বাণী

মন জপ নাম শ্রীরঘুপতি রাম নব দূর্বাদলশ্যাম নয়নাভিরাম!
সুরাসুর-কিন্নর-যোগী-মুনি-ঋষি-নর চরাচর যে নাম জপে অবিরাম॥
		সজল-জলদ-নীল-নবঘন কান্তি
		নয়নে করুণা, আননে প্রশান্তি।
নাম শরণে টুটে যায় শোক-তাপ-ভ্রান্তি, রূপ নেহারি মূরছিত কোটি কাম॥

বাণী

মোমের পুতুল মমীর দেশের মেয়ে নেচে যায়।
	বিহবল–চঞ্চল–পায়।।
	খর্জুর–বীথির ধারে
	সাহারা মরুর পারে
বাজায় ঘুমুর ঝুমুর ঝুমুর মধুর ঝঙ্কারে।
	উড়িয়ে ওড়না ‘লু’ হাওয়ায়
	পরী–নটিনী নেচে যায়
	দুলে দুলে দূরে সুদূর।।
সুর্মা–পরা আঁখি হানে আস্‌মানে,
জ্যোৎস্না আসে নীল আকাশে তার টানে।
	ঢেউ তুলে নীল দরিয়ায়
	দিল–দরদী নেচে যায়
	দুলে দুলে দূরে সুদূর।।

বাণী

মানবতাহীন ভারত শ্মশানে দাও মানবতা হে পরমেশ।
কি হবে লইয়া মানবতাহীন ত্রিশ কোটি মানুষ মেষ।।
		কলের পুতুল এরা প্রাণহীন
		পাষাণ আত্মা বিশ্বাসহীন,
নিজেরে ইহারা চিনে না জানে না, কেমনে চিনিবে নিজের দেশ।।
		ভারত শ্মশানে ফেরে প্রেতপাল,
		নর নাই, শুধু নর-কঙ্কাল;
এই চির অভিশপ্তের মাঝে জাগাও হে প্রভু প্রাণের রেশ।।
		ভায়ে ভায়ে হেথা নাহি প্রেমবোধ,
		কেবলি কলহ, কেবলি বিরোধ;
হে দেশ-বিধাতা, দূর কর এই লজ্জা ও গ্লানি, এ দীন বেশ।।

বাণী

মঞ্জু মধু ছন্দা নিত্যা তব সঙ্গী।
সিন্ধুর তরঙ্গ নৃত্যের কুরঙ্গী।।
গুঞ্জা বেলা পদ্ম পুঞ্জীভূত বক্ষে
অশ্রু-লাজ কুণ্ঠা শঙ্কা-ঘন চক্ষে,
অঙ্গে শ্যামাকান্তা! মন্দাকিনী-ভঙ্গী।।
অঙ্গুলিতে বন্দী অঙ্গুরিত ছন্দ
কণ্ঠে সুর-লক্ষ্মী বৃন্দাবনানন্দ,
গঙ্গা এলে বক্ষে সন্ধ্যারাগে রঙ্গী।।

বাণী

মধুর আরতি তব বিশ্ব সভাতে
নিত্য হেরি নাথ সন্ধ্যায় প্রভাতে।।
চন্দ্র, সূর্য, দীপ গগন-থালা
শ্বেত মেঘ-চন্দন, তারার মালা
মলয় সমীর পূজা-ধূপের গন্ধ
ঝরা ফুল-অঞ্জলি ধরণীর হাতে।।
শঙ্খ বাজায় তব সাগর-কল্লোল
বজ্র রবে ঘন ঘন্টার রোল
বিগ্রহ নিখিল সৃষ্টি-আঙিনায়।
(তব) শান্ত সত্ব-পাখা প্রণব-ওঙ্কার
ঝমঝম বৃষ্টিতে ঝাঁঝর ঝঙ্কার।
দেবদাসী সম কোটি গ্রহ ঘুরে ঘুরে
তোমার বন্দনা-নৃত্যে মাতে।।

বাণী

মহুয়া বনে বন-পাপিয়া
একলা ঝুরে নিশি জাগিয়া।।
ফিরিয়া কবে প্রিয় আসিবে
ধরিয়া বুকে কহিবে প্রিয়া।।
শুনি নীরবে, গগনে বসি’
কহ যে কথা বিরহী শশী,
তব রোদনে বঁধূ, এ মনে
যমুনা বহে কূল-প্লাবিয়া।।