মন নিয়ে আমি লুকোচুরি খেলা খেলি
বাণী
পুরুষ : মন নিয়ে আমি লুকোচুরি খেলা খেলি প্রিয়ে। স্ত্রী : ধরিতে পারি না পেতে তাই প্রেম ফাঁদ — তুমি মেঘ আমি চাঁদ, ফের গো কাঁদিয়ে।। পুরুষ : মন্দ বায় আমি গন্ধ লুটি শুধু — চাই না আমি সে মধু; স্ত্রী : চাইনে চাইনে বঁধু — তাহে নাই সুখ নাই, আমি পরশ যে চাই। পুরুষ : স্বপন-কুমার ফিরি যে আমি মন ভুলিয়ে।। উভয়ে : চল তবে যাই মোরা স্বপনের দেশে জোছনায় ভেসে — নন্দন-পারিজাত ফুল ফুটিয়ে।।
মোর ঘনশ্যাম এলে কি আজ
বাণী
মোর ঘনশ্যাম এলে কি আজ কালো মেঘের বেশে। দূর মথুরার নীল-যমুনা পার হ’য়ে মোর দেশে।। এলে কালো মেঘের বেশে।। বৃষ্টি ধারায় টাপুর টুপুর বাজে তোমার সোনার নূপুর, বিজলিতে চপল আঁখির চমক বেড়ায় হেসে।। তোমার তনুর সুগন্ধ পাই, যুঁই কেতকীর ফুলে ওগো রাজাধিরাজ! ব্রজে আবার এলে কি পথ ভুলে। মেঘ-গরজনের ছলে ডাকো ‘রাধা রাধা’ বলে বাদল হাওয়ায় তোমার বাঁশির বেদন আসে ভেসে।।
মেঘলা-মতীর ধারা জলে কর স্নান
বাণী
মেঘলা-মতীর ধারা জলে কর স্নান (হে ধরণী) স্নিগ্ধ শীতল মেঘ-চন্দনে জুড়াও তাপিত প্রাণ (হে ধরণী)।। তব বৈশাখী ব্রত শেষে শ্যাম সুন্দর বেশে নব দেবতা এলো হেসে লহ আশিস বারি দান (হে তাপসী)।। তব ভূষণ-হীন উপবাস ক্ষীণ কায় হোক নবতর শ্যাম সমারোহে, পুষ্পিত সুষমায়। তীর্থ-সলিলে কৃষ্ণা দূর কর গো তৃষ্ণা শ্যাম দরশ পরশ ব্যাকুলা হরষে গাহ গান (হে তপতী)।।
মোমের পুতুল মমীর দেশের মেয়ে নেচে যায়
বাণী
মোমের পুতুল মমীর দেশের মেয়ে নেচে যায়। বিহবল–চঞ্চল–পায়।। খর্জুর–বীথির ধারে সাহারা মরুর পারে বাজায় ঘুমুর ঝুমুর ঝুমুর মধুর ঝঙ্কারে। উড়িয়ে ওড়না ‘লু’ হাওয়ায় পরী–নটিনী নেচে যায় দুলে দুলে দূরে সুদূর।। সুর্মা–পরা আঁখি হানে আস্মানে, জ্যোৎস্না আসে নীল আকাশে তার টানে। ঢেউ তুলে নীল দরিয়ায় দিল–দরদী নেচে যায় দুলে দুলে দূরে সুদূর।।