আমি মা ব’লে যত ডেকেছি
বাণী
আমি মা ব’লে যত ডেকেছি, সে-ডাক নূপুর হয়েছে ও-রাঙা পায়। মোর শত জনমের কত নিবেদন, চরণ জড়ায়ে কহিয়া যায়।। মাগো তোরে নাহি পেয়ে লোকে লোকে যত অশ্রু ঝরেছে মোর চোখে, সেই আঁখিজল জবা ফুল হয়ে, শোভা পেতে ঐ চরণ চায়।। মাগো কত অপরাধ করেছিনু বুঝি, সংহার ক’রে সে-অপরাধ, বল লীলাময়ী, মিটেছে কি তোর মুণ্ডমালিকা পরার সাধ। যে ভক্তি পায়নি চরণতল আজ হয়েছে তা বিল্বদল, মোর মুক্তির তৃষা মুক্তকেশী গো, এলোকেশ হয়ে পায়ে লুটায়।।
আনন্দ-দুলালী ব্রজ-বালার সনে
বাণী
আনন্দ-দুলালী ব্রজ-বালার সনে নন্দ-দুলাল খেলে হোলি! রঙের মাতন লেগে যেন শ্যামল মেঘে খেলেছে রাঙা বিজলি।। রাঙা মুঠি-ভরা রাঙা আবির-রেণু রাঙিল পীত-ধড়া শিখি-পাখা বেণু রাঙিল শাড়ি কাঁচলি।। লচকিয়া আসে মুচকিয়া হাসে মারে আবির পিচকারি, চাঁদের হাট তোরা দেখে যা রে দেখে যা রঙে মাতোয়ালা নর-নারী! শিরায় শিরায় সুরার শিহরণ রঙ্গে অঙ্গে পড়ে ঢলি।।
আর কত দুখ্ দেবে বল মাধব বল
বাণী
আর কত দুখ্ দেবে, বল মাধব বল বল মাধব বল। দুখ্ দিয়ে যদি সুখ পাও তুমি কেন আঁখি ছলছল॥ তব শ্রীচরণ তলে আমি চাহি ঠাঁই, তুমি কেন ঠেল বাহিরে সদাই; আমি কি এতই ভার এ জগতে যে, পাষাণ তুমিও টল॥ ক্ষুদ্র মানুষ অপরাধ ভোলে তুমি নাকি ভগবান, তোমার চেয়ে কি পাপ বেশি হ’ল (মোরে) দিলে না চরণে স্থান। হে নারায়ণ! আমি নারায়ণী সেনা, মোরে কুরুকুল দিতে ব্যথা কি বাজে না, (যদি) চার হাতে মেরে সাধ নাহি মেটে দু’চরণ দিয়ে দ’ল॥
আমি গো-রাখা রাখাল
বাণী
আমি গো-রাখা রাখাল। যারা গোপের মতন চির-সরলমন — তাদেরি সাথে আমি খেলি চিরকাল গো।। নয়ন বুঁজে ধ্যানী আমারে খুঁজে যে গিরি-গুহায়, (সেই) গিরি ধরিয়া রহি গিরিধারী ওরা দেখিতে না পায়। আমি নন্দ-লালার বেশে কাছে আসি মৃদু হেসে, ওরা ভাবে হরি শুধু বিপুল বিশাল।। (ওরা প্রেম যে পায়নি, ওরা সহজে গোপীর মত ভালোবেসে চায়নি প্রেম যে পায়নি!)
নাটক : ‘অর্জুন-বিজয়’