ওরে মাঝি ভাই
বাণী
ওরে মাঝি ভাই। ও তুই, কি দুখ পেয়ে কূল হারালি অকূল দরিয়ায়॥ চোখের জল্ তুই ছাপাতে চাস্, নদীর জলে এসে, শেষে নদীই এলো চক্ষে রে তোর; তুই চলিলি ভেসে। ও তুই কলস দেখে নামলি জলে রে, এখন ডুবে দেখিস্ কলস নাই॥ ও তুই কূলে যাহার কূল পেলিনে তরী অগাধ জলে মিছে খুঁজে মরিস ওরে পাগল, তরী বাওয়ার ছলে। ও রে দুই ধারে এর চোরা বালি রে, (ও) তোর হেথায় মনের মানুষ নাই॥
ফুল বীথি এলে অতিথি
বাণী
স্ত্রী: ফুল বীথি এলে অতিথি চম্পা মঞ্জরি-কুঞ্জে পড়ে ঝরি' চঞ্চল তব পায়। পুরুষ: কুড়ায়ে সেই ঝরা ফুল, চাঁপার মুকুল গেঁথেছি মোহন-মালিকা পরাব বলিয়া তোমার গলায়।। স্ত্রী: হে রূপ-কুমার, সুন্দর প্রিয়তম এলে যে ফিরিয়া দাসীরে স্মরিয়া জীবন সফল মম। পুরুষ: পরো কুন্তলে ধরো অঞ্চলে অমিলন প্রেম-পারিজাত, স্ত্রী: কি হবে লয়ে সে ফুল-মালা যাহা নিশি ভোরে শুকায়। পুরুষ: মোছ মোছ আঁখিধার লহ বাহুর হার ভোলে অতীত ব্যথায়। উভয়ে: বিরহ অবসানে মিলন মধুর প্রিয় এ মিলন নিশি যেন আর না পোহায়।।
ঘর ছাড়াকে বাঁধতে এলি
বাণী
ঘর ছাড়াকে বাঁধতে এলি কে মা অশ্রুমতী! লীলাময়ী মহামায়া দাক্ষায়ণী সতী।। কে মাগো তুই কার দুলালী যোগীন্দ্রেরও যোগ ভুলালি, তোর ছোঁওয়াতে স্নিগ্ধ হ’ল শিবের তপের জ্যোতি।। সৃষ্টিরে তোর বাঁচাতে মা করিস্ কতই রঙ্গ, তোর মায়াতে শঙ্করেরও ধ্যান হ’ল তাই ভঙ্গ। শুদ্ধ শিবে মুগ্ধ ক’রে চঞ্চলা তুই গেলি স’রে, হরের যদি জ্ঞান হরিস্ মা মোদের কোথায় গতি। আমরা যে তোর মায়ায় অন্ধ জীবন দুর্বল মতি — ওমা কোথায় মোদের গতি।।
‘সতী’