তোর কালো রূপ দেখতে মাগো
বাণী
(মাগো) তোর কালো রূপ দেখতে মাগো, কাল্ হ’ল মোর আঁখি, চোখের ফাঁকে যাস পালিয়ে মা তুই কালো পাখি॥ আমার নয়ন দুয়ার বন্ধ ক’রে এই দেহ পিঞ্জরে, চঞ্চলা গো বুকের মাঝে রাখি তোরে ধ’রে; চোখ্ চেয়ে তাই খুঁজে বেড়াই পাই না ভুবন ভ’রে সাধ যায় মা জন্ম জন্ম অন্ধ হ’য়ে থাকি॥ কালো রূপের বিজলি চমক কোটি লোকের জ্যোতি, অনন্ত তোর কালোতে মা সকল আলোর গতি। তোর কালো রূপ কে বলে মা ‘তমঃ’, ঐ রূপে তুই মহাকালি মাগো নমঃ নমঃ তুই আলোর আড়াল টেনে মাগো দিস্ না মোরে ফাঁকি॥
তুই জগত-জননী শ্যামা
বাণী
তুই জগত-জননী শ্যামা আমি কি মা জগত ছাড়া, কোন দোষে মা তুই থাকিতে আমি চির মাতৃহারা।। পুত্র অপরাধী ব'লে মা কি তারে নেয় না কোলে, মা শাসন করে মারে-ধরে তবু কাছ ছাড়া করে না তারা। কোন দোষে মা তুই থঅকিতে আমি চির মাতৃহারা।। ছেলের চোখে ঠুলি দিয়ে কি মা নিজেরে লুকিয়ে রাখে ছেলের দুঃখে মা উদাসীন দেখিনি তো এমন মাকে। মাতৃস্নেহ পেলে শ্যামা এমন মন্দমতি হতেম না মা তুই যাহারে হানিস হেলা তার কে মোছাবে নয়ন-ধারা কোন দোষে মা তুই থাকিতে আমি চির মাতৃহারা।।
তুমি সুখে থাক প্রিয়া
বাণী
তুমি সুখে থাক প্রিয়া আমি আজ চ’লে যাই। তোমারে চাহিয়া জনমে জনমে এই ব্যথা যেন পাই।। দুদিনের সাথী দু’দিনের লাগি’ এসেছিনু আমি তব অনুরাগী, হৃদয় বাণীতে চেয়েছিনু শুধু আর কিছু চাহি নাই।। আকাশে তব দিয়ে গেনু ফুল কণ্ঠে গানের মালা, হয়তো একদা অন্তরে তব জাগিবে স্মৃতির জ্বালা। হয়তো বা তব নয়নের কোণে নতুনের ছায়া জাগিবে গোপনে, স্মৃতিটি আমার মুছে যাবে জানি তবু কিছু ক্ষতি নাই — এই ব্যথা যেন পাই।।
তোমাদের দান তোমাদের বাণী
বাণী
তোমাদের দান, তোমাদের বাণী পূর্ণ করিল অন্তর। তোমাদের রস-ধারায় সিনানি’ হ’ল তনু শুচি-সুন্দর।। শান্ত উদার আকাশের ভাষা মলিন মর্তে অমৃত পিপাসা, দিলে আনি’, দিলে অভিনব আশা — গগন-পবন-সঞ্চর।। বুলায়ে মায়ার অঞ্জন চোখে ল’য়ে গেলে দূর কল্পনা-লোকে, রাঙাল কানন পলাশে অশোকে — তোমাদের-মায়া-মন্তর।। ফিরদৌসের পথ-ভোলা পাখি আনন্দ-লোকে গেলে সবে ডাকি’, ধূলি-ম্লান মন গেলে রঙে মাখি’ — ছানিয়া সুনীল অম্বর।।
তুমি কি নিশীথ-চাঁদ ভাঙাতে ঘুম
বাণী
স্ত্রী : তুমি কি নিশীথ-চাঁদ ভাঙাতে ঘুম চুপি চুপি আসিলে বাতায়নে। পুরুষ : তুমি কি গো বন-দেবী পুষ্প-শোভিতা চেয়ে আছ কোন দূরে আনমনে।। স্ত্রী : তোমারে হেরিয়া ফোটে মালতী হেনা হে চির চেনা পুরুষ : সুদুর বনান্তে সমীরণ হেরি' তোমায় হ'লো অধীর পাপিয়া ডাকে বকুল বনে।। স্ত্রী : তব কলঙ্ক অধিক মধুর লাগে হে কলঙ্কী চাঁদ, তোমারে হেরিয়া যত সাধ জাগে প্রাণে জাগে তত অবসাদ। পুরুষ : তোমার ছায়া প'ড়ে মোর আননে কলঙ্কী নাম হলো মোর এই ভুবনে। উভয়ে : আকাশের চাঁদে কুমুদ ফুলে মিলন হ'লো ধরার ভুলে অশ্রুসায়রে সঙ্গোপনে।।