বাণী

হায় আঙিনায় সখি আজো সেই চাঁপা ফোটে।
হায় আকাশে সখি আজো কি সেই চাঁদ ওঠে।।
	সখি তাহার হাতের হেনা গাছে
	বুঝি প্রথম মুকুল ধরিয়াছে।
হায় যমুনায়, বাঁশি বাজে কি আর ছায়ানটে।।
শিয়রে জানালা খুলে দে বাহিরে চাহিয়া দেখি
আমার বাগানে আবার বসন্ত আসিয়াছে কি?
দেখি সে ডালিম ফুলে হায় আছে কি সে রঙ আগেকার।
ও-বাড়ির ছাদের টবে সই বেলফুল ফুটলো কি আবার?
	আজি আসিবে সে মনে লাগে
	তারি আসার আভাস মনে জাগে
হায় বুঝি তাই, মোর মরণ মধুর হয়ে ওঠে।।

বাণী

ঝুমঝুম ঝুমরা নাচ নেচে কে এলো গো সই লো দেখে আয়।
বৈঁচি বনে বিরহে বাউরি বাতাস বহে এলোমেলো গো।।
আঁড়বাঁশি বাজায় আড়চোখে তাকায়
তীর হানার ভঙ্গিতে ধনুক বাঁকায়
নন্দন পাহাড়ে তাহারে দেখে চাঁদ আঁউরে গেল গো।।
ঝাঁকড়া চুলের পাশে টুলটুলে চোখ হাসে কতই ছলে
মোরলা মাছ যেন খেলে বেড়ায় গো কালো জলে।
মৌটুসির মো ফেলে ভোমরা রয় তাকিয়ে
গুরুজনের মত বটের তরু দাঁড়িয়ে জট পাকিয়ে
আমলকি গাছের আড়ালে লুকিয়ে দেখি, দেখতে কি তা পেল গো (সে)।।

নাটিকাঃ‘অর্জুন বিজয়’

বাণী

		সই নদীর পারে বকুল তলায় সুবাস শীতল ছায়
(সখি)	আকুল তাহার আঁখি দুটি কাহার পানে চায়॥
		সই যা না লো দাঁড়ায়ে, কাঁটা বিঁধেছে মোর পায়ে
		তোরা দাঁড়া সখি ক্ষণেক, (সখি) ওকি হাসিস্ কেন হায়॥
		আমার কলসিটি যে ভারি, ডালে বেঁধেছে মোর শাড়ি
		তোরা বলিস ছলে হেরি ওরে (ওলো) ছি ছি একি দায়!
		যদি হেরেই থাকি ওরে, তোরা দুষিস্ কেন মোরে
ওলো		আমার আমি বশে নাই মোর (পাগল) আঁখির নেশায়॥

বাণী

কাঁদবো না আর শচীদুলাল তোমায় ডেকে ডেকে
		মোরা কাঁদবো না —
(প্রিয়) তুমি গেছ চলে তোমার প্রেম গিয়েছ রেখে 
		তাই কাঁদব না॥
	ত্যাগ যেখানে প্রেম যেখানে
	তোমার মধু-রূপ সেখানে
ওগো জগন্নাথের দেউল তোমায় রাখবে কোথায় ঢেকে॥
হল বৈরাগিনী ধরা তোমার চরণ ধূলি মেখে
তোমার মন্ত্র নিল অসীম আকাশ চাঁদের তিলক এঁকে।
	সুন্দর যা কিছু হেরি
	ওগো রূপ সে শচী-নন্দনেরি
তোমার ডাক শুনি যে আজো হৃদয়পুরীর সাগর থেকে।
তোমার ডাক শুনি যে ওহে প্রিয়
ডাক শুনি যে আজো হৃদয়পুরীর সাগর থেকে॥

বাণী

বাজিয়ে বাঁশি মনের বনে এসো কিশোর বংশীধারী।
চূড়ায় আঁধার ময়ূর-পাখা বামে লয়ে রাধাপ্যারী।।
	আমার আঁধার প্রাণের মাঝে
	এসো অভিসারের সাজে,
নয়ন-জলের যমুনাতে উজান বেয়ে ছুটুক বারি।।
এমনি চোখে তোমায় আমি দেখতে যদি না পাই হরি,
দেখাও পদ্মপলাশ আঁখি, তোমার প্রেমে অন্ধ করি’।
হরি হে, ঘুচাও এবার মায়ার বেড়ী,
	পরাও তিলক কলঙ্কেরি,
শ্যাম রাখি কি কুল রাখি’ ভাব শ্যাম হে আর সইতে নারি।।

বাণী

যার মেয়ে ঘরে ফিরল না আজ তার ঘরে তুই যা মা উমা!
আজ ঘুম নাই যে মায়ের চোখে সেই মাকে তুই জড়িয়ে ঘুমা॥
(মা)	এমন আনন্দেরই হাটে
	কেঁদে যাহার দিবস কাটে
‘মা আমি এসেছি’ বলে, সেই জননীর খা মা চুমা॥
যে মা’র বুক শূন্য আজি, কাঁদে আয় রে গোপাল বলে,
মা! তোর দুই কুমার নিয়ে, তুলে দে সেই শূন্য কোলে।
	ওমা! এই কটি দিন বিপুল স্নেহে
	তুমি বিরাজ কর প্রতি গেহে;
সকল অভাব পূর্ণ ক’রে আনন্দ দে শান্তি দে মা॥