নিশীথ রাতে ডাক্লে আমায়
বাণী
নিশীথ রাতে ডাক্লে আমায়, কে গো তুমি কে? কাঁদিয়ে গেলে আমার মনের বনভূমিকে, কে গো তুমি কে।। তোমার আকুল করুণ স্বরে আজকে তা’রেই মনে পড়ে, এম্নি রাতে হারিয়েছি যে হৃদয়-মণিকে।। দুয়ার খু’লে চেয়ে আছি১ তারার পানে দূরে, আর একটিবার ডাকো ডাকো তেম্নি করুণ সুরে। একটি কথা শুন্ব ব’লে রাত কেটে যায় চোখের জলে, দাও সাড়া দাও, জাগিয়ে তোলো আঁধার পুরীকে।।
১. থাকি
নীল সরসীর জলে চতুর্দশীর চাঁদ
বাণী
নীল সরসীর জলে চতুর্দশীর চাঁদ ডোবে আর উঠে গো। এলোকেশে ঢেউয়ে জড়াজড়ি ক’রে পড়ে লুটে গো।। নীল-শাড়ি-বিজড়িত কিশোরী কলসী ল’য়ে ফেরে সাঁতরি’ চাঁদ ভেবে মুদিত কুঁড়ি হেসে ওঠে ফুটে গো।। সরসির পড়শি পলাশ, পারুল সুরভিত সমীরণ হাসিয়া আকুল, কলষে কঙ্কণে রিনিঝিনি সুর বাজে-তরঙ্গে সজল বিধুর, কমলিনী হরষে ঢ’লে পড়ে পরশে অধর-পুটে গো।।
নীল কবুতর লয়ে নবীর দুলালী
বাণী
নীল কবুতর লয়ে নবীর দুলালী মেয়ে খেলে মদিনায় দেহের জ্যোতিতে তার জাফরানি পিরহান ম্লান হয়ে যায়॥ মুখে তার নবীজীর মুখেরি আদল আঁখি দুটি করুণায় সদা ঢল ঢল, মেষ শাবকেরে ধরি মধুর মিনতি করি কলেমা শোনায়॥ জুম্মার মস্জিদে কোন্ সে ভক্ত পড়ে কোরান আয়াত, অমনি সে খেলা ভুলি কচি দুটি হাত তুলে করে মোনাজাত। নীল দরিয়ার পানি নয়নে বহে ‘উম্মতে কর ত্রাণ’ কাঁদিয়া কহে হজরত কোলে তুলে ‘বেহেশ্ত্ রানী তুমি’ বলে ফাতেমায়॥