সোনার বরণ কন্যা গো এসো আমার সোনার নায়ে
বাণী
পুরুষ : সোনার বরণ কন্যা গো, এসো আমার সোনার নায়ে চল আমার বাড়ি স্ত্রী : ওরে অচিন দেশের বন্ধুরে, তুমি ভিন্ গেরামের নাইয়া আমি ভিন্ গেরামের নারী। পুরুষ : গয়না দিব বৈচী খাড়ু শাড়ি ময়নামতীর। স্ত্রী : গয়না দিয়ে মন পাওয়া যায় না কুলবতীর। পুরুষ : শাপলা ফুলের মালা দেব রাঙা রেশমি চুড়ি। স্ত্রী : ঐ মন-ভুলানো জিনিস নিয়ে (বন্ধু) মন কি দিতে পারি? পুরুষ : (তুমি) কোন্-সে রতন চাও রে কন্যা, আমি কি তা জানি? স্ত্রী : তোমার মনের রাজ্যে আমি হ’তে চাই রাজরানী। দ্বৈত : হইও সাক্ষী তরুলতা পদ্মা নদীর পানি (আরে ও) (আজি) কূল ছাড়িয়া দু’টি প্রাণী অকূলে দিল পাড়ি॥
সখি বলো বঁধুয়ারে নিরজনে
বাণী
(সখি) ব’লো বঁধুয়ারে নিরজনে দেখা হ’লে রাতে ফুল–বনে।। কে করে ফুল চুরি জেনেছে ফুলমালী কে দেয় গহীন রাতে ফুলের কুলে কালি জেনেছে ফুলমালী গোপনে।। ও–পথে চোর–কাঁটা, সখি, তায় বলে দিও বেঁধে না বেঁধে না লো যেন তার উত্তরীয়। এ বনফুল লাগি’ না আসে কাঁটা’ দলি’ আপনি যাব চলি’ বঁধুয়ার কুঞ্জ–গলি বিনা মূল্যে বিকাইব ও–চরণে।।
সেদিন নিশীথে মোর কানে কানে
বাণী
সেদিন নিশীথে মোর কানে কানে যে কথাটি গেছ বলে প্রথম মুকুল হয়ে সেই বাণী মালতী লতায় দোলে।। সে-কথাটি আবার শুনিবে বলিয়া আড়ি পাতে চাঁদ মেঘে লুকাইয়া চাহে চুপি চুপি পিয়াসি পাপিয়া ঘন পল্লব তলে।। বসে আছি সেই মালতী বিতানে আজ তুমি নাই কাছে — ম্লান মুখে পথ চাহে ফুলগুলি আঁধার বকুল গাছে। দখিনা বাতাস করে হায় হায় ঝরিছে কুসুম শুকনো পাতায় নিবু নিবু হল তোমার আশায় চাঁদের প্রদীপ জ্বলে।।
সেই পথে মন মম ধায়
বাণী
সেই পথে মন মম ধায়। প্রিয় রসুলে খোদার, নবীর সরদার — যে পথে চলিলেন হায়। পরান আমার বিকাতে চাহে মাহে আরব লীলাভূমে বিকাতে চাহে। যাব কমলিওয়ালা-পাশ ছাড়ি' গৃহবাস কম্বল সম্বল করি'। পাক রওজার ধূলি শিরে ল'ব তুলি' পরিব অঞ্জন করি'। অঙ্গে রবে ভূষণ হয়ে সদা — পাক রওজার ধূলি ভূষণ হয়ে সদা অঙ্গে রবে। আমি (ওগো) মম দুখ-ভার করিয়া উজাড় দিব সে-চরণে ডারি। ওগো যত দুখ মোর বহিবে অঝোর হইবে নয়ন-বারি। আমার যাবে গো ব'য়ে আমার নয়নের ধারা যাবে গো ব'য়ে, পাক রওজাতে নিতি লুকানো বহ্নি নয়নের ধারা যাবে গো ব'য়ে।
কীর্তন-সুরে নাত-ই-রসুল
সখি কই গোপীবল্লভ শ্যামল পল্লব কান্তি
বাণী
সখি কই গোপীবল্লভ শ্যামল পল্লব কান্তি সখি আমার হরি বিনে হরি চন্দনে নাহি শান্তি। ঐ দেখ্ দেখ্ শ্যাম দাঁড়িয়ে ও নহে কদম তমাল পিয়াল পিয়া মোর ঐ দাঁড়িয়ে। ও নহে তরুণ শাখা ও যে মোর বঁধু আসে বাহু বাড়িয়ে। পুষ্প পাগল তরু কি কখনো দুলে গো অমন করিয়া (ও যে) বনমালা গলে বনমালী মোর নাচিছে হেলিয়া দুলিয়া। তোরা দেখে আয় তোরা দেখে আয় অভিমানে শ্যাম আসিছে না কাছে ডেকে আয় তারে ডেকে আয় তারি বিগলিত নীল লাবনি কি ঐ যমুনার কালো জলে বিজলির আঁখি ইঙ্গিতে সে কি ডাকে মোরে মেঘ দলে। সখি গো! তোরা যেতে দে মোরে যেতে দে আর দিস্নে বাধা (ঐ) গহন কালোতে গাহন করিয়া জুড়াক আলোক রাধা।।