এসো মুরলীধারী বৃন্দাবন-চারী
বাণী
এসো মুরলীধারী বৃন্দাবন-চারী গোপাল গিরিধারী শ্যাম। তেমনি যমুনা বিগলিত-করুণা কুলু কুলু কুলু স্বরে ডাকে অবিরাম।। কোথায় গোকুল-বিহারী শ্রীকৃষ্ণ চাহিয়া পথ পানে ধরণী সতৃষ্ণ, ডাকে মা যশোদায় নীলমণি আয় আয় ডেকে যায় নন্দ শ্রীদাম।। ডাকে প্রেম-সাধিকা আজো শত রাধিকা গোপ-কোঙারি, এসো নওল-কিশোর কুল-লাজ-মান-চোর ব্রজ-বিহারী। পরি’ সেই পীতধড়া, সেই বাঁকা শিখী চূড়া বাজায়ে বেণূ আরবার এসো গোঠে, খেল সেই ছায়া-বটে চরাও ধেনু কদম তমাল-ছায়ে এসো নূপুর পায়ে ললিত বঙ্কিম ঠাম।।
এ কুল ভাঙ্গে ও কুল গড়ে
বাণী
এ-কূল ভাঙে ও-কূল গড়ে এই তো নদীর খেলা। সকাল বেলা আমির, রে ভাই (ও ভাই) ফকির, সন্ধ্যাবেলা॥ সেই নদীর ধারে কোন্ ভরসায় বাঁধলি বাসা, ওরে বেভুল, বাঁধলি বাসা, কিসের আশায়? যখন ধরলো ভাঙন পেলি নে তুই পারে যাবার ভেলা। এই তো বিধির খেলা রে ভাই এই তো বিধির খেলা॥ এই দেহ ভেঙে হয় রে মাটি, মাটিতে হয় দেহ যে কুমোর গড়ে সেই দেহ, তার খোঁজ নিল না কেহ (রে ভাই)। রাতে রাজা সাজে নাচমহলে দিনে ভিক্ষা মেগে বটের তলে শেষে শ্মশান ঘাটে গিয়ে দেখে সবাই মাটির ঢেলা এই তো বিধির খেলা রে ভাই ভব নদীর খেলা॥
এ জনমে মোদের মিলন হবে না
বাণী
এ জনমে মোদের মিলন হবে না আর, জানি জানি। মাঝে সাগর, এপার ওপার করি মোরা কানাকানি।। দুজনে দুকূলে থাকি’ কাঁদি মোরা চখা-চখি, বিরহের রাত পোহায় না আর বুকে শুকায় বুকের বাণী।। মোদের পূজা আরতি হায় চোখের জলে, গহন ব্যথায়, মোদের বুকে বাজায় বীণা বেদনারি বীণাপাণি।। হেথায় মিলন-রাতের মালা ম্লান হয়ে যায় প্রভাত বেলা, সকালে যার তরে কাঁদি, বিকালে তায় হেলাফেলা। মোদের এ প্রেম-ফুল না শুকায় নিঠুর হাতে কঠোর ছোঁওয়ায়, ব্যথার মাঝে চির-অমর মোদের মিলন-কুসুমদানি।।
এবার নবীন-মন্ত্রে হবে জননী তোর উদ্বোধন
বাণী
এবার নবীন-মন্ত্রে হবে জননী তোর উদ্বোধন। নিত্যা হয়ে রইবি ঘরে, হবে না তোর বিসর্জন।। সকল জাতির পুরুষ-নারীর প্রাণ সেই হবে তোর পূজা-বেদী মা তোর পীঠস্থান: সেথা শক্তি দিয়ে ভক্তি দিয়ে পাতবে মা তোর সিংহাসন।। সেথা রইবে নাকো ছোয়াছুয়ি উচ্চ-নীচের ভেদ, সবাই মিলে উচ্চারির মাতৃ-নামের বেদ। মোরা এক জননীর সন্তান সব জানি, ভাঙব দেয়াল, ভুলব হানাহানি দীন-দরিদ্র রইবে না কেউ সমান হবে সর্বজন, বিশ্ব হবে মহাভারত, নিত্য-প্রেমের বৃন্দাবন।।