বাণী

আমায় রাখিস্‌নে আর ধ’রে।
পারের ঠাকুর (ওরে) ডাক দিয়েছে
এই পারেরই অন্ধকারে মন যে কেমন করে।।
		আয়ু-রবির অস্ত-পথে
		এলো এলো ঠাকুর কনক-রথে,
গোধূলি-রঙ হাসিটি তার ঝরছে চোখের ’পরে।।
		চোখ দু’টি মোর ভরে’ জলে
		বলব ঠাকুর নাও গো কোলে,
রইতে নারি (আমি তোমায় ছেড়ে) রইতে নারি।
আমার এ প্রাণ (পূজার ফুলের মত)
		(তোমার) পায়ে পড়ুক ঝ’রে।।

বাণী

আঁধার রাতের তিমির দুলে আমার মনে।
দুলে গো আমার ঘুমে -  জাগরণে॥
হতাশ-ভরা বাতাস বহে,
আমার কানে কি কথা কহে;
দিনগুলি মোর যায় যে ঝ’রে যায় —
ওগো যায় যে ঝ’রে ঝরা পাতার সনে॥
গিয়াছে চলিয়া সুখে যাহারা ছিল গো সাথি,
গিয়াছে নিভিয়া জ্বলিতেছিল যে শিয়রে বাতি।
স্মৃতির মালার ফুল শুকাইয়া,
একে একে হায় পড়িছে ঝরিয়া;
বিদায়-বেলা শুনিয়ে বাঁশি ক্ষণে ক্ষণে॥

বাণী

আজ ভারতের নব আগমনী জাগিয়া উঠেছে মহাশ্মশান
জাগরণী গায় প্রভাতের পাখি ফুলে ফুলে হাসে গোরস্থান॥
	ট’লেছে অটল হিমালয় আজি
	সাগরে শঙ্খ উঠিয়াছে বাজি’
হলাহল শেষে উঠেছে অমৃত বাঁচাইতে মৃত মানব-প্রাণ॥
	আঁধারে ক’রেছে হানাহানি যারা
	আলোকে চিনেছে আত্মীয় তা’রা
এক হয়ে গেছে খ্রিস্টান, শিখ, হিন্দু, পারসি, মুসলমান।
	এই তাপসীর চরণের তলে
	লভিয়াছে জ্ঞান শিক্ষা সকলে 
আবার আসিবে তারা দলে দলে করিতে পুণ্য-তীর্থ-স্নান॥

বাণী

আমি	বাণিজ্যেতে যাব এবার মদিনা শহর।
আমি	এদেশে হায় গোনাহ্গারি ছিলাম জীবন ভর।।
	পাঞ্জেগানার বাজার যেথা বসে দিনে রাতে
	দু’টি টাকা ‘আল্লাহ্’ ‘রসুল’ পুঁজি নিয়ে হাতে,
কত	পথের ফকির সওদা ক’রে হ’ল সওদাগর।।
সেথা	আজান দিয়ে কোরান প’ড়ে ফিরিওয়ালা হাঁকে
	বোঝাই ক’রে দৌলত দেয়, যে সাড়া দেয় ডাকে
ওগো	জানেন তাহার পাকে কা’বা খোদার অফিস্-ঘর।।১
	বেহেশ্‌তে রোজগারের পরে ছাড়পত্র পায়,
	পায় সে সাহস ঈমান-জাহাজ যদি ডুবে’ যায়।
ওগো	যেতে খোদার খাস্-মহলে পায় সে সিল্‌মোহর।।

বাণী

আসিয়া কাছে গেলে ফিরে
কেন আসিয়া কাছে গেলে ফিরে।।
	মুখের হাসি সহসা কেন
	নিভে গেল আঁখি নীরে
ফুটিতে গিয়া কোন কথার মুকুল
	ঝরে গেল অধরের তীরে।।
ঝড় উঠিয়াছে বাহির ভুবনে আঁধার নামে বন ঘিরে
যে কথা বলিলে না-ব'লে যাও বিদায়-সন্ধ্যা তিমিরে।।

বাণী

মজনু		:	আবার কেন বাতায়নে দীপ জ্বালিলে, হায়!
			আমার যে প্রাণ-পতঙ্গ ওই প্রদীপ পানেই ধায়॥
লায়লী	:	আমার প্রেম যে অনল শিখা জ্বলে তিমির রাতে
			পতঙ্গরে পোড়াই আমি নিজেও পুড়ি সাথে।
মজনু		:	একি ব্যথা একি নেশা 
			এই কি গো প্রেম গরল-মেশা!
লায়লী	:	তত আলো দান করে সে যত সে জ্বালায়॥

রেকর্ড-নাটিকাঃ ‘লায়লী মজনু’