বাণী

আমার মা ত্বং হি তারা
তুমি ত্রিগুণধরা পরাৎপরা
মা ত্বং হি তারা।
আমি জানি মা ও দীনদয়াময়ী
তুমি দুর্গমেতে দুঃখহরা,
মা ত্বং হি তারা।
তুমি জলে তুমি স্থলে তুমি আদ্যমূলে গো মা,
আছ সর্বঘটে অর্ঘ্যপুটে সাকার আকার নিরাকারা
মা ত্বং হি তারা।
তুমি সন্ধ্যা তুমি গায়ত্রী তুমি জগদ্ধাত্রী গো মা
অকুলের প্রাণকর্ত্রী সদা শিবের মনোহরা।
মা ত্বং হি তারা।।

বাণী

আমার কালো মেয়ে পালিয়ে বেড়ায় কে দেবে তায় ধ'রে
তারে	যেই ধরেছি মনে করি অমনি সে যায় স'রে।।
		বনে ফাকেঁ দেখা দিয়ে
		চঞ্চলা মোর যায় পালিয়ে,
দেখি	ফুল হয়ে মা'র নূপুরগুলি পথে আছে ঝ'রে।।
তার	কণ্ঠহারের মুক্তাগুলি আকাশ-আঙিনাতে
	তারা হয়ে ছড়িয়ে আছে দেখি আধেক রাতে।
		কোন মায়াতে মহামায়ায়
		রাখবো বেঁধে আমার হিয়ায়
	কাঁদলে যদি হয় দয়া তার তাই কাদিঁ প্রাণ ভ'রে।।

বাণী

আমি যেদিন রইব না গো লইব চির-বিদায়।
চিরতরে স্মৃতি আমার জানি মুছে যাবে হায়।।
এই ধরণীর খেলা-ঘরে, মনে রাখে কে কারে
দুলে সাগর চাঁদ-সোহাগে, মরু মরে পিপাসায়।।
রবি যবে ওঠে নভে, চাঁদে কে মনে রাখে
এ কূল ভাঙে ও কূল গড়ে, মানুষের মন নদীর প্রায়।
মোর সমাধির বুকে প্রিয়, উঠবে তোমার বাসর ঘর,
হায়, অসহায় ভিখারি মন, কাঁদে তবু সেই ব্যথায়।।

বাণী

(মা)		আয় মা উমা! রাখ্‌ব এবার ছেলের সাজে সাজিয়ে তোরে।
(ওমা)		মা’র কাছে তুই রইবি নিতুই, যাবি না আর শ্বশুর ঘরে।।
				মা হওয়ার মা কী যে জ্বালা
				বুঝবি না তুই গিরি-বালা
		তোরে না দেখলে শূন্য এ বুক কী যে হাহাকার করে।।
		তোরে টানে মা শঙ্কর-শিব আসবে নেমে জীব-জগতে,
		আনন্দেরই হাট বসাব নিরানন্দ ভূ-ভারতে।
				না দেখে যে মা, তোর লীলা
				হ’য়ে আছি পাষাণ-শীলা
		আয় কৈলাসে তুই ফির্‌বি নেচে বৃন্দাবনের নূপুর প’রে।।

বাণী

আমি কি সুখে লো গৃহে রবো
সখি গো —
আমার শ্যাম হলো যদি যোগী ওলো সখি আমিও যোগিনী হবো।
আমি যোগিনী হবো
শ্যাম যে তরুর তলে বসিবে লো ধ্যানে
সেথা অঞ্চল পাতি’ রবো
আমার বঁধুর পথের ধূলি হবো
আমায় চলে যেতে দলে যাবে সেই সুখে লো ধূলি হবো
সখি গো —
আমি আমার সুখের গোধূলি বেলার
রঙে রঙে তারে রাঙাইব
তার গেরুয়া রাঙা বসন হয়ে
জড়াইয়া রবো দিবস যামী
সখি গো —
সখি আমার কঠিন এ রূপ হবে রুদ্রাক্ষেরই মালা
তার মালা হয়ে ভুলব আমার পোড়া প্রাণের জ্বালা
আমার এ দেহ পোড়ায়ে হইব চিতা ছাই
মাখিবে যোগী মোর পুড়িব সেই আশায়
পোড়ার কি আর বাকি আছে
আমার শ্যাম গেছে যোগী হয়ে ছায়া শুধু পড়ে আছে।।

বাণী

আজি		গানে গানে ঢাক্‌ব আমার গভীর অভিমান।
		কাঁটার ঘায়ে কুসুম ক’রে ফোটাব মোর প্রাণ।।
			ভুলতে তোমার অবহেলা
			গান গেয়ে মোর কাট্‌বে বেলা,
		আঘাত যত হান্‌বে বীণায় উঠ্‌বে তত তান।।
			ছিড়লে যে ফুল মনের ভুলে
			আমি গাঁথব মালা সেই ফুলে,
(ওগো)		আস্‌বে যখন বন্ধু তোমার কর্‌ব তা’রে দান।।
(আজি)		কথায় কথায় মিলায়ে মিল
		কবি রে, তোর ভরল কি দিল্‌,
তোর		শূন্য হিয়া, শূন্য নিখিল মিল পেল না প্রাণ।।