যেদিন রোজ হাশরে করতে বিচার
বাণী
যেদিন রোজ হাশরে করতে বিচার তুমি হবে কাজী সেদিন তোমার দিদার আমি পাব কি আল্লাজী।। সেদিন নাকি তোমার ভীষণ কাহ্হার রূপ দেখে পীর পয়গম্বর কাঁদবে ভয়ে ‘ইয়া নফসী’ ডেকে; সেই সুদিনের আশায় আমি নাচি এখন থেকে। আমি তোমায় দেখে হাজারো বার দোজখ যেতে রাজী। আল্লাহ তোমায় দেখে হাজারো বার দোজখ যেতে রাজি।। যেরূপে হোক বারেক যদি দেখে তোমায় কেহ দোজখ্ কি আর ছুঁতে পারে পবিত্র তাঁর দেহ। সে হোক না কেন হাজার পাপী হোক না বে-নামাজী।। ইয়া আল্লাহ, তোমার দয়া কত তাই দেখাবে ব’লে রোজ-হাশরে দেখা দেবে বিচার করার ছলে, — প্রেমিক বিনে কে বুঝিবে তোমার এ কারসাজি।।
যেয়ো না যেয়ো না মদিনা-দুলাল
বাণী
যেয়ো না যেয়ো না মদিনা-দুলাল হয়নি যাবার বেলা। সংসার-পাথারে, আজো দোলে পাপের ভেলা।। মেটেনি তোমায় দেখার পিয়াসা মেটেনি কদম জিয়ারত আশা হযরত, এই জমেছে প্রথম দীন-ই-ইসলাম মেলা।। ছড়ায়ে পড়েনি তোমার কালাম আজিও সকল দেশে, ফিরিয়া আসেনি সিপাহীরা তব আজও বিজয়ীর বেশে। দিনের বাদশা চাও ফিরে চাও শোক-দুর্দিনে বেদনা ভোলাও গুনাহ্গার এই উম্মতে তব হানিও না অবহেলা।।
বৈতালিক
যদি আমি তোমায় হারাই
বাণী
যদি আমি তোমায় হারাই, তুমি যেয়ো না নাথ হারিয়ে। আমি পথ হারালে ধ’রো আমায় আঁধারে হাত বাড়িয়ে।।১ ঝড়-বাদলে নিশীথ-রাতে লুকিয়ে চ’লো আমার সাথে, ফুলের কাছে নিয়ে যেয়ো কাঁটার বাধা ছাড়িয়ে।। তোমায় দেওয়া এ প্রাণ যদি অন্যে চাহি দানিতে, তুমি যেন ‘না’ বোলো না কঠোর আঘাত হানিতে। চঞ্চল মোর চিত্ত যেন তোমার পায়ে টেনে এনো তোমার পূজা শিখায়ো নাথ তুমিই পাশে দাঁড়িয়ে।।
১. অন্ধকারে ধরো আমায় সহসা হাত বাড়িয়ে।।
যখন আমার গান ফুরাবে তখন এসো
বাণী
যখন আমার গান ফুরাবে তখন এসো ফিরে ভাঙবে সভা বসবো একা রেবা নদীর তীরে।। গীত শেষে গগন তলে, শ্রান্ত-তনু পড়বে ঢলে ভালো যখন লাগবে না আর সুরের সারঙ্গীরে।। মোর কণ্ঠের জয়ের মালা তোমার গলায় নিও ক্লান্তি আমার ভুলিয়ে দিও প্রিয় হে মোর প্রিয়। ঘুমাই যদি কাছে ডেকো, হাতখানি মোর হাতে রেখো জেগে যখন খুঁজবো তোমায় আকুল অশ্রু-নীরে তখন এসো ফিরে।।