বাণী

তোমার ফুলের মতন মন।
ফুলের মত সইতে নার একটু অযতন।।
	ভুল ক’রে এই কঠিন ধরায়
	তুমি কেন আসিলে হায়,
একটি রাতের তরে হেথায় ফুলের জীবন।।
	গাঁথ্‌বে মালা প’রবে গলায়
	অর্ঘ্য দেবে দেবতা-পায়,
ফেলে দেবে পথের ধূলায় মিট্‌লে প্রয়োজন।।

বাণী

আনন্দ-দুলালী ব্রজ-বালার সনে
			নন্দ-দুলাল খেলে হোলি!
রঙের মাতন লেগে যেন শ্যামল মেঘে
			খেলেছে রাঙা বিজলি।।
রাঙা মুঠি-ভরা রাঙা আবির-রেণু
রাঙিল পীত-ধড়া শিখি-পাখা বেণু
			রাঙিল শাড়ি কাঁচলি।।
লচকিয়া আসে মুচকিয়া হাসে
মারে আবির পিচকারি,
চাঁদের হাট তোরা দেখে যা রে দেখে যা
রঙে মাতোয়ালা নর-নারী!
শিরায় শিরায় সুরার শিহরণ
			রঙ্গে অঙ্গে পড়ে ঢলি।।

বাণী

খর রৌদ্রের হোমানল জ্বালি’ তপ্ত গগনে জাগি।
রুদ্র তাপস সন্ন্যাসী বৈরাগী।।
	সহসা কখন বৈকালি ঝড়ে
	পিঙ্গল মম জটা খু’লে পড়ে,
যোগী শঙ্কর প্রলয়ঙ্কর জাগে চিত্তে ধেয়ান ভাঙি’।।
	শুষ্ক কণ্ঠে শ্রান্ত ফটিক জল
	ক্লান্ত কপোত কাঁদায় কানন-তল,
চরণে লুটায় তৃষিতা ধরণী আমার শরণ মাগি’।।

১. মম চিত্তে মাতে নৃত্যে যোগী শঙ্কর ধ্যান ভাঙি।

বাণী

আরো কতদিন বাকি
তোমারে পাওয়ার আগে বুঝি হায়! নিভে যায় মোর আঁখি।।
কত আখি-তারা নিভিয়া গিয়াছে কাদিয়া তোমার লাগি'
সেই আখিগুলি তারা হয়ে আজো আকাশে রয়েছে জাগি
		যেন নীড়-হারা পাখি।।
যত লোকে আমি তোমারি বিরহে ফেলেছি অশ্রু-জল
ফুল হয়ে সেই অশ্রু ছুইতে চাহে, চাহে তব পদতল
		সে-সাধ মিটিবে নাকি।।

বাণী

পিয়াসী প্রাণ তারে চায়, এনে দে তা’য়।
জনম জনম বিরহী প্রাণ মম
সাথিহীন পাখি সম কাঁদিয়া বেড়ায়।।
চাঁদের দীপ জ্বালি’ খুঁজিছে আকাশ তা’রে
না পেয়ে তাহার দিশা কাঁদে সে বাদল-ধারে।
ঝরে অভিমানে ফুল তারে না-দেখতে পেয়ে,
বহে কাঁদন-নদী পাষাণ গিরি বেয়ে।
আসিব ব’লে সে গেছে চ’লে —
(আমি) আজো আছি বেঁচে তা’রি আশায়।।

বাণী

পুরুষ	:	এলে তুমি কে, কে ওগো
		তরুণা অরুণা করুণা সল চোখে।
স্ত্রী	:	আমি তব মনের বনের পথে
		ঝিরি ঝিরি গিরি-নির্ঝরিণী
		আমি যৌবন-উন্মনা হরিণী মানসলোকে।।
পুরুষ	:	ভেসে যাওয়া মেঘের সজল ছায়া
		ক্ষণিক মায়া তুমি প্রিয়া
		স্বপনে আসি' বাজায়ে বাঁশি স্বপনে যাও মিশাইয়া।
স্ত্রী	:	বাহুর বাঁধনে দিই না ধরা —
		আমি স্বপন-স্বয়ম্বরা
		সঙ্গীতে জাগাই ইঙ্গিতে ফোটাই
		তোমার প্রেমের যুঁই-কোরকে।
পুরুষ	:	আধেক প্রকাশ 
স্ত্রী	:	আধেক গোপন
পুরুষ	:	আধো জাগরণ 
স্ত্রী	:	আধেক স্বপন
উভয়ে	:	খেলিব খেলা ছায়া-আলোকে।।