নিপীড়িতা পৃথিবী ডাকে
বাণী
নিপীড়িতা পৃথিবী ডাকে জাগো চন্ডিকা মহাকালি। মৃতের শ্মশানে নাচো মৃত্যুঞ্জয়ী মহাশক্তি দনুজ-দলনী করালি॥ প্রাণহীন শবে শিব-শক্তি জাগাও নারায়ণের যোগ-নিদ্রা ভাঙাও অগ্নিশিখায় দশদিক রাঙাও বরাভয়দায়িনী নৃমুন্ডমালি॥ শ্রী চন্ডিতে তোরই শ্রীমুখের বাণী কলিতে আবির্ভাব হবে তোর ভবানী। এসেছে কলি, কালিকা এলি কই শুম্ভ-নিশুম্ভ জন্মেছে পুন ঐ অভয়বাণী তব মাভৈঃ মাভৈঃ শুনিব কবে মাগো খর করতালি॥
নিশি-পবন নিশি-পবন
বাণী
নিশি-পবন! নিশি-পবন! ফুলের দেশে যাও ফুলের বনে ঘুমায় কন্যা তাহারে জাগাও — যাও যাও যাও।। মৌ-টুস্টুস্ মুখখানি তার ঢেউ-খেলানো চুল (ওরে) ভোমরার ঝাঁক-ঘেরা যেন ভোরের পদ্ম-ফুল হাসিতে তার মাঠের সরল বাঁশির আভাস পাও যাও যাও যাও।। চাঁপা ফুলের পুত্লি-ঘেরা চাঁপা রঙের শাড়ি তারেই দেখতে আকাশ-গাঙে (ওরে) চাঁদ দেয় রে পাড়ি। তার একটুখানি চোখের আদল বাদল-মেঘে পাও। যাও যাও যাও।। ধীরে ধীরে জাগাইয়ো তায় ঝরা-কুসুম ফেলিয়া গায় জাগলে কন্যা যেন রে মোর পত্রখানি দাও — যাও যাও যাও।।
নাচের নেশার ঘোর লেগেছে
বাণী
নাচের নেশার ঘোর লেগেছে নয়ন পড়ে ঢু’লে (লো)। বুনোফুল পড়লো ঝ’রে নাচের ঘোরে দোলন-খোঁপা খুলে (লো)।। শুনে এই মাদল-বাজা নাচে চাঁদ রাতের রাজা নাচে লো নাচে — শালুকের কাঁকাল ধ’রে তাল-পুকুরের জলে হে’লে দু’লে (লো)।। আঁউরে গেল ঝুম্কো জবা লেগে গরম গালের ছোঁওয়া বাঁশি শুনে ঘুলায় মনে কয়লা-খাদের ধোঁওয়া (লো)। সই নাচ ফুরালে ফিরে’ ঘরে, রাত কাটাব কেমন ক’রে পড়বে মনে বাঁশুরিয়ার চোখ দু’টি টুলটুলে (লো)।।