বাণী

মেঘলা-মতীর ধারা জলে কর স্নান (হে ধরণী)
স্নিগ্ধ শীতল মেঘ-চন্দনে জুড়াও তাপিত প্রাণ (হে ধরণী)।।
	তব বৈশাখী ব্রত শেষে
	শ্যাম সুন্দর বেশে
নব দেবতা এলো হেসে লহ আশিস বারি দান (হে তাপসী)।।
	তব ভূষণ-হীন উপবাস ক্ষীণ কায়
	হোক নবতর শ্যাম সমারোহে, পুষ্পিত সুষমায়।
	তীর্থ-সলিলে কৃষ্ণা
	দূর কর গো তৃষ্ণা
শ্যাম দরশ পরশ ব্যাকুলা হরষে গাহ গান (হে তপতী)।।

বাণী

মুখে তোমার মধুর হাসি হাতে কুটিল ফাঁসি।
সুন্দর চোর, চিনি তোমায় তবু ভালোবাসি।।
	শত ব্রজে কেঁদে মরে
	শত রাধা তোমার তরে,
কত গোকুল ডুবলো অকূল আঁখির নীরে ভাসি'।।
কত নারীর মন গেঁথে, নাথ, পরলে বন-মালা,
যমুনাতে ডুবালে শ্যাম কত কুলের বালা।
	দেখাও আসল হাত দু'খানি-
	করাল গদার চক্রপাণি,
তব এ দু'টি হাত ছলনা, নাথ, বাজাও যে হাতে বাঁশি।।

বাণী

মোর শ্যাম সুন্দর এসো।
প্রেমের বৃন্দাবনে এসো হে ব্রজধাম-সুন্দর এসো।।
এসো হৃদয়ে হৃদয়েশ মোর নয়নের আগে এসো হে।
মোর নব-অনুরাগে এসো শ্যাম কোটি-কাম-সুন্দর এসো।।
রস মানস গঙ্গার কূলে রসরাজ এসো এসো হে।
এসো মুরলী বাজায়ে এসো হে, এসো ময়ূর নাচায়ে এসো হে মধাব,
মধু-বনমাঝে, এসো এসো হে।।
মোর মুখের ভাষায় এসো, মোর প্রাণের আশায় এসো।
নবীন নীরদ ঘনশ্যাম রূপে রূপ-পিপাসায় এসো
এসো মদন-মোহন শোভন অভিরাম-সুন্দর এসো।।

বাণী

মহুয়া বনে লো মধু খেতে, সই,
বাহিরে চাঁদ এলো, ঘরে মোর চাঁদ কই।।
আমার নাচের সাথী কোথা পাইনে দেখা
সরে না পা ওলো নাচতে একা
সে বিনে সখী লো আমি আমার নই।।
মিছে মাদলে তাল হানে মাদলিয়া,
সে কি গেল বিদেশ, মোরে না বলিয়া।
দূরে বাঁশি বাজে পলাশ পিয়াল বনে,
বুঝি ঐ বঁধু মোর, যেন লাগে মনে
সে মোরে ভুলে নাচে কাহার সনে?
সে যে জানতো না সজনী কভু আমি বৈ।।

বাণী

	মসজিদেরই পাশে আমার কবর দিও ভাই
	যেন গোরে থেকেও মোয়াজ্জিনের আজান শুন্‌তে পাই।।
	আমার গোরের পাশ দিয়ে ভাই নামাজীরা যাবে,
	পবিত্র সেই পায়ের ধ্বনি এ বান্দা শুনতে পাবে।
	গোর আজাব থেকে এ গুণাহ্‌গার পাইবে রেহাই।।
কত	পরহেজগার খোদার ভক্ত নবীজীর উম্মত,
	ঐ মস্‌জিদে করে রে ভাই কোরান তেলাওয়াৎ।
	সেই কোরান শুনে যেন আমি পরান জুড়াই।।
কত	দরবেশ ফকির রে ভাই মস্‌জিদের আঙিনাতে
	আল্লার নাম জিকির করে লুকিয়ে গভীর রাতে।
আমি	তাদের সাথে কেঁদে কেঁদে নাম জপ্‌তে চাই
	আল্লার নাম জপ্‌তে চাই।।

বাণী

	মদিনায় যাবি কে আয় আয়।
উড়িল নিশান দিনের বিষাণ বাজিল যাহারে দরওয়াজায়।।
	হিজরাত ক’রে যে দেশে
	ঠাঁই পেলেন হজরত এসে
	খেলিতেন যথায় হেসে 
	হাসান হোসেন ফাতেমায়।।
হজরতের চার আসহাব যথা করলেন খেলাফত,
মসজিদে যাঁর প্রিয় মোহাম্মদ করতেন এবাদত;
ফুটল যথায় প্রথম ধীর খালেদের হিম্মত,
খোশ এলেহান দিতেন আজান বেলাল যথায়।।
	যার পথের ধূলির মাঝে
	নবীজীর চরণের ছোঁয়া বাজে,
	তৌহিদেরি ধ্বনি বাজে
	যার আসমানে, যার লু হাওয়ায়।।