বাণী

চঞ্চল সুন্দর নন্‌দ্‌ কুমার গোপী চিতচোর প্রেম্‌ মনোহর নওল কিশোর।
বাজতাহি মন্‌মে বাঁশুরি কি ঝন্‌কার, নন্‌দ্‌ কুমার নন্‌দ্‌ কুমার নন্‌দ্‌ কুমার।।
শ্রবণ-আনন্দ্‌ বিছুয়া কি ছন্দ রুনুঝুনু বোলে
নন্দ্‌কে আঙ্গ্‌নামে নন্দন চন্দ্রমা গোপাল বন্‌ ঝুমত্‌ ঝুমত্‌ ডোলে,
ডগমগ ডোলে, রাঙ্গা পাঁউ বোলে লঘু হোকে বিরাট ধরতী কা ভার।।
রূপ নেহারনে আয়ে লূকছুপ্‌ দেওতা
কোই গোপ গোপী বনা কোই বৃকশ লতা,
নদী হো বহে লাগে আনন্দ্‌কে আঁসু যমুনা জল সুঁ —
প্রণতা প্রকৃতি নিরালা সাজোয়ে, পূজা কর্‌নে কো ফুল লিয়ে আয়ে বন্‌ডার।।

বাণী

গোলাপ ফুলের কাঁটা আছে সে গোলাব শাখায়,
এনছি ছিঁড়ে তায় রাতুল পরাতে তোমায় খোঁপায়।
কি হবে জানিয়া গোলাব কাঁদিল কি না;
হৃদয় ছিঁড়েছি যাহার, বুঝিবে না গো সে বিনা।
ভুল ভাঙায়ো না আর সাকি, ঢালো শারাব-পিয়ালা।
মতলব কহিব পিছে, নেশা ধরুক চোখে বালা।।
জানি আমি জানে বুলবুল কেন দলিয়া চলি ফুল,
ভালোবাসি যারে যতই, তারে ততই হানি জ্বালা।।
তিক্ত নহে এ শারাব বিফল মোর জীবনের চেয়ে,
শোনায়ো না নীতি-কথা, শোনাও খুশির গজল গেয়ে;
টুটিয়া আসিবে নেশা, ঢালো শারাব-পিয়ালা।।

বাণী

নূপুর মধুর রুনুঝুনু বোলে।
মন-গোকুলে রুনুঝুনু বোলে।।
	কূলের বাঁধন টুটে,
	যমুনা উথলি' ওঠে,
পুলকে কদম ফোটে পেখম খোলে
	শিখী পেখম খোলে।।
ব্রজনারী কুল ভুলে'
	লুটায় সে পদমুলে
চোখে জল, বুকে প্রেম- তরঙ্গ দোলে।।
	শ্রীমতি রাধারই সাথে
	বিশ্ব ছুটেছে পথে,
হরি হরি ব'লে মাতে ত্রিভুবন ভোলে।
	নামে ত্রিভুবন ভোলে।।

বাণী

মম বন-ভবনে ঝুলন দোলনা দে দুলায়ে উতল পবনে
মেঘ-দোলা দুলে বাদল গগনে।।
আয় ব্রজের ঝিয়ারি পরি' সুনীল শাড়ি
নীল কমল কুঁড়ি দুলায়ে শ্রবণে।।
নবীন ধানের মঞ্জরি কর্ণে
তপ্ত বক্ষ ঢাকি' শ্যামল পর্ণে
ওড়না ছুপায়ে রাঙা রামধনু বর্ণে
আয় প্রেম-কুমারীরা আয় লো,
উদাসী বাঁশীর সুরে ডাকে শ্যামরায় লো।
ঝরিবে আকাশে অবিরল বৃষ্টি
শ্যাম-সখা সাথে হবে শুভ-দৃষ্টি
এই ঝুলনের মধু-লগনে।।

বাণী

আমার	মানস-বনে ফুটেছে রে শ্যামা-লতার মঞ্জরি।
সেই	মঞ্জু-বনে ফির্‌ছে রে তাই ভক্তি-ভ্রমর গুঞ্জরি।।
	সেথা	আনন্দে দেয় করতালি
		প্রেমের কিশোর বনমালী,
সেই	লতামূলে শিবের জটার গঙ্গা ঝরে ঝর্ঝরি।।
	কোটি তরু শাখা মেলি’ এই সে-লতার স্পর্শ চায়,
	শিরে ধ’রে ধন্য হ’তে এই শ্যামারই শ্যাম শোভায়।
		এই লতারই ফুল-সুবাসে
		কোটি চন্দ্র সূর্য আসে১ নীল আকাশে,
এই	লতার ছায়ায় প্রাণ জুড়াতে ত্রিলোক আছে প্রাণ ধরি’।।

১. হাসে

বাণী

বেদনার বেদীতলে পেতেছি আসন, হে দেবতা!
সেথা আর কেহ নাই আমরা দু’জন, কহিব কথা।।
	বাহির ভুবনে তব কত পূজারি
	সেথায় মনের কথা কহিতে নারি,
তাই হৃদয় দেউলে রেখে’ দিয়েছি আগল —
সেথা তোমার চরণ-তলে জানাব গোপন প্রাণের ব্যথা।।
	পূজা-মন্দির হ’তে এসে চুপে চুপে
	হে দেবতা! সাজায়েছি প্রিয় রূপে!
সবার সমুখে তাই মালা দিতে লাজ পাই —
প্রেমের বাসর ঘরে পরাব বরণ-মালা, হব প্রণতা।।