আঁধারের এলোকেশ ছড়িয়ে এলে
বাণী
আঁধারের এলোকেশ ছড়িয়ে এলে তুমি ধূসর সন্ধ্যা। তোমারে অর্ঘ্য দিতে বনে ফুটিল কি তাই রজনীগন্ধা? গোধূলির রং সম তব মুখ, হায়! তরুণ হাসি কেন চকিতে মিলায়? সহসা মহুয়া বনে চঞ্চল বায় হ’ল নিথর সুমন্দা।। বিষাদ-গভীর তব নয়ন যেন নিশীথের সিন্ধু; মুদিত কমলের দলিত দলে তুমি শিশিরের বিন্দু। তুমি সকরুণ প্রার্থনা বেলাশেষের, পথ-হারা পাখি তুমি দূর বিদেশের, স্নিগ্ধ-স্রোত তুমি দূর অমরার অলকানন্দা।।
ভাঙা মন (আর) জোড়া নাহি যায়
বাণী
ভাঙা মন (আর) জোড়া নাহি যায় ওগো ঝরা ফুল আর ফেরে না শাখায়।। শীতের হাওয়ায় তুষার হয়ে গলি' খরতাপে বারি যায় ব'য়ে গলে নাক' আর হৃদয়-তুষার এ উষ্ণ ছোঁওয়ায় ।। গাঁথি' ফুলমালা নাহি দিয়া গলে শুকালে নিঠুর তব মুঠি-তলে, হাসিবে না সে ফুল শত আঁখি-জলে আর সে শোভায়। স্রোতের সলিলে যে বাঁধ বাঁধিলে ভাঙিয়ে সে বাঁধ তোমারে ভাসায়।।
ঐ জল্কে চলে লো কার ঝিয়ারি
বাণী
ঐ জল্কে চলে লো কার ঝিয়ারি। রূপ চাপে না তার নীল শাড়ি।। এমন মিঠি বিজলি দিঠি শেখালে তায় কে গো? রূপে ডুবু ডুবু রবির রঙ-ভরা ছবির, ছোঁয়াচ লেগেছে গো। মন মানে না, আর কি করি ! চলে পিছনে ছুটে’ তারি।। নাচে বুলবুলি ফিঙে ঢেউয়ে নাচে ডিঙে মাঠে নাচে খঞ্জন; তার দু’টি আঁখি-তারা নেচে হতো সারা — দেখেছে বল কোন জন? আঁখি নিল যে মোর মন্ কাড়ি’ — ঘরে থাকিতে আর নারি লো।। গোলাপ বেলী যুঁই-চামেলি - কোন্ ফুল তারি তুল্ গো তার যৌবন-নদী বয় নিরবধি ভাসায়ে দু’ কূল গো নিল ভাসায়ে প্রাণ আমারি রূপে দু’কূল–ছাপা গাঙ্ তারি।।
মোরে মায়ার ডোরে বাঁধিস যদি মা
বাণী
মোরে মায়ার ডোরে বাঁধিস যদি মা তোরেই সে ডোর খুলতে হবে। খুলিয়া মায়া ডোর মুছিবি আঁখি লোর (আমি) আকুল হয়ে মা কাঁদব যবে।। ওমা তোর কালী নাম যখনই মনে হয় মনের কালিমা অমনি হয় লয়, অভাবে দুঃখে শোকে আমার কিবা ভয়; আমি যে গর্ব করি তোরই গরবে।। শত অপরাধ করে দিনের খেলায় ছুটে আসি তোর কোলে সন্ধ্যাবেলায়; সংসার পথে মা মাখি যতই ধূলি, মুছিয়ে রাঙা হাতে কোলে নিবি তুলি। আমি সেই ভরসাতে মা হাসি খেলি ভবে।।