যে ব্যথায় এ অন্তর-তল নিশিদিন উঠিছে দুলে
বাণী
যে ব্যথায় এ অন্তর-তল নিশিদিন উঠিছে দুলে'। তারি ঢেউ এ সঙ্গীতে মোর মুরছায় সুরের কূলে।। ভালোবাসা তোমরা যারে দু'দিনেই ভোলো গো তারে (হায়) শরতের সজল মেঘ-প্রায় কেঁদে যাও নিমেষে ভুলে।। কঠিন পুরুষেরি মন গলিয়া বহে গো যখন বহে সে নদীর মতন চিরদিন পাষাণ-মূলে।। আলোর লাগি' জাগে ফুল, নদী ধায় সাগরে যেমন, চকোর চায় চাঁদ, চাতক মেঘ, যারে চায় তায় চাহে এই রে মন। নিয়ে যায় সুদূর অমরায় পূজে তায় বাণী-দেউলে।।
যা সখি যা তোরা গোকুলে ফিরে
বাণী
যা সখি যা তোরা গোকুলে ফিরে। যে পথে শ্যামরায় চ’লে গেছে মথুরায় কাঁদিতে দে ল’য়ে সেই পথ ধূলিরে॥ এ তো ধূলি নয়, ধূলি নয় হরি-চরণ-চিহ্ন-আঁকা এ যে হরি-চন্দন ধূলি নয়, ধূলি নয় এই ধূলি মাখিয়া, হ’য়ে পাগলিনী ফিরিব ‘শ্যাম শ্যাম’ ডাকিয়া। হব যোগিনী এই ধূলি-তিলক-আঁকিয়া॥ (সখি গো) শুনিয়াছি দূতি মুখে, প্রিয়তম আছে সুখে সেই মম পরম প্রসাদ। ভুলিয়া এ রাধিকায়, সে যদি সুখ পায় তার সে সুখে সাধিব না বাদ॥ আমার দীরঘ শ্বাসে উৎসব-বাতি তার যদি নিভে যায়। তাই ওলো ললিতা আমি হব ধূলি-দলিতা যাব না লো তার মথুরায়॥ আমি মথুরায় যাব, না গেলে মথুরাতে মোর শ্যামে আর ফিরে পাব না। (সখি গো) হারানো মানিক কভু ফিরে লোকে পায় হারানো হৃদয় ফিরে নাহি পাওয়া যায়॥
যেদিন লব বিদায়
বাণী
যেদিন লব বিদায় ধরা ছাড়ি প্রিয়ে। ধুয়ো ‘লাশ’ আমার লাল পানি দিয়ে।। শেয়র: শারাবী জমশেদী গজল ‘জানাজায়’ গাহিও আমার দিবে গোর খুঁড়িয়া মাটি খারারী ঐ শারাব-খানার! ‘রোজ-কিয়ামতে’ তাজা উঠব জিয়ে।। শেয়র: এমনি পিইব শারাব ভেসে যাব তাহার স্রোতে, উঠিবে খুশবু শারাবের আমার ঐ গোরের পার হতে; টলি’ পড়বে পথিক সে নেশায় ঝিমিয়ে।।
যাবার বেলায় ফেলে যেয়ো একটি খোঁপার ফুল
বাণী
যাবার বেলায় ফেলে যেয়ো একটি খোঁপার ফুল (প্রিয়) আমার চোখের চেয়ে চেয়ো একটু চোখের ভুল (প্রিয়)।। অধর –কোণের ঈয়ৎ হাসির ক্ষণিক আলোকে রাঙ্গিয়ে যেয়ো আমার হিয়ার গহন কালোকে যেয়ো না গো মুখ ফিরিয়ে দুলিয়ে হীরের দুল।। একটি কথা ক’য়ে যেয়ো, একটি নমস্কার, সেই কথাটি গানের সুরে গাইব বারেবার হাত ধ’রে মোর বন্ধু ব’লো একটু মনের ভুল।।
যে পেয়েছে আল্লার নাম সোনার কাঠি
বাণী
যে পেয়েছে আল্লার নাম সোনার কাঠি, তার কাছে ভাই এই দুনিয়া দুধের বাটি॥ দীন দুনিয়া দুই-ই পায় সে মজা লোটে, রোজা রেখে সন্ধ্যাবেলা শিরনি জোটে, সে সদাই বিভোর পিয়ে খোদার এশ্ক খাঁটি॥ সে গৃহী তবু ঘরে তাহার মন থাকে না, হাঁসের মতন জলে থেকেও জল মাখে না; তার সবই সমান খাঁটি সোনা এঁটেল্ মাটি॥ সবই খোদার দান ভেবে সে গ্রহণ করে, দুঃখ-অভাব সুখের মতই জড়িয়ে ধরে, ভোগ করে সে নিত্য বেহেশ্ত্ পরিপাটি॥