ওরে কে বলে আরবে নদী নাই
বাণী
ওরে কে বলে আরবে নদী নাই যথা রহমতের ঢল বহে অবিরল দেখি প্রেমে-দরিয়ার পানি যেদিকে চাই।। যাঁর ক্বাবা ঘরের পাশে আব-এ-জমজম যথা আল্লা-নামের বাদল ঝরে হরদম, যথা ঝরে হরদম- যার জোয়ার এসে দুনিয়ার দেশে দেশে (ওরে) পুণ্যের গুলিস্তান রচিল দেখিতে পাই।। যার ফোরাতের পানি আজো ধরার ‘পরে নিখিল নর-নারীর চোখে ঝরে (ওরে) শুকায় না যে নদী দুনিয়ায়, যার শক্তি বন্যার তরঙ্গ-বেগে যত বিষণ্ন-প্রাণ ওরে আনন্দে উঠল জেগে যাঁর প্রেম-নদীতে,যাঁর পুণ্য-তরীতে মোরা ত'রে যাই।।
ও বন্ধু! দেখলে তোমায় বুকের মাঝে
বাণী
ও বন্ধু! দেখ্লে তোমায়, বুকের মাঝে জোয়ার-ভাঁটা খেলে। আমি এক্লা ঘাটে কুলবধূ কেন তুমি এলে বন্ধু, কেন তুমি এলে।। ও বন্ধু, আমার অঙ্গে কাঁটা দিয়ে ওঠে বাজাও যখন বাঁশি আমি খিড়্কি দুয়ার দিয়ে বন্ধু, জল ভরিতে আসি ভেসে’ নয়ন-জলে ঘরে ফিরি ঘাটে কলস ফেলে।। আমার পাড়ায়, বন্ধু, তোমার নাম যদি নেয় কেউ বুকে আমার দুলে ওঠে পদ্মা নদীর ঢেউ বন্ধু পদ্মা নদীর ঢেউ। ওগো ও চাঁদ, এনো না আর দু’কূল-ভাঙা এমন জোয়ার কত ছল ক’রে জল লুকাই চোখের কাঁচা কাঠে আগুন জ্বেলে।।
ও-রে শাদা মেঘ
বাণী
ও-রে শাদা মেঘ! তোর পাখা নাই তবু কেমনে ভাসিয়া বেড়াস্ শান্ত শারদ-গগনে।। আমি তোর মত লঘু হ’ব আমি ধূলির ঊর্দ্ধে রব, আমি দেখিয়া গৌরী-শঙ্কর-শোভা গলিয়া পড়িব চরণে।। আমি নিশির কপোলে শিশিরের স্বেদ হেরিব, আমি রংধনু হ’য়ে চাঁদের চাহনি ঘেরিব। সে কি নিশীথে বাঁশিতে ডাকে তাই সে কি জানে, মেঘ হতে কেন চাই, যদি আমার বুকে দামিনী পায় — সে নবীন নীরদ-বরণে।।
ও বাবা! তুর্কী-নাচন নাচিয়ে দিলে
বাণী
ও বাবা! তুর্কী-নাচন নাচিয়ে দিলে। (ওসে) কোন্ অভাগা অঙ্ক-লক্ষ্মী নাম দিল এই শঙ্খ-চিলে।। দিন রাত্তির অঙ্ক কষে পান্ হতে চুন কখন্ খসে, স্ত্রী ব’লে আন্নু ঘরে শাড়ি পরা কোন্ উকিলে।। প্রাণ-পাখি মোর খাঁচা-ছাড়া, (এই) ঝুল্তি বেণীর গুল্তি ঢিলে’ মাতঙ্গিনী মহিষিণী গুঁতিয়ে ফাটায় পেটের পিলে। যেমন বাঘ দেখে ছাগ ছুটেরে ভাই তেমনি কাছা খুলে পালিয়ে বেড়াই ওগো মাগো এসে রক্ষা কর হালুম-বাঘায় ফেল্ল গিলে।।