আমি কৃষ্ণচূড়া হতাম যদি
বাণী
আমি কৃষ্ণচূড়া হতাম যদি হতাম ময়ূর-পাখা, (সখা হে)! তোমার বাঁকা চূড়ায় শোভা পেতাম ওগো শ্যামল বাঁকা।। আমি হলে গোপীচন্দন, শ্যাম, অলকা-তিলকা হতাম; শ্যাম, ও-চাঁদমুখে অলকা-তিলকা হতাম। শ্রীঅঙ্গের পরশ পেতাম হ’লে কদম-শাখা।। আমি বৃন্দাবনে বন-কুসুম হতাম যদি কালা, কণ্ঠ ধ’রে ঝ’রে যেতাম হয়ে বনমালা। আমি নূপুর যদি হতাম হরি কাঁদতাম শ্রীচরণ ধরি’ ব্রজবুলি হলে রেইত বুকে চরণ-চিহ্ন আঁকা।।
আমার বিফল পূজাঞ্জলি অশ্রু-স্রোতে যায় যে ভেসে
বাণী
আমার বিফল পূজাঞ্জলি অশ্রু-স্রোতে যায় যে ভেসে তোমার আরাধিকার পূজা হে বিরহী, লও হে এসে॥ খোঁজে তোমায় চন্দ্র তপন পূজে তোমায় বিশ্বভুবন, আমার যে নাথ ক্ষণিক জীবন মিটবে কি সাধ ভালবেসে॥ না দেখা মোর, বন্ধু ওগো কোথায়, তুমি কোথায়, বাঁশি বাজাও একা, প্রাণ বোঝে তা অনুভবে নয়ন কেন পায় না দেখা। সিন্ধু যেমন বিপুল টানে তটিনীরে টেনে আনে, তেমনি করে তোমার পানে আমায় ডাকো নিরুদ্দেশে॥
আমার মুক্তি নিয়ে কি হবে মা
বাণী
আমার মুক্তি নিয়ে কি হবে মা, (মাগো) আমি তোরেই চাই স্বর্গ আমি চাইনে মাগো, কোল্ যদি তোর পাই॥ (মাগো) কি হবে সে মুক্তি নিয়ে, কি হবে সে স্বর্গে গিয়ে; যেথায় গিয়ে তোকে ডাকার আর প্রয়োজন নাই॥ যুগে যুগে যে লোকে মা প্রকাশ হবে তোর (আমি) পুত্র হয়ে দেখব লীলা এই বাসনা মোর। তুই, মাখাস্ যদি মাখ্ব ধূলি, শুধু তোকে যেন নাহি ভুলি; তুই, মুছিয়ে ধূলি নিবি তুলি বক্ষে দিবি ঠাঁই॥
আজও মা তোর পাইনি প্রসাদ
বাণী
আজও মা তোর পাইনি প্রসাদ আজও মুক্ত নহি। আজও অন্যে আঘাত দিলে কঠোর ভাষা কহি।।১ মোর আচরণ, আমার কথা আজও অন্যে দেয় মা ব্যথা আজও আমার দাহন দিয়ে শত জনে দহি।। শত্রুমিত্র মন্দভালোর যায়নি আজও ভেদ কেহ ব্যথা দিলে, প্রাণে আজও জাগে খেদ। আজও মাগো দুঃখে শোকে অশ্রু ঝরে আমার চোখে, আমার আমার ভাব ওগো মা আজও জাগে রহি’ রহি’।।
১. আজও অন্যে কষ্ট দিলে / কষ্ট ভাষা কহি।।