ভালোবাসার ছলে আমায়

বাণী

ভালোবাসার ছলে আমায় তোমার নামে গান গাওয়ালে।
চাঁদের মতন সুদূর থেকে সাগরে মোর দোল খাওয়ালে।।
কাননে মোর ফুল ফুটিয়ে উড়ে গেল গানের পাখি,
যুগে যুগে আমায় তুমি এমনি ক’রে পথ চাওয়ালে।।
আঁকি তোমার কতই ছবি, তোমায় কতই নামে ডাকি,
পালিয়ে বেড়াও, তাই তো তোমায় রেখার সুরে ধ’রে রাখি।
মানসী মোর! কোথায় কবে আমার ঘরের বধূ হবে,
লোক হ’তে গো লোকান্তরে সেই আশে তরী বাওয়ালে।।

এত দিনে ধরা দিলে বনের পাখি

বাণী

এত দিনে ধরা দিলে বনের পাখি।
কেথায় রাখি, কোন্ প্রিয় নামে ডাকি।।
সদাই জাগে ভয়, দুরু দুরু হিয়া
কখন উড়ে যাবে বনের পাপিয়া
জেগে থাকি তাই সদা ঘুমহারা আঁখি।।
নয়নে রাখিলে, হিয়া কাঁদে অভিমানে
হিয়ায় রাখিলে, বারি ঝরে নয়নে,
তুমি ব’লে দাও প্রিয় কোথায় রাখি।।

নাটক : ‘অর্জুন-বিজয়’

ভাঙা মন (আর) জোড়া নাহি যায়

বাণী

ভাঙা মন (আর) জোড়া নাহি যায়
ওগো ঝরা ফুল আর ফেরে না শাখায়।।
	শীতের হাওয়ায় তুষার হয়ে
	গলি' খরতাপে বারি যায় ব'য়ে
গলে নাক' আর হৃদয়-তুষার এ উষ্ণ ছোঁওয়ায় ।।
	গাঁথি' ফুলমালা নাহি দিয়া গলে
	শুকালে নিঠুর তব মুঠি-তলে,
হাসিবে না সে ফুল শত আঁখি-জলে আর সে শোভায়।
	স্রোতের সলিলে
	যে বাঁধ বাঁধিলে
ভাঙিয়ে সে বাঁধ তোমারে ভাসায়।।

মরণ ডাকে আয় রে চ’লে

বাণী

মরণ ডাকে — ‘আয় রে চ’লে!’ জীবন বলে — ‘যাই গো যাই।’
জীবনে হায় পায়নি ব’লে (আমার) মরণে তাই চাই গো চাই।।
	জীবন শুধু কাঁটায় ভরা
	তাই বুঝি সে দেয়নি ধরা,
ফুল-বিছানো কবরে তার মধুর পরশ পাই গো পাই।
মরণ-বঁধূর ডাক শুনে আর জীবনে সাধ নাই গো নাই।।

নাটকঃ ‘কাফন চোরা’

মোহররমের চাঁদ এলো ঐ

বাণী

মোহররমের চাঁদ এলো ঐ কাঁদাতে ফের দুনিয়ায়।
ওয়া হোসেনা ওয়া হোসেনা তারি মাতম শোনা যায়।।
কাঁদিয়া জয়নাল আবেদীন বেহোশ হল কারবালায়
বেহেশ্‌তে লুটিয়ে কাঁদে আলী ও মা ফাতেমায়।।
কাশেমের ঐ লাশ লয়ে কাঁদে বিবি সাকিনা।
আস্‌গরের ঐ কচি বুকে তীর দেখে কাঁদে খোদায়।।
কাঁদে বিশ্বের মুসলিম আজি গাহে তারি মর্সিয়া।
ঝরে হাজার বছর ধরে অশ্রু তারি শোকে হায়।।

বিদেশি অতিথি সিন্ধু পারে

বাণী

পুরুষ 	: 	বিদেশি অতিথি সিন্ধু পারে পথহারা ফিরি দ্বারে দ্বারে।
স্ত্রী 	: 	বাইরে হিম ঝরে ঝিম্ ঝিম্ ঝিম্ বন্ধু এসো এপারে।।
পুরুষ 	: 	তোমারে বুঝি না বুঝি বা আধেক
স্ত্রী 	: 	নয়নের ভাষা বঁধু সব দেশে এক,
পুরুষ 	: 	তুমি ঊষা, ল’য়ে তুষার কর খেলা — ভোরবেলা।
স্ত্রী 	: 	পুবের তপন সম রাঙাও জীবন মম তোমার কিরণ ধারে।।
পুরুষ 	: 	তব কণ্ঠে সুর শুনি হায় সকরুণ স্মৃতি জাগায়,
স্ত্রী 	: 	বিদেশি চেরী-কুসুমের মালিকা লহ গলায়।
উভয়ে	:	চল যাই যেথা নাই দেশের বন্ধন
			নাহি গো ক্রন্দন,
			নিরুদ্দেশের পথে প্রেম অভিসারে।।