বাণী

তোর রূপে সই গাহন ক’রে জুড়িয়ে গেল গা
তোর গাঁয়েরি নদীর ঘাটে বাঁধলাম এ মোর না।।
	তোর চরণের আলতা লেগে
	পরান আমার উঠল রেঙে (রে)
ও তোর বাউরি কেশের বিনুনীতে জড়িয়ে গেল পা।
তোর বাঁকা ভুরু বাঁকা আঁখি বাঁকা চলন, সই,
দেখে পটে আঁকা ছবির মতন দাঁড়িয়ে পথে রই।
	উড়ে এলি’ দেশান্তরী
	তুই কি ডানা-কাটা পরী (রে)
তুই শুকতারারি সতিনী সই সন্ধ্যাতারার জা’।।

বাণী

তিলক দিলে কি শ্যাম ত্রিলোক ভুলাতে?
কে দিল বনমালী বনমালা গলাতে?
আঁখি যেন ঢলঢল আধফোটা শতদল
কে শিখাল ও চাহনি গোপিনী ছলিতে?

বাণী

ত্রাণ কর মওলা মদিনার, উম্মত তোমার গুনাহ্‌গার কাঁদে।
তব প্রিয় মুসলিম দুনিয়া পড়েছে আবার গুনাহের ফাঁদে।।
	নাহি কেউ ঈমানদার, নাহি নিশান-বরদার,
	মুসলিম জাহানে নাহি আর পরহেজগার,
	জামাত শামিল হতে যায় না মসজিদে,
	পড়ে নাকো কোরআন মানে না মুর্শিদে;
ভুলিয়াছে কল্‌মা শাহাদাত, পড়ে না নামাজ ঈদের চাঁদে।।
	নাহি দান খয়রাত, ভুলে মোহ ফাঁসে
	মেতে আছে সবে বিভবে বিলাসে;
	বসিয়াছে জালিম শাহী তখ্‌তে তব —
	মজলুমের এ ফরিয়াদ আর কাহে কব,
তলোয়ার নাহি আর, পায়ে গোলামীর জিঞ্জির বাঁধে।।

বাণী

তৌহিদেরি মুর্শিদ আমার মোহাম্মদের নাম।
ঐ নাম জপলেই বুঝতে পারি খোদায়ী কালাম —
			মুর্শিদ মোহাম্মদের নাম।।
ঐ নামেরি রশি ধ’রে যাই আল্লার পথে,
ঐ নামেরি ভেলা ধ’রে ভাসি নূরের স্রোতে,
ঐ নামেরি বাতি জ্বেলে দেখি আরশের মোকাম।
			মুর্শিদ মোহাম্মদের নাম।।
ঐ নামের দামন ধ’রে আছি আমার কিসের ভয়,
ঐ নামের গুনে পাব (আমি) খোদার পরিচয়,
তাঁর কদম মোবারক যে আমার বেহেশ্‌তী তাঞ্জাম।
			মুর্শিদ মোহাম্মদের নাম।।

বাণী

তুই কালি মেখে জ্যোতি ঢেকে পারবি না মা ফাঁকি দিতে।
ঐ অসীম আঁধার হয় যে উজল মা, তোর ঈষৎ চাহনিতে।।
		মায়ের কালি মাখা কোলে
		শিশু কি মা, যেতে ভোলে?
আমি দেখেছি যে, বিপুল স্নেহের সাগর দোলে তোর আঁখিতে।।
কেন আমায় দেখাস মা ভয় খড়গ নিয়ে, মুন্ডু নিয়ে?
আমি কি তোর সেই সন্তান ভুলাবি মা ভয় দেখিয়ে।
		তোর সংসার কাজে শ্যামা,
		বাধা আমি হব না মা,
মায়ার বাঁধন খুলে দে মা ব্রহ্মময়ী রূপ দেখিতে।।

বাণী

তারকা-নূপুরে নীল নভে ছন্দ শোন্ ছন্দিতার।
সৃষ্টিময় বৃষ্টি হয় নৃত্য সেই নন্দিতার।।
সাগরে নদীতে ঢেউ তোলে সেই দেবীর মুক্তকেশ।
সঙ্গীতের হিন্দোলে তাঁর আঁখির প্রেম-আবেশ।
পবনে পবনে হিল্লোলে নীল আঁচল চঞ্চলার
ছন্দোময় আনন্দময় চরণশ্রী বন্দি তাঁর।।