সেদিন বলেছিলে এই সে ফুলবনে
বাণী
সেদিন ব’লেছিলে এই সে ফুলবনে, আবার হবে দেখা ফাগুনে তব সনে॥ ফাগুন এলো ফিরে লাগে না মন কাজে, আমার হিয়া ভরি, উদাসী বেণু বাজে; শুধাই তব কথা দখিনা সমীরণে॥ শপথ ভুলিয়াছ বন্ধু, ভুলিলে পথ কি গো, বারেক দিয়ে দেখা লুকালে মায়ামৃগ। আঁচলে ফুল লয়ে হল’ না মালা গাঁথা, আসার পথ তব ঢাকিল ঝরা পাতা; পূজার চন্দন শুকালো অঙ্গনে॥
সন্ধ্যা নেমেছে আমার বিজন ঘরে
বাণী
সন্ধ্যা নেমেছে আমার বিজন ঘরে, তব গৃহে জ্বলে বাতি। ফুরায় তোমারি উৎসব নিশি সুখে, পোহায় না মোর রাতি।। আমার আশার ঝরা ফুলদল দিয়া, তোমার বাসর শয্যা রচিছ প্রিয়া তোমার ভবনে আলোর দীপালি জ্বলে, আঁধার আমার সাথী। পোহায় না মোর রাতি।। ঘুমায়ে পড়েছে আমার কাননে কুহু, নীরব হয়েছে গান; তোমার কুঞ্জে গানের পাখিরা তুলিয়াছে কলতান। পৃথিবীর আলো মোর চোখে নিভে আসে, বাজিছে বাঁশরি তোমার মিলন-রাসে; ওপারের বাঁশি আমায় ডাকিবে কবে, আছি তাই কান পাতি। পোহায় না মোর রাতি।।
সকাল হ'ল শোন রে আজান
বাণী
সকাল হ'ল শোন রে আজান ওঠ রে শয্যা ছাড়ি' তুই মসজিদে চল দ্বীনের কাজে ভোল দুনিয়াদারি।। ওজু করে ফেল রে ধুয়ে নিশীথ রাতের গ্লানি সিজদা করে জায়নামাজে ফেল রে চোখের পানি; খোদার নামে সারাদিনের কাজ হবে না ভারী।। নামাজ প'ড়ে দু'হাত তুলে প্রার্থনা কর তুই - ফুল-ফসলে ভ'রে উঠুক সকল চাষির ভূঁই সকল লোকের মুখে হোক আল্লার নাম জারী।। ছেলে-মেয়ে সংসার-ভার সঁপে দে আল্লারে নবীজীর দোয়া ভিক্ষা কর কর রে বারে বারে; তোর হেসে নিশি প্রভাত হবে সুখে দিবি পাড়ি।।
সদা মন চাহে মদিনা যাবো
বাণী
সদা মন চাহে মদিনা যাবো, আমার রসূলে আরবী, না হেরে নয়নে, কি সুখে গৃহে র’বো।। মদিনার বুকে রয়েছে ঘুমায়ে আমার বুকের নিধি তায় বুকে তার মিলাইব বুক পায়ে লুটাইব নিরবধি ধূলিকণা হবো, আমি ধূলিকণা হবো (ওগো) নবী পদরেখা যেই পথে আঁকা সেই পথে বিছাইবো। আবিল হতে দেবো না, মধুর স্বপন তপ্ত বরণ আবিল হতে দেবো না। সদা আকুল পিয়াসা জাগে পদমুখো হ'য়ে কদম রসূল চুম্ দিবো অনুরাগে। ধূলি হ’বো, আমি সেই পথের ওই ধূলি হ’বো নবী যে পথ দিয়ে চলেছিলেন সেই পথের ওই ধূলি হবো শুধু পায়ের চিহ্ন পরশ পাবো সেই পথের ওই ধূলি হ’বো।। প্রিয় নবীর রাঙা পা দু'খানি চুমিব সদা দিবস-যামী, আমার জীবনে লেগেছে নয়নের স্বাদ জুড়াতে আমার দেখিবো পোড়া নয়নের মোর আছে বড় খেদ মিটেনি আমার তৃষা গো হেথা নয়নের তৃষা অধরে মিটাতে এবার আমি ধূলি হ’বো।।
লেটোদলের গান
কীর্তনের সুরে নাত-এ রসুল
সখি সেই ত পুষ্প-শোভিতা হ’ল
বাণী
সখি, সেই ত পুষ্প-শোভিতা হ’ল আবার মাধবীলতা। মাধবী চাঁদ উঠেছে আকাশে, আমার মাধব কোথা। রাধা আজ নিরাধারা সখি রাধামাধব কোথা। মধুপ গুঞ্জরে মালতী-বিতানে, নূপুর-গুঞ্জরণ নাহি শুনি কানে। মোর মনো-মধুবনে মধুপ কানু কই – আনন্দ-রাস নাই – রাসবিহারী নাই, আমি আর রাধা নই। সখি পূর্ণ রাসে আমি জনম লভিয়া পুষ্প আহরণ তরে, কৃষ্ণ-পূজার লাগি পুষ্প আহরণ তরে ধেয়েছিনু বনে অনুরাগ ভরে, বৃন্দাবনচারী কৃষ্ণে না পেয়ে, রাধা কাঁদে ব্রজ-পথে ধেয়ে ধেয়ে – ‘প্রাণবল্লভ আমার কই গো, সখি আমায় বলে দে গো।’ রাধা হ’ল আজি অশ্রুর ধারা কৃষ্ঞ-আনন্দিনী রাধা বিনোদিনী কবে হবে শ্রীকৃষ্ণ-হারা।।