মাধব গোবিন্দ শ্রীকৃষ্ণ মুরারি
বাণী
মাধব গোবিন্দ শ্রীকৃষ্ণ মুরারি॥ কহ নাম মুখে গাহ সুখে দুখে মণিহারই করে গেঁথে রাখ বুকে গোলকে হরি তার সখা সাথী প্যারী॥ পেল না ব্রহ্মা শিব ধেয়ানে যাহারে বাঁধিল গোকুলে গোয়ালিনী তারে যুগে যুগে সে যে প্রেমের ভিখারি॥ লীলা রসে তাহার ডুবে রও অবিরাম এ সংসার হবে রে সুমধুর ব্রজধাম ধরিবেন হৃদয়ে তোরে গিরিধারী॥
মার্হাবা সৈয়দে মক্কী-মদনী
বাণী
মার্হাবা সৈয়দে মক্কী-মদনী আল্-আরবি। বাদ্শারও বাদশাহ্ নবীদের রাজা নবী।। ছিলে মিশে আহাদে, আসিলে আহমদ হয়ে বাঁচাতে সৃষ্টি খোদার, এলে খোদার সনদ ল’য়ে, মানুষে উদ্ধারিলে মানুষের আঘাত সয়ে — মলিন দুনিয়ায় আনিলে তুমি যে বেহেশ্তী ছবি।। পাপের জেহাদ-রণে দাঁড়াইলে তুমি একা নিশান ছিল হাতে ‘লা-শরীক আল্লাহ্’ লেখা, গেল দুনিয়া হতে ধুয়ে মুছে পাপের রেখা — বহিল খুশির তুফান উদিল পুণ্যের রবি।।
মোর মন ছুটে যায় দ্বাপর যুগে
বাণী
উভয় : মোর মন ছুটে যায় দ্বাপর যুগে দূর দ্বারকায় বৃন্দাবনে। স্ত্রী+উভয়ে : মোর মন হ’তে চায় ব্রজের রাখাল খেলতে রাখাল-রাজার সনে॥ স্ত্রী : রূপ ধরে না বিশ্বে যাহার দেখতে সাধ যায় কিশোর-রূপ তার পুরুষ : কেমন মানায় নরের রূপে অনন্ত সেই নারায়ণে॥ স্ত্রী : সাজ্ত কেমন শিখী-পাখা বাজ্ত কেমন নূপুর পায়ে, পুরুষ : থির কেমনে থাক্ত ধরা নাচ্ত যখন তমাল-ছায়ে। উভয় : মা যশোদা বাঁধ্ত যখন কাঁদ্ত ভগবান কেমনে॥ স্ত্রী : সাজ্ত কেমন বন-মালায় বিশ্ব যাহার অর্ঘ্য সাজায়; পুরুষ : যোগী-ঋষি পায় না ধ্যানে গোপ-বালা কেমনে পায়। উভয় : তেম্নি ক’রে কালার প্রেমে সব খোয়াব এই জীবনে॥
মোহাম্মদ মোর নয়ন-মণি
বাণী
মোহাম্মদ মোর নয়ন-মণি মোহাম্মদ নাম জপমালা। ঐ নামে মিটাই পিয়াসা ও নাম কওসারের পিয়ালা।। মোহাম্মদ নাম শিরে ধরি, মোহাম্মদ নাম গলায় পরি, ঐ নামের রওশনীতে আঁধার এ মন রয় উজালা।। আমার হৃদয়-মদিনাতে শুনি ও নাম দিনে-রাতে, ও নাম আমার তস্বি হাতে, মন-মরুতে গুলে-লালা।। মোহাম্মদ মোর অশ্রু চোখের ব্যথার সাথী শান্তি শোকের, চাইনে বেহেশ্ত যদি ও নাম জপ্তে সদা পাই নিরালা।।
মা মেয়েতে খেল্ব পুতুল আয় মা
বাণী
মা মেয়েতে খেল্ব পুতুল আয় মা আমার খেলাঘরে। আমি মা হয়ে মা শিখিয়ে দেব পুতুল খেলে কেমন করে।। কাঙাল অবোধ করবি যারে বুকের কাছে রাখিস্ তারে (মা) [নইলে কে তার দুখ ভোলাবে যারে রত্ন মানিক দিবি না মা, উচিত সে তার মাকে পাবে] আবার কেউ বা ভীষণ দামাল হবে কেউ থাকবে গৃহ কোণে প’ড়ে।। মৃত্যু সেথায় থাকবে না মা থাকবে লুকোচুরি খেলা রাত্রি বেলায় কাঁদিয়ে যাবে আসবে ফিরে সকাল বেলা। কাঁদিয়ে খোকায়, ভয় দেখিয়ে, ভয় ভোলাবি আদর দিয়ে (মা) [বেশি তারে কাঁদাস না মা, মা ছেড়ে সে পালিয়ে যাবে] সে খেলে যখন শ্রান্ত হবে ঘুম পাড়াবি বক্ষে ধ’রে।।