এই আমাদের বাংলাদেশ
বাণী
এই আমাদের বাংলাদেশ এই আমাদের বাংলাদেশ যে দিকে চাই স্নিগ্ধ শ্যামল চোখ জুড়ানো রূপ অশেষ।। চন্দনিত শীতল বাতাস বয় এ দেশে নিরন্তর জোছনা সম কোমল হয়ে আসে হেথায় রবির কর জীবন হেথায় স্নেহ সরস সরল হৃদয় সহজ বেশ।। নিত্য হেথা করছে মেঘে স্বর্গ হতে শান্তি জল মাঠে ঘাটে লক্ষ্মী হেথায় ছড়িয়ে রাখে ফুল কমল। হাঙ্গোর কুমির শার্দুল সাপ খেলার সাথি এই জাতির দিল্লির যশ করল হরণ এই দেশেরি প্রতাপ বীর একদা এই দেশের ছেলে জয় করেছে দেশ বিদেশ।।
রেকর্ড: ‘প্রতাপদিত্য’, (নাটিকার: যোগেশ চৌধুরী)
এসো মা ভারত-জননী আবার
বাণী
এসো মা ভারত-জননী আবার জগৎ-তারিণী সাজে। রাজরানী মা’র ভিখারিনী বেশ দেখে প্রাণে বড় বাজে॥ শিশু-জগতেরে মায়ের মতন, তুমি মা প্রথম করিলে পালন, আজ মাগো তোরই সন্তানগণ কাঁদিছে দৈন্য-লাজে॥ আঁধার বিশ্বে তুমি কল্যাণী জ্বালিলে প্রথম জ্ঞান-দীপ আনি; হইলে বিশ্ব-নন্দিতা রানী নিখিল নর-সমাজে॥ দেখা মা পুন সে অতীত মহিমা, মুছে দে ভীরুতা গ্লানির কালিমা, রাঙায়ে আবার দশদিক-সীমা দাঁড়া মা বিশ্ব-মাঝে॥
এলো বরষা শ্যাম সরসা প্রিয়-দরশা
বাণী
এলো বরষা শ্যাম সরসা প্রিয়-দরশা।। দাদুরি পাপিয়া চাতকী বোলে নব জলধারা-হরষা।। নাচে বন-কুন্তলা যামিনী উতলা খুলে পড়ে গগনে দামিনী মেখলা, চলে যেতে ঢ’লে পড়ে অভিসারে চপল যৌবন-মদ অলসা।। একা কেতকী বনে কেকা কুহরে, বহে পূব-হাওয়া কদম্ব শিহরে। দুরন্ত ঝড়ে কোন্ অশান্ত চাহি রে ঘরে নাহি রহে মন, যেতে চায় বাহিরে, যত ভয় জাগে তত সুন্দর লাগে শ্রাবণ-ঘন-তমসা।।
এলো ঐ বনান্তে পাগল বসন্ত
বাণী
এলোঐ বনান্তে পাগল বসন্ত বনে বনে মনে মনে রং সে ছড়ায় রেচঞ্চল তরুণ দুরন্ত।। বাঁশীতে বাজায় সে বিধুর পরজ বসন্তের সুর পান্ডু কপোলে জাগে রঙ নব অনুরাগে রাঙা হ’ল ধূসর দিগন্ত।। কিশলয়ে পর্ণে অশান্ত ওড়ে তার অঞ্চল প্রান্ত পলাশ কলিতে তার ফুল ধনু লঘু ভার ফুলে ফুলে হাসি অফুরন্ত।। এলোমেলো দখিনা মলয় রে প্রলাপ বকিছে বনময় রে অকারণ মন-মাঝে বিরহের বেণু বাজে জেগে ওঠে বেদনা ঘুমন্ত।।