আধো-আধো বোল লাজে-বাধো-বাধো বোল
বাণী
আধো আধো বোল্ লাজে-বাধো-বাধো বোল ব’লো কানে কানে। যে কথাটি আধো রাতে মনে লাগায় দোল ব’লো কানে কানে।। যে কথার কলি সখি আজও ফুটিল না, হায় শরমে মরম-পাতে দোলে আন্মনা, হায় যে কথাটি ঢেকে রাখে বুকের আঁচল ব’লো কানে কানে।। যে কথা লুকায়ে থাকে লাজ-নত চোখে না বলিতে যে কথাটি জানাজানি লোকে যে কথাটি ধ’রে রাখে অধরের কোল লুকিয়ে ব’লো নিরালায় থামিলে কলরোল। যে কথাটি বলিতে চাও বেশভূষার ছলে যে কথা দেয় ব’লে তব তনু পলে পলে যে কথাটি বলিতে সই গালে পড়ে টোল্ — ব’লো কানে কানে।।
আজ ভারতের নব আগমনী
বাণী
আজ ভারতের নব আগমনী জাগিয়া উঠেছে মহাশ্মশান জাগরণী গায় প্রভাতের পাখি ফুলে ফুলে হাসে গোরস্থান॥ ট’লেছে অটল হিমালয় আজি সাগরে শঙ্খ উঠিয়াছে বাজি’ হলাহল শেষে উঠেছে অমৃত বাঁচাইতে মৃত মানব-প্রাণ॥ আঁধারে ক’রেছে হানাহানি যারা আলোকে চিনেছে আত্মীয় তা’রা এক হয়ে গেছে খ্রিস্টান, শিখ, হিন্দু, পারসি, মুসলমান। এই তাপসীর চরণের তলে লভিয়াছে জ্ঞান শিক্ষা সকলে আবার আসিবে তারা দলে দলে করিতে পুণ্য-তীর্থ-স্নান॥
আমার প্রিয় হজরত নবী কমলিওয়ালা
বাণী
আমার প্রিয় হজরত নবী কমলিওয়ালা যাঁহার রওশনীতে দীন দুনিয়া উজালা।। যাঁরে খুঁজে ফেরে কোটি গ্রহ তারা, ঈদের চাঁদে যাঁহার নামের ইশারা, বাগিচায় গোলাব গুল্ গাঁথে যাঁর মালা।। আউলিয়া আম্বিয়া দরবেশ যাঁর নাম খোদার নামের পরে জপে অবিরাম কেয়ামতে যাঁর হাতে কওসর-পিয়ালা।। পাপে-মগ্ন ধরা যাঁহার ফজিলতে ভাসিল সুমধুর তৌহিদ-স্রোতে, মহিমা যাঁহার জানেন এক আল্লাতা’লা।।
আমি চাই পৃথিবীর ফুল ছায়া
বাণী
ঝর্না : আমি চাই পৃথিবীর ফুল ছায়া ঢাকা ঘরে খেলা। ব্রহ্মপুত্র : আমি চাই দূর আকাশের তারা সাগরে ভাসাতে ভেলা।। ঝর্না : আমি চাই আয়ু, চাই আলো প্রাণ ব্রহ্মপুত্র : মরণের মাঝে মোর অভিযান, উভয়ে : মোরা একটি বৃন্তে যেন দু’টি ফুল প্রেম আর অবহেলা।। ব্রহ্মপুত্র : আমি বাহির ভুবনে ছুটে যেতে চাই উদাসীন সন্ন্যাসী, ঝর্না : হে উদাসীন! তব তপোবনে তাই উর্বশী হয়ে আসি। ব্রহ্মপুত্র : মোর ধ্বংসের মাঝে উল্লাস জাগে ঝর্না : তাই বাঁধি নিতি নব অনুরাগে, উভয়ে : মোরা চিরদিন খেলি এই খেলা, গ’ড়ে তোলা ভেঙে ফেলা।।
নাটক : `হরপার্বতী’ (ঝর্না ও ব্রহ্মপুত্রের দ্বৈত গান)