বাণী

মালার ডোরে বেঁধো না গো বাহুর ডোরে বাঁধো।
কাঁদোই যদি, আমার বুকে মুখ লুকিয়ে কাঁদো।।
	তোমার পূজার আসন হতে
	নামাও এবার ধূলির পথে,
দেবতা ব’লে সেধো না গো, প্রিয় ব’লে সাধো।।
পূজারিণী, জাগো জাগো — হৃদয় দুয়ার খোলো।
নিবেদনের ফুলে বরণ-মালা গেঁথে তোলো।।

বাণী

উভয়	:	মোরা ছিলাম একা আজি মিলিনু দুজন।
		পাপিয়ার পিয়া বোল্ কপোত-কূজন।।
বর	:	তুমি সবুজের স্রোত এলে ঊষর দেশে
বধূ	:	তুমি বিধাতার-বর এলে বরের বেশে,
বর	:	তুমি গৃহে কল্যাণ
বধূ	:	তুমি প্রভু মম ধ্যান,
উভয়	:	সুন্দরতর হ’ল সুন্দর ত্রিভুবন।।

নাটিকাঃ ‘প্রীতি-উপহার’

বাণী

মোরা এক বৃন্তে দু’টি কুসুম হিন্দু-মুসলমান।
মুসলিম তার নয়ন-মণি, হিন্দু তাহার প্রাণ।।
	এক সে আকাশ মায়ের কোলে
	যেন রবি শশী দোলে,
এক রক্ত বুকের তলে, এক সে নাড়ির টান।।
এক সে দেশের খাই গো হাওয়া, এক সে দেশের জল,
এক সে মায়ের বক্ষে ফলাই একই ফুল ও ফল।
	এক সে দেশের মাটিতে পাই
	কেউ গোরে কেউ শ্মাশানে ঠাঁই
এক ভাষাতে মা’কে ডাকি, এক সুরে গাই গান।। 

নাটিকাঃ‘পুতুলের বিয়ে’

বাণী

মধুর নূপুর রুমুঝুমু বাজে।
কে এলে মনোহর নটবর-সাজে।।
নিশীথের ফুল ঝরে রাঙা পায়ে
মাধবী রাতের চাঁদ এলে কি লুকায়ে,
'পিয়া পিয়া' ব'লে পাখি ডাকে বন-মাঝে।।

বাণী

মোরে সেইরূপে দেখা দাও হরি।
তুমি ব্রজের বালারে রাই কিশোরীরে
ভুলাইলে যেই রূপ ধরি’।।
হরি বাজায়ো বাঁশরি সেই সাথে,
যে বাঁশি শুনিয়া ধেনু গোঠে যেত উজান বহিত যমুনাতে।
যে নূপুর শুনে ময়ূর নাচিত এসো হে সেই নূপুর পরি।।
নন্দ যশোদা কোলে গোপাল
যে রূপে খেলিতে, ক্ষীর ননী খেতে এসো সেই রূপে ব্রজ দুলাল।
যে পীত বসনে কদম তলায় নাচিতে এসো সে বেশ পরি।।
কংসে বধিলে যে রূপে শ্যাম,
কুরুক্ষেত্রে হলে সারথি এসো সেইরূপে এ ধরাধাম।
যে রূপে গাহিলে গীতা নারায়ণ, এসো সে বিরাট রূপ ধরি।।

বাণী

মনে রাখার দিন গিয়েছে এখন ভোলার বেলা
আর লাগে না ভালো আমার হৃদয় নিয়ে খেলা।।
	লগ্ন ছিল ছিল সময়
	পরান ভরা চিল প্রণয়,
সেদিন যদি আসতে মলয় বসতো ফুলের মেলা।।
সুকুমার সুন্দর যাহা চিল আমার মাঝে
গেছে ম'রে নিরাশাতে ঝ'রে গেছে লাজে।
	আজ উদাসীন শূন্য মনে
	ঘুরে বেড়াই অকারণে
তোমার চেয়েও আমি আমায় হানি অবহেলা।।