গগনে খেলায় সাপ বরষা-বেদিনী
বাণী
গগনে খেলায় সাপ বরষা-বেদিনী। দূরে দাঁড়ায়ে দেখে ভয়-ভীতা মেদিনী।। দেখায় মেঘের ঝাপি তুলিয়া ফনা তুলি’ বিদ্যুৎ-ফণি ওঠে দুলিয়া, ঝড়ের তুব্ড়িতে বাজে তার অশান্ত রাগিণী।। মহাসাগরে লুটায় তার সর্পিল অঞ্চল দিগন্তে দুলে তার এলোকেশ পিঙ্গল ছিটায় মন্ত্রপূত ধারাজল অবিরল তন্বী-মোহিনী।। অশনি-ডমরু ওঠে দমকি’ পাতালে বাসুকি ওঠে চমকি’ তার ডাক শুনে ছুটে আসে নদীজল যেন পাহাড়িয়া নাগিনী।।
গিন্নির চেয়ে শালী ভালো
বাণী
গিন্নির চেয়ে শালী ভালো মেসোর চেয়ে মামা। আর ডাইনের চেয়ে ডুগি ভালো অর্থাৎ কিনা বামা।। একশালা সে দোশালা আচ্ছা, চন্ডুর চেয়ে গাঁজা, আর হাতের চেয়ে ভালো, তেনার হাতদিয়ে পান সাজা, আর ধাক্কার চেয়ে গুঁতো ভালো, উকোর চেয়ে ঝামা।। টিকির চেয়ে বেণী ভালো, ধূতির চেয়ে শাড়ি, আর পাঠার চেয়ে মুরগি ভালো, থানার চেয়ে ফাঁড়ি ঠুঁটোর চেয়ে নুলো ভালো, প্যান্ট চেয়ে পায়জামা।। আর পেয়াদার চেয়ে যম ভালোরে (ভাই), শালের চেয়ে বাঁশ, আর দাঁড়ির চেয়ে গোফ্ ভলো ভাই আঁটির চেয়ে শাঁস, আর ছেলের চেয়ে ছালা ভালো (ওগো), ঝুড়ির চেয়ে ধামা।। পাকার চেয়ে কাঁচা ভালো, কালোর চেয়ে ফরসা আর পেত্নীর চেয়ে ভূত ভালো ভাই, ছাড়বার থাকে ভরসা, আর ঝগ্ড়ার চেয়ে কুস্তি ভালো, কাল্লুর চেয়ে গামা।।
গোলাপ ফুলের কাঁটা আছে সে গোলাব শাখায়
বাণী
গোলাপ ফুলের কাঁটা আছে সে গোলাব শাখায়, এনছি ছিঁড়ে তায় রাতুল পরাতে তোমায় খোঁপায়। কি হবে জানিয়া গোলাব কাঁদিল কি না; হৃদয় ছিঁড়েছি যাহার, বুঝিবে না গো সে বিনা। ভুল ভাঙায়ো না আর সাকি, ঢালো শারাব-পিয়ালা। মতলব কহিব পিছে, নেশা ধরুক চোখে বালা।। জানি আমি জানে বুলবুল কেন দলিয়া চলি ফুল, ভালোবাসি যারে যতই, তারে ততই হানি জ্বালা।। তিক্ত নহে এ শারাব বিফল মোর জীবনের চেয়ে, শোনায়ো না নীতি-কথা, শোনাও খুশির গজল গেয়ে; টুটিয়া আসিবে নেশা, ঢালো শারাব-পিয়ালা।।
গোঠের রাখাল বলে দে রে
বাণী
গোঠের রাখাল, বলে দে রে কোথায় বৃন্দাবন। (যথা) রাখাল–রাজা গোপাল আমার খেলে অনুক্ষণ।। (যথা) দিনে রাতে মিলন–রাসে চাঁদ হাসে রে চাঁদের পাশে, (যা’র) পথের ধূলায় ছড়িয়ে আছে শ্রীহরি–চন্দন।। (যথা) কৃষ্ণ–নামের ঢেউ ওঠে রে সুনীল যমুনায়, (যা’র) তমাল–বনে আজো মধুর কানুর নূপুর শোনা যায়। আজো যাহার কদম ডালে বেণু বাজে সাঁঝ–সকালে, নিত্য লীলা করে যথা মদন–মোহন।।
গোধূলির রঙ ছড়ালে কে গো
বাণী
গোধূলির রঙ ছড়ালে কে গো আমার সাঁঝগগনে। মিলনের বাজে বাঁশি আজি বিদায়ের লগনে।। এতদিন কেঁদে কেঁদে ডেকেছি নিঠুর মরণে আজি যে কাঁদি বঁধূ বাঁচিতে হায় তোমার সনে।। আজি এ ঝরা ফুলের অঞ্জলি কি নিতে এলে, সহসা পূরবী সুর বেজে উঠিল ইমনে। হইল ধন্য প্রিয় মরন-তীর্থ মম সুন্দর মৃত্যু এলে বরের বেশে ষেশ জীবনে, এলে কে মোর সাঁঝ গগনে।।