতি। তুমি দেখাইলে মহিমান্বিতা নারী কী শক্তিমতী।। শিখালে কাঁকন চুড়ি পরিয়াও নারী, ধরিতে পারে যে উদ্ধত তরবারি, না রহিত অবরোধের দুর্গ, হতো না এ দুর্গতি।। তুমি দেখালে নারীর শক্তি স্বরূপ – চিন্ময়ী কল্যাণী, ভারত জয়ীর দর্প নাশিয়া মুছালে নারীর গ্লানি। তুমি গোলকুন্ডার কোহিনূর হীরা সম আজো ইতিহাসে জ্বলিতেছে নিরুপম, রণরঙ্গিণী ফিরে এসো, তুমি ফিরিয়া আসিলে, ফিরিয়া আসিবে লক্ষী ও সরস্বতী।।