বাণী

সে চ'লে গেছে ব'লে কি গো স্মৃতিও হায় যায় ভোলা
ওগো মনে হ'লে তারি কথা আজো মর্মে সে মোর দেয় দোলা।।
	ঐ প্রতিটি ধূলি কণায়
	আছে তার ছোঁওয়া লেগে হেথায়,
আজো তাহারি আসার আশায়, রাখি মোর ঘরেরই সব দ্বার খোলা।।
	হেথা সে এসেছিল যবে
	ঘর ভরেছিল ফুল-উৎসবে,
মোর কাজ ছিল শুধু ভবে তার হার গাঁথা আর ফুল তোলা।।
	সে নাই ব'লে বেশি ক'রে
	শুধু তার কথাই মনে পড়ে,
হেরি তার ছবি ভুবন ভ'‌রে তারে ভুলিতে মিছে বলা।।

বাণী

স্বাগতা কনক-চম্পক বর্ণা।
ছন্দিতা চপল নৃত্যের ঝর্না।।
মঞ্জুলা বিধুর যৌবন-কুঞ্জে
যেন ও-চরণ-নূপুর গুঞ্জে,
মন্দিরা মুরলী-শোভিত হাতে
এসো গো বিরহ-নীরস-রাতে,
হে প্রিয়া করিব প্রাণ অপর্ণা।।

বাণী

সখি গো বৃথা প্রবোধ দিস্‌নে ললিতে
কোন্ প্রাণে তুই বলতে পারিলি মোর শ্রীকৃষ্ণে ভুলিতে।।
সেই নন্দপুরের চন্দ্র বিহনে নাহি আনন্দ মোর।
তারে না হেরিলে তিলেকের তরে বাঁচে না চিত-চকোর।।
বলে দে বলে দে কোথা আমার প্রাণসখা
				ভাসি আমি আঁখি-নীরে 
কেঁদে কেঁদে অন্ধ হলাম ভাসি আমি আঁখি-নীরে।
সখি, এই তো আমার সাধনা
আমার মত জগত কাঁদুক, এই তো আমার কামনা।।
কাঁদতে হবে — 
যে হরিরে মোর হরিবে, তায় রাধার মত কাঁদতে হবে।
সে কৃষ্ণ কৃষ্ণ বলে চিরজীবন কাঁদবে ভবে।
সখি কাঁদলে তারে যায় না পাওয়া
তাহলে সখি আমি পেতাম 
যদি কাঁদলে তারে পাওয়া যেত যশোমতী তারে হারাত না।
সে যে প্রেমের চির-কাঙাল 
প্রেম বিনে তায় যায় না পাওয়া।

বাণী

সখি সাপের মণি বুকে করে কেঁদে নিশি যায়
কাল-নাগিনী ননদিনী দেখতে পাছে পায় (লো সখি)।।
	সই প্রানের গোপন কথা মম
	পিঞ্জরেরি পাখির সম
পাখা ঝাপটিয়া কাঁদে বাহির হতে চায়।।
পাড়ার বৌ-ঝি যদি জলের ঘাটে কানে কথা কয়
আমার কথাই কইলো বুঝি মনে জাগে ভয় (সখি)
আমি চাইতে নারি চোখে চোখে
পাছে মনের কথা জানে লোকে।
	আমার একি হলো দায়
	সখি লুকানো না যায়
সখি কাঙাল যেমন পেয়ে রতন থুইতে ঠাঁই না পায়।।

বাণী

সহসা কি গোল বাঁধালো পাপিয়া আর পিকে
গোলাপ ফুলের টুকটুকে রঙ চোখে লাগে ফিকে।।
	নাই বৃষ্টি বাদল ওলো,
	দৃষ্টি কেন ঝাপসা হলো?
অশ্রু জলের ঝালর দোলে চোখের পাতার চিকে।।
পলাশ-কলির লাল আঁখরে বনের দিকে দিকে
গোপন আমার ব্যথার কথা কে গেল সই লিখে।
	মনে আমার পাইনে লো খেই;
	কে যেন নেই, কি যেন নেই।
কে বনবাস দিল আমার মনের বাসন্তীকে।।

বাণী

সই,পলাশ-বনে রঙ ছড়ালো কে?
সেই রঙে রঙিন মানুষটিরে কাছে ডেকে দে,লো।
	সে ফাগুন জাগায় আগুন লাগায়,
	স্বপন ভাঙায় হৃদয় রাঙায় রে,
তা'রে ধরতে গেলে পালিয়ে সে যায় রঙ ছুঁড়ে চোখে।।
সে ভোরের বেলায় ভ্রমর হয়ে পদ্মবনে কাঁদে
তারা বাঁকা ধনুক যায় দেখা ঐ সাঁঝ-আকাশের চাঁদে।
	সেই গভীর রাতে আবির হাতে
	রঙ খেলে ফুল-পরীর সাথে লো
তার রঙিন সিঁথি দেখি প্রজাপতির পালকে।।