দাদ্‌রা

  • মোরে মায়ার ডোরে বাঁধিস যদি মা

    বাণী

    মোরে মায়ার ডোরে বাঁধিস যদি মা
    তোরেই সে ডোর খুলতে হবে।
    খুলিয়া মায়া ডোর মুছিবি আঁখি লোর
    (আমি) আকুল হয়ে মা কাঁদব যবে।।
    ওমা তোর কালী নাম যখনই মনে হয়
    মনের কালিমা অমনি হয় লয়,
    অভাবে দুঃখে শোকে আমার কিবা ভয়;
    আমি যে গর্ব করি তোরই গরবে।।
    শত অপরাধ করে দিনের খেলায়
    ছুটে আসি তোর কোলে সন্ধ্যাবেলায়;
    সংসার পথে মা মাখি যতই ধূলি,
    মুছিয়ে রাঙা হাতে কোলে নিবি তুলি।
    আমি সেই ভরসাতে মা হাসি খেলি ভবে।।
    
  • মোরে সেইরূপে দেখা দাও হরি

    বাণী

    মোরে সেইরূপে দেখা দাও হরি।
    তুমি ব্রজের বালারে রাই কিশোরীরে
    ভুলাইলে যেই রূপ ধরি’।।
    হরি বাজায়ো বাঁশরি সেই সাথে,
    যে বাঁশি শুনিয়া ধেনু গোঠে যেত উজান বহিত যমুনাতে।
    যে নূপুর শুনে ময়ূর নাচিত এসো হে সেই নূপুর পরি।।
    নন্দ যশোদা কোলে গোপাল
    যে রূপে খেলিতে, ক্ষীর ননী খেতে এসো সেই রূপে ব্রজ দুলাল।
    যে পীত বসনে কদম তলায় নাচিতে এসো সে বেশ পরি।।
    কংসে বধিলে যে রূপে শ্যাম,
    কুরুক্ষেত্রে হলে সারথি এসো সেইরূপে এ ধরাধাম।
    যে রূপে গাহিলে গীতা নারায়ণ, এসো সে বিরাট রূপ ধরি।।
    
  • যত নাহি পাই দেবতা তোমায়

    বাণী

    যত নাহি পাই দেবতা তোমায় , তত কাঁদি আর পূঁজি।
    ত্ই লুকাও ধরা নাহি দাও, ততই তোমারে খুঁজি
    কত সে রূপের রঙের মায়ায়, আড়াল করিয়া রাখ আপনায়
    তবু তব পানে অশান্ত মন কেন ধায় নাহি বুঝি।।
    কাঁদালে যদি গো এমন করিয়া কেন প্রেম দিলে তবে
    অন্তবিহীন এ লুকোচুরির শেষ হবে নাথ কবে?
    সহে না হে নাথ বৃথা আসা যাওয়া-
    জনমে জনমে এই পথ চাওয়া
    কাঁদিয়া কাঁদিয়া ফুরায়ে গেল চোখের জলের পুঁজি।।
    

  • যদি আমি তোমায় হারাই

    বাণী

    যদি আমি তোমায় হারাই, তুমি যেয়ো না নাথ হারিয়ে।
    আমি পথ হারালে ধ’রো আমায় আঁধারে হাত বাড়িয়ে।।১
    	ঝড়-বাদলে নিশীথ-রাতে
    	লুকিয়ে চ’লো আমার সাথে,
    ফুলের কাছে নিয়ে যেয়ো কাঁটার বাধা ছাড়িয়ে।।
    তোমায় দেওয়া এ প্রাণ যদি অন্যে চাহি দানিতে,
    তুমি যেন ‘না’ বোলো না কঠোর আঘাত হানিতে।
    	চঞ্চল মোর চিত্ত যেন
    	তোমার পায়ে টেনে এনো
    তোমার পূজা শিখায়ো নাথ তুমিই পাশে দাঁড়িয়ে।।
    

    ১. অন্ধকারে ধরো আমায় সহসা হাত বাড়িয়ে।।

  • যমুনা-সিনানে চলে তন্বী

    বাণী

    যমুনা-সিনানে চলে তন্বী মরাল-গামিনী।
    লুটায়ে লুটায়ে পড়ে পায়ে বকুল কামিনী।।
    	মধু বায়ে অঞ্চল
    	দোলে অতি চঞ্চল,
    কালো কেশে আলো মেখে খেলিছে মেঘ দামিনী।।
    	তাহারি পরশ চাহি’
    	তটিনী চলেছে বাহি,’
    তনুর তীর্থে তারি আসে দিবা ও যামিনী।।
    
  • যাবার বেলায় মিনতি আমার

    বাণী

    যাবার বেলায় মিনতি আমার (শুধু) রাখিও মনে
    ডাক দিও গো সাঁঝের ছায়ে সাঙ্গোপনে।।
    যখন সন্ধ্যাবধূ আঁকবে রঙের আলপনা
    আমার হিয়া দুলবে তখন তোমার প্রদীপ সনে
    যখন নিরালাতে গাঁথবে মালা আনমনে।।
    (আমি) রইব ঘিরে তোমার মালার গন্ধ সনে (প্রিয় আমার)
    আমি দুলিয়ে যাব অলক তব মৃদু পবনে
    ওগো একটি মালা গলায় নিও আমার স্মরণে।।
    
  • যার মেয়ে ঘরে ফিরল না আজ

    বাণী

    যার মেয়ে ঘরে ফিরল না আজ তার ঘরে তুই যা মা উমা!
    আজ ঘুম নাই যে মায়ের চোখে সেই মাকে তুই জড়িয়ে ঘুমা॥
    (মা)	এমন আনন্দেরই হাটে
    	কেঁদে যাহার দিবস কাটে
    ‘মা আমি এসেছি’ বলে, সেই জননীর খা মা চুমা॥
    যে মা’র বুক শূন্য আজি, কাঁদে আয় রে গোপাল বলে,
    মা! তোর দুই কুমার নিয়ে, তুলে দে সেই শূন্য কোলে।
    	ওমা! এই কটি দিন বিপুল স্নেহে
    	তুমি বিরাজ কর প্রতি গেহে;
    সকল অভাব পূর্ণ ক’রে আনন্দ দে শান্তি দে মা॥
    
  • যারে হাত দিয়ে মালা দিতে

    বাণী

    যারে হাত দিয়ে মালা দিতে পারো নাই কেন মনে রাখো তা’রে।
    ভুলে যাও মোরে১ ভুলে যাও একেবারে।।
    আমি গান গাহি আপনার দুখে
    তুমি কেন আসি’ দাঁড়াও সুমুখে,
    আলেয়ার মত ডাকিও না আর নিশীথ –অন্ধকারে।।
    দয়া কর, মোরে দয়া কর, আর আমারে লইয়া খেলো না নিঠুর খেলা,
    শত কাঁদিলেও ফিরিবে না প্রিয় শুভ লগনের বেলা।
    আমি ফিরি পথে, তাহে কার ক্ষতি
    তব চোখে কেন সজল মিনতি,
    আমি কি ভুলেও কোনোদিন এসে’ দাঁড়ায়েছি তব দ্বারে।।
    

    ১. তারে

    গীতিচিত্র: অতনুর দেশ

  • যে নামে মা ডেকেছিল সুরথ

    বাণী

    যে নামে মা ডেকেছিল সুরথ আর শ্রীমন্ত তোরে।
    সেই নাম তুই শিখিয়ে দে মা, ডাকব আমি তেমনি ক’রে।।
    	বেদ-পুরাণে যে নাম শুনি
    	যে নাম জপে ঋষি-মুনি
    সেই নাম দে, যে নাম নিতে বক্ষ ভাসে অশ্রু-নীরে।।
    ভয় যদি তোর ভক্তি দিতে, কর মা অসুর দানব মোরে
    আসবি যখন শাস্তি দিতে, দেখব তোরে নয়ন ভরে।।
    	তোর হাতে মা মরণ হলে
    	ঠাঁই পাব যে তোরই কোলে
    আঘাত করে ছেলেকে মা কাঁদে যেমন বক্ষে ধরে।।
    
  • রক্ষা-কালীর রক্ষা-কবচ আছে আমায় ঘিরে

    বাণী

    রক্ষা-কালীর রক্ষা-কবচ আছে আমায় ঘিরে
    মায়ের পায়ের ফুল কুড়িয়ে বেঁধেছি মোর শিরে॥
    	মা’র চরণামৃত খেয়ে
    	অমৃতে প্রাণ আছে ছেয়ে,
    দুঃখ অভাব ভাবনার ভার দিয়েছি মা ভবানীরে॥
    তারা নামের নামাবলী জড়িয়ে আমার বুকে,
    মায়ের কোলে শিশুর মত ঘুমাই পরম সুখে।
    	মা’র ভক্তের চরণ ধূলি
    	নিয়েছি মোর বক্ষে তুরি
    মায়ের পূজার প্রসাদ পেতে আমি আসি ফিরে ফিরে॥
    
  • রব না কৈলাশপুরে আই য়্যাম

    বাণী

    রব না কৈলাশপুরে আই য়্যাম ক্যালকাটা গোয়িং।
    যত সব ইংলিশ ফ্যাশান আহা মরি কি লাইটনিং।।
    	ইংলিশ ফ্যাশান সবই তার
    	মরি কি সুন্দর বাহার,
    	দেখলে বন্ধু দেয় চেয়ার —
    		কাম-অন ডিয়ার গুড মর্নিং।।
    	বন্ধু আসিলে পরে
    	হাসিয়া হান্ডসেক করে,
    	বসায় তারে রেসপেক্ট করে —
    		হোল্ডিং আউট এ মিটিং।।
    	তারপর বন্ধু মিলে
    	ড্রিংকিং হয় কৌতুহলে,
    	খেয়েছ সব জাতিকুলে —
    		নজরুল এসলাম ইজ টেলিং।।
    

    ‘লেটো গান’

  • রাই বিনোদিনী দোলো ঝুলন দোলায়

    বাণী

    রাই বিনোদিনী দোলো ঝুলন দোলায়॥
    একা লাগে না ভালো
    সাথে এসে দোলো শ্যামরায়॥
    রাঙা চরণ দেখিতে পাব বলে
    ওগো দাঁড়াইয়া এই তরুতলে
    শ্যাম বাঁধিয়া বাহু ডোরে
    আশ্রয় দাও মোরে একা বড় ভয় পায়॥
    

    চলচ্চিত্রঃ ‘বিদ্যাপতি’

  • রাঙা জবার বায়না ধ’রে আমার কালো মেয়ে কাঁদে

    বাণী

    		রাঙা জবার বায়না ধ’রে আমার কালো মেয়ে কাঁদে
    সে		তারার মালা সরিয়ে ফেলে এলোকেশ নাহি বাঁধে॥
    		পলাশ অশোক কৃষ্ণচূড়ায়, রাগ ক’রে সে পায়ে গুঁড়ায়
    সে		কাঁদে দু’হাত দিয়ে ঢেকে যুগল আঁখি সূর্য চাঁদে॥
    		অনুরাগের রাঙাজবা থাক না মোর মনের বনে
    আমার	কালো মেয়ের রাগ ভাঙাতে ফিরি জবার অন্বেষণে।
    		মা’র রাঙা চরণ দেখতে পেয়ে, বলি এই যে জবা হাবা মেয়ে
    (সে)		জবা ভেবে আপন পায়ে উঠলো নেচে মধুর ছাঁদে॥
    
  • রাত্রি-শেষের যাত্রী আমি

    বাণী

    রাত্রি-শেষের যাত্রী আমি যাই চ’লে যাই একা।
    শুকতারাতে রইল আমার চোখের জলের লেখা।।
    	ফোটার আগে ঝরে যে ফুল
    	সঙ্গী আমার সেই সে-মুকুল,
    ছায়াপথে জাগে আমার বিদায় পথ-রেখা।।
    অনেক ছিল আশা আমার অনেক ছিল সাধ,
    ব্যর্থ হ’ল না পেয়ে কা’র আাঁখির পরসাদ।
    	দীপ নেভানো শূন্য ঘরে
    	এসো না আর খুঁজতে মোরে,
    তারার দেশে চন্দ্রলোকে হবে আবার দেখা।।
    
  • রুমুঝুম রুমুঝুম্ কে এলে নূপুর পায়

    বাণী

    রুমুঝুম রুমুঝুম্ কে এলে নূপুর পায়
    ফুটিল শাখে মুকুল ও রাঙা চরণ-ঘায়।।
    সে নাচে তটিনী-জল টলমল টলমল,
    বনের বেণী উতল ফুলদল মুরছায়।।
    বিজরি-জরীর আঁচল ঝলমল ঝলমল
    নামিল নভে বাদল ছলছল বেদনায়।
    তালীবন থৈ তাথৈ করতালি হানে ঐ, (হায় রে হায়)
    ‌‌‘কবি, তোর তমালী কই’ — শ্বসিছে পুবালি-বায়।।
    
  • রে অবোধ শূন্য শুধু শূন্য

    বাণী

    রে অবোধ!		শূন্য শুধু শূন্য ধূলো মাটির ধরা।
    শূন্য ঐ		অসীম আকাশ রংবেরং-এর খিলান-করা।।
    হাওয়াতে		শূন্য নিমেষ নিমেষে যার হ’য়ে শেষ।
    এসেছি		পথিক এ পর-দেশ জীবন-মৃত্যু ভরা।।
    হুরী আর		গানের প্রিয়া, সাথে তার শারাব নিয়া
    চল ঐ		সবুজ-বিথার ঝর্না-কিনার গোলাব-ঝরা।।
    এর অধিক		সুখের বিলাস স্বরগে করিসনে আশ
    সে স্বরগ		নাই রে কোথাও এমন উধাও দুখ্-পসরা।।
    
  • লক্ষ্মী মা তুই ওঠ্ গো আবার

    বাণী

    লক্ষ্মী মা তুই ওঠ্ গো আবার সাগর জলে সিনান করি’।
    হাতে ল’য়ে সোনার ঝাঁপি, সুধার পাত্রে সুধা ভরি’।।
    আন্ মা আবার আঁচলে তোর নবীন ধানের মঞ্জরি সে,
    টুনটুনিতে ধান খেয়েছে, খাজনা মাগো দিব কিসে।
    ডুবে গেছে সপ্ত-ডিঙা, রত্ন বোঝাই সোনার তরী।।
    ক্ষীরোদ-সাগর-কন্যা যে তুই, খেতে দে ক্ষীর সর মা আবার,
    পান্তা লবণ পায় না ছেলে, জননী তোর এ কোন বিচার?
    কার কাছে মা নালিশ করি, অনন্ত শয়নে হরি।।
    তোরও কি মা ধর্‌ল ঘুমে নারায়ণের ছোঁয়াচ লেগে,
    বর্গী এল দেশে মাগো, খোকারা তোর কাঁদে জেগে।
    এসে এবার ঘুম পাড়া মা, মাগো ভয়ে ক্ষিদেয় মরি।।
    কোন্‌ দুখে তুই রইলি ভুলে বাপের বাড়ি অতল-তুলে,
    ব্যথার সিন্ধু মন্থন শেষ, ভ’রল যে দেশ হলাহলে।
    অমৃত এনে সন্তানে তোর, বাঁচা মা, তোর পায়ে ধরি।।
    
  • ললাটে মোর তিলক একো মুছে বঁধুর চরণ-ধুলি

    বাণী

    ললাটে মোর তিলক একো মুছে বঁধুর চরণ-ধুলি
    আঁখিতে মোর কাজল মেখো ঘন শ্যামের বরণগুলি।।
    	বঁধুর কথা মধুর প্রিয়
    	কর্ণ মূলে দুলিয়ে দিও
    বক্ষে আমার হার পরিও বঁধুর পায়ের নূপুর খুলি।।
    তার পীত বসন দিয়ে ক'রো এই যোগিনীর উত্তরীয়
    হবে অঙ্গেরই চন্দন আমার কলঙ্ক তার মুছে নিও।
    	সে দেয় যা ফেলে মনের ভুলে
    	তাই অঞ্চলে মোর দিও তুলে
    তার বনমালার বাসি ফুলে ভ'রো আমার ভিক্ষা ঝুলি।।
    
  • লায়লী লায়লী ভাঙিয়ো না ধ্যান মজনুর

    বাণী

    লায়লী! লায়লী! ভাঙিয়ো না ধ্যান মজনুর এ মিনতি।
    লায়লী কোথায়? আমি শুধু দেখি লা এলা'র জ্যোতি।।
    পাথর খুঁজিয়া ফিরিয়াছি প্রিয়া প্রেম-দরিয়ার কূলে,
    খোদার প্রেমের পরশ-মানিক পেলাম কখন ভুলে।
    	সে মানিক যদি দেখ একবার
    	মজনুরে তুমি চাহিবে না আর
    জুলেখা-ইয়ুসুফ লাজ মানে হেরি' তাহার খুব -সুরতি।।
    মজনুরে ও যে লায়লী ভোলায় সে যে কত সুন্দর
    বুঝিবে লায়লী যদি তুমি তারে নেহার এক নজর।
    	সাধ মিটিবে না হেথা ভালোবেসে,
    	চল চল প্রিয়া লা এলা'র দেশে
    নিত্য মিলনে ভুলিব আমরা এই বিরহের ক্ষতি।।
    

  • শত জনম আঁধারে আলোকে

    বাণী

    শত জনম আঁধারে আলোকে তারকা-গ্রহে লোকে লোকে
    প্রিয়তম! খুঁজিয়া ফিরেছি তোমারে।।
    	স্বপন হয়ে রয়েছ নয়নে
    	তপন হ’য়ে হৃদয়-গগনে,
    হেরিয়া তোমারে বিরহ-যমুনা, প্রিয়তম! দুলিয়া উঠে বারে বারে।।
    হে লীলা-কিশোর! ডেকেছে আমারে তোমার বাঁশি,
    যুগে যুগে তাই তীর্থ-পথিক ফিরি উদাসী।
    	দেখা দাও, তবু ধরা নাহি দাও
    	ভালোবাস ব’লে তাই কি কাঁদাও,
    তোমারি শুভ্র পূজার-পুষ্প প্রিয়তম! ফুটিয়া ওঠে অশ্রুধারে।।