ওকে নাচের ঠমকে দাঁড়ালো থমকে সহসা চমকে পথে
বাণী
ও কে নাচের ঠমকে দাঁড়ালো থমকে সহসা চমকে পথে যেন তার নাম ধ'রে ডাকিল কে বাঁশের বাঁশিতে মাঠে ওপার হতে। তার হঠাৎ থেমে যাওয়া দেহ দোদুল নাচের তালে যেন ছন্দের ভুল সে রহে চাহি' অনিমেষে পটে আঁকা ছবিতুল গেছে হারায়ে সে যেন কোন জগতে।। তার ঘুম জড়িত চোখে জাগালো কী নতুন ঘোর অকরুণ বাঁশির কিশোর; উদাসী মুরতি প্রভাতী রাগিণী কাননে যেন এলো নামিয়া অরুণ-কিরণ রথে।।
ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশীর ঈদ
বাণী
ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ। তুই আপনাকে আজ বিলিয়ে দে শোন্ আসমানি তাগিদ।। তোর সোনা–দানা বালাখানা সব রাহেলিল্লাহ্। দে জাকাত মুর্দা মুসলিমের আজ ভাঙাইতে নিদ্।। আজ পড়বি ঈদের নামাজ রে মন সেই সে ঈদগাহে। যে ময়দানে সব গাজী মুসলিম হয়েছে শহীদ।। আজ ভুলে যা তোর দোস্ত ও দুশমন হাত মিলাও হাতে। তোর প্রেম দিয়ে কর বিশ্ব নিখিল ইসলামে মুরিদ।। ঢাল হৃদয়ের তোর তশ্তরিতে শির্নি তৌহিদের। তোর দাওয়াত কবুল করবে হজরত হয় মনে উম্মীদ।।
ওগো নন্দ দুলাল নাচে ছন্দতালে
বাণী
দ্বৈত : ওগো নন্দ দুলাল নাচে ছন্দতালে স্ত্রী : মধু মঞ্জির বোলে মণি কুন্তল দোলে পুরুষ : চন্দন লেখা শোভে চারুভালে॥ স্ত্রী : রস যমুনায় জাগে ঢেউ উতরোল পুরুষ : ব্রজগোপিকার প্রাণে লাগে তারি হিল্লোল দ্বৈত : রাস পূর্ণিমা রাতে শিখী নাচে সাথে সাথে ফুল দোলে কুঞ্জেরই বকুল ডালে॥ স্ত্রী : নাচে নন্দ দুলাল বাজে মোহন বেণূ পুরুষ : অঙ্গের লাবনিতে আলো করে অবনিতে দ্বৈত : হাসিতে ঝরায় ফুল পরাগ রেণু। স্ত্রী : রাঙা পায়ে রুমুঝুমু বাজে মধুর পুরুষ : জীবন মরণ তার যুগল নূপুর দ্বৈত : মুগ্ধ তারকা শশী রাতের দেউলে বসি আরতি প্রদীপ শিখা নিত্য জ্বালে॥
ওমা তোর চরণে কি ফুল দিলে
বাণী
ওমা তোর চরণে কি ফুল দিলে পূজা হবে বল। রক্ত-জবা অঞ্জলি মোর হ’লো যে বিফল।। বিশ্বে যাহা আছে মাগো তাতেও পূজা হবে নাকো, তাই তো দুঃখে নয়নে মোর শুধুই আসে জল।। মনের কোণে অর্ঘ্য রচি’ আঁধার ঘরে একা, ডাকলে তোরে সকল ভুলে দিবি না তুই দেখা। তখন কি মা দুঃখ-হরা শেষ হবে না অশ্রুধারা, কি ফুলে তোর পূজা হবে বল — কেন করিস্ ছল।।
ওমা দুঃখ-অভাব-ঋণ যত মোর
বাণী
(ওমা) দুঃখ-অভাব-ঋণ যত মোর (শ্যামা) রাখলাম তোর পায়ে। (এবার) তুই দিবি মা, ভক্তের তোর সকল ঋণ মিটায়ে।। মাগো সমন হাতে মোর মহাজন ধরতে যদি আসে এখন, তোরই পায়ে পড়বে বাঁধন ছেলের ঋণের দায়ে।। ওমা সুদ আসলে এ সংসারের বেড়েই চলে দেনা, এবার ঋণ মুক্তির তুই নে মা ভার, রইব তোরই কেনা। আমি আমার আর নহি ত (আমি) তোর পায়ে যে নিবেদিত, এখন তুই হয়েছিস্ জামিন আমার দে ওদের বুঝায়ে।।