বাণী

সখি আর অভিমান জানাব না বাস্‌ব ভালো নীরবে।
যে চোখের জলে গল্‌ল না, (তার) মুখের কথায় কি হবে॥
অন্তর্যামী হয়ে অন্তরে মোর
	দিবা-নিশি রহে যে চিত-চোর,
অন্তরে মোর কোন্ সে-ব্যথা বোঝে না সে, কে ক’বে॥
সখি এবার আমার প্রেম নিবেদন গোপনে,
সূর্যমুখী চাহে যেমন তপনে।
	কুমুদিনী চাঁদে ভালোবাসে
	তাই চিরদিন অশ্রুর সায়রে ভাসে,
চির জীবন জানি কাঁদিতে হবে তাহারে চেয়েছি যবে॥১
১. শেষ পাঁচ পঙক্তির পাঠ্যন্তর :
সখি	এবার আমার প্রেম বিবেদন আপন মনে গোপনে,
	সূর্যমুখী চাহে যেমন চাওয়ার নেশা তপনে।
	কুমুদিনী চাঁদে ভালোবাসে
	তাই সে অশ্রু সায়রে ভাসে,
	হাজার জনম কাঁদিতে হইবে তাহারে চেয়েছি যবে॥

বাণী

	মেঘের হিন্দোলা দেয় পূব-হাওয়াতে দোলা।
কে	দুলিবি এ-দোলায় আয় আয় ওরে কাজ-ভোলা॥
		মেঘ-নটীর নূপুর
		ঐ বাজে ঝুমুর ঝুমুর,
	শীর্ণা-তনু ঝর্না তরঙ্গ-উতরোলা॥
	ফুল-পসারিণী ঐ দুলিছে বনানী
	বিনিমূলে বিলায় সে সুরভি, ফুল ছানি।
আজ	ঘরে ঘরে ফুল-দোল্ সব বন্ধ দুয়ার খোলা॥
		জলদ-মৃদঙ বাজে
		গভীর ঘন আওয়াজে,
	বাদলা-নিশীথ দুলে ঐ তিমির-কুন্তলা॥

বাণী

মম বন-ভবনে ঝুলন দোলনা দে দুলায়ে উতল পবনে
মেঘ-দোলা দুলে বাদল গগনে।।
আয় ব্রজের ঝিয়ারি পরি' সুনীল শাড়ি
নীল কমল কুঁড়ি দুলায়ে শ্রবণে।।
নবীন ধানের মঞ্জরি কর্ণে
তপ্ত বক্ষ ঢাকি' শ্যামল পর্ণে
ওড়না ছুপায়ে রাঙা রামধনু বর্ণে
আয় প্রেম-কুমারীরা আয় লো,
উদাসী বাঁশীর সুরে ডাকে শ্যামরায় লো।
ঝরিবে আকাশে অবিরল বৃষ্টি
শ্যাম-সখা সাথে হবে শুভ-দৃষ্টি
এই ঝুলনের মধু-লগনে।।

বাণী

ঢল ঢল তব নয়ন-কমল কাজল তোমারেই সাজে।
শোভে তোমারেই চাঁদের হাসি হিঙুল অধর-মাঝে।।
	ফিরোজা-রঙ শাড়ি চাঁপা রঙে তব
	সেজেছে প্রিয়া কি অভিনব,
সুনীল গগনে গোধূলি রঙ যেন মিশেছে আসিয়া ঊষা ও সাঁঝে।।
কোমলে কড়িতে বাজে কাঁকন চুড়ি
শিথিল আঁচল ল’য়ে খেলে হাওয়া লুকোচুরি,
উষ্ণ কপোল ছুঁয়ে থল্-কমলী আঁউ’রে গেল যে লাজে।।

বাণী

		তোমায় কূলে তুলে বন্ধু আমি নামলাম জলে।
আমি		কাঁটা হয়ে রই নাই বন্ধু তোমার পথের তলে॥
আমি		তোমায় ফুল দিয়েছি কন্যা তোমার বন্ধুর লাগি’
		যদি আমার শ্বাসে শুকায় সে ফুল তাই হলাম বিবাগী।
		আমি বুকের তলায় রাখি তোমায় গো, ওরে শুকায়নি ক’ গলে॥
(ওই)		যে-দেশ তোমার ঘর্‌ রে বন্ধু সে দেশ হতে এসে,
আমার	দুখের তরী দিছি ছেড়ে, (বন্ধু) চলতেছে সে ভেসে।
এখন		যে-পথে নাই তুমি বন্ধু গো, তরী সেই পথে মোর চলে॥

বাণী

ওরে	ও-চাঁদ! উদয় হ’লি কোন্ জোছনা দিতে!
দেয়	অনেক বেশি আলো আমার নবীর পেশানীতে।।
ওরে	রবি! আলোক দিস্ যত তুই দগ্ধ করিস্ তত
	আমার নবী স্নিগ্ধ শীতল কোটি চাঁদের মত,
সে	নাশ করেছে মনের আঁধার ঈষৎ হাসিতে।।
ওরে	আসমান! তুই সুনীল হলি জানি কেমন ক’রে
	আমার নবীর কালো চোখের একটুকু নীল হ’রে।
ওরে	তারা! তোরা জ্যোতি পেলি নবীজীর চাউনিতে।।
ওরে	বসরা গোলাব! অনেক বেশি খোশবু তোদের চেয়ে
	সেই ধূলিতে মোর নবীজী যেতেন যে পথ বেয়ে,
	সেই বারতা ফুলকে শোনায় বুল্‌বুলি সঙ্গীতে।।