বাণী

আমার ধ্যানের ছবি আমার হজরত।
ও নাম প্রাণে মিটায় পিয়াসা,
আমার তামান্না আমারি আশা,
আমার গৌরব আমারি ভরসা,
এ দীন গোনাহগার তাঁহারই উম্মত।।
ও নামে রওশন জমীন আসমান,
ও নামে মাখা তামাম জাহান,
ও নামই দরিয়ায় বহায় উজান,
ও নাম ধেয়ায় মরু ও পর্বত।।
আমার নবীর নাম জপে নিশিদিন
ফেরেশ্‌তা আর হুর পরী জিন্‌,
ও নাম জপি আমার ভোমরায়
পাবো কিয়ামতে তাঁহার শাফায়ৎ।।

বাণী

আল্লার নাম লইয়া বান্দা রোজ ফজরে উঠিও
আল্লা নামের আহলাদে ভাই ফুলের মতন ফুটিও।।
কাজে তোমার যাইয়ো বান্দা আল্লারি নাম লইয়া
ঐ নামের গুণে কাজের ভার যাইবে হাল্কা হইয়া।
শুনলে আজান কাজ ফেলিয়া মসজিদে শির লুটিও।।
আল্লার নাম লইয়া রে ভাই কইরো খানাপিনা
হাটে মাঠে যাইয়ো না ভাই আল্লারই নাম বিনা।
ওয়াজ নসিহত হইলে মজলিসে আইসা জুটিও।।
স্ত্রী পুত্র কন্যা তোমার খোদায় সঁপে দিও
আল্লার নাম জিকির কইরা নিশীথে ঘুমিও।
এই নাম শুইনা জন্মেছ ভাই এই নাম লইয়া মরিয়ো।।

বাণী

	আমি মূলতানী গাই
শ্রোতারা বাছুর সম মুখপানে চেয়ে মম
	ঘন ঘন তোলে হাই।।
জাপটে সুরের দাড়ি
শ্বশুরের দাড়ি, ভাসুরের দাড়ি
	সাপটে তান মারি-আ-আ-আ
	জাপটে সুরের দাড়ি
পমকে ধমক দেই, মীরে মাড় চটকাই।।
হায় হায় রে হায়-
বোলতানে আবোল-তাবোল তানে খেলি হা-ডু-ডু
কিত-কিত - হা-ডু-ডু- হা-ডু-ডু-কিত-কিত-কিত-কিত-কিত
	মোড়-মোড়-মোড়
আমি	বাটের চাট মেরে সুরে করি চিত
আমি	তালের সিঙ দিয়ে বেদম গুতাই।।
মোর	মুখের হা দেখে হিপোপটেমাস
	আফ্রিকার জঙ্গলে ভয়ে করে বাস
আমি	যত নাহি গাই তার অধিক রাগাই।।

বাণী

আগুন জ্বালাতে আসিনি গো আমি এসেছি দেয়ালি জ্বালাতে
শুধু ক্রন্দন হয়ে আসিনি এসেছি চন্দন হতে থালাতে॥
	ধরায় আবার আসিয়াছি প্রিয়া
	তব মুখখানি দেখিব বলিয়া
তাই	প্রদীপ হইয়া নীরবে পুড়ি তোমারই বরণ ডালাতে॥
তব	মিলন বাসরে ঘুম ভাঙাইতে আসিনি
	তুমি কেন লাজে ওঠো আকুলি
তব	রাঙা মুখখানি রাঙাইয়া যাব চলে গো
	আমি সাঁঝের ক্ষণিক গোধূলি।
তব কাজল নয়ন-পল্লব ছায়ে, অশ্রুর মত রহিব লুকায়ে
ঝরিতে এসেছি ফুল হয়ে আমি তোমার বুকের মালাতে॥

বাণী

আল্লার নাম মুখে যাহার বুকে আল্লার নাম।
এই দুনিয়াতেই পেয়েছে সে বেহেশ্‌তের আরাম।।
সে সংসারকে ভয় করে না নাই মৃত্যুর ডর
দুনিয়াকে শোনায় শুধু আনন্দেরি খবর
দিবানিশি পান করে সে কওসরেরি জাম —
		পান করে কওসরেরি জাম।।

ইসলামী নক্সা : ‘আল্লার রহম’

বাণী

আমি দেখন-হাসি
আমায়দেখ্‌লে পরে হাসতে হাসতে পেয়ে যাবে কাশী।।
আমিহাসির হাঁসলী ফিরি করি এলে আমার হাসির দেশে
বুড়োরা সব ছোঁড়া হয়, আর ছোঁড়ারা যায় টেসে।
আমারহাস-খালিতে বাড়ি, আমি হাস্নু হানার মাসি।।
এলেআমার হাসির হেঁসেলে তার হাঁসফাঁসানি লেগে
অন্তে শুধু দন্ত থাকে শরীরটা যায় ভেগে।
(আমি)পাতি হাঁসির আন্ডা বেচি আর হাসির ময়দা খাঁসি।।
সেদিন পথে যাচ্ছিল সব রাজার হাতি ঘোড়া উট
তারা না আমায় দেখি হাসতে হাসতে
‘চোঁ চোঁ চোঁ’ এই না বলি’ অমনি দিলে ছুট
হেসে পালিয়ে গেল দড়ি ছিঁড়ে মটরু মিঞার খাসি।।