বাণী

স্ত্রী	:	সই কই লো আমার ঘর নিকোবার ন্যাতা।
পুরুষ	:	আহা ন্যাতা নয় গো শীতের কাঁথা এই যে আমি হেথা॥
স্ত্রী	:	সই-লো ওলো সই, আমার ছাই ফ্যালবার ভাঙাদ কুলো কই ?
পুরুষ	:	কুলোর বাতাস চুলোর ছাই
		স্বামী বলো কিম্বা ভাই, (ওলো) এই যে তোমার আমি।
উভয়ে	:	মিলেছি রাজ যোটক দুয়ে
পুরুষ	:	গিঁটে বাত ওরে বাবা রে বাবা গিঁটে বাত
স্ত্রী	:	আর ফিকের ব্যথা, ওরে মা রে, মা আর ফিকের ব্যথা॥
		ওলো সই বাপের বাড়ি যাব আমি এ ঘরে রব না,
পুরুষ	:	দেখো পুরুষের রাগ করে আনাগোনা
		আমিও যাব শ্বশুর বাড়ি, ওরে রেমো নিয়ে আয় ব্যাগ ছাতা।
উভয়ে	:	নথে এবং নাথে এম্‌নি যুদ্ধ।
পুরুষ	:	গুঁতোগুতি
স্ত্রী	:	জড়াজড়ি
পুরুষ	:	ছাতা-ছড়ি
স্ত্রী	:	খুনতি-বেড়ী
উভয়ে	:	হাতা॥

বাণী

তুমি কি আসিবে না
বলেছিলে তুমি আসিবে আবার ফুটিবে যবে হেনা।।
	সেদিন ঘুমায়ে ছিল যে মূকুল
	আজি সে পূর্ণ বিকশিত ফুল
সেদিনের ভীরু অচেনা হৃদয় আজি হতে চায় চেনা।।
ঘন পল্লব গুণ্ঠন ঢাকা ছিল সেদিন যে লতা
আজিকে পুষ্প নিবেদন ল’য়ে কহিতে চায় যে কথা।
	প্রদীপ জ্বালায়ে আজি সন্ধ্যায়
	পথ চেয়ে আছি তোমারি আশায়
পূর্ণিমা-তিথি আসিল, হে চাঁদ-অতিথি আসিলে না।।

বাণী

খাতুনে জান্নাত ফাতেমা জননী — বিশ্ব-দুলালী নবী নন্দিনী,
মদিনাবাসিনী পাপতাপ নাশিনী উম্মত-তারিণী আনন্দিনী।।
	সাহারার বুকে মাগো তুমি মেঘ-মায়া,
	তপ্ত মরুর প্রাণে স্নেহ-তরুছায়া;
মুক্তি লভিল মাগো তব শুভ পরশে বিশ্বের যত নারী বন্দিনী।।
হাসান হোসেনে তব উম্মত তরে, মাগো
কারবালা প্রান্তরে দিলে বলিদান,
বদলাতে তার রোজ হাশরের দিনে
চাহিবে মা মোর মত পাপীদের ত্রাণ।
	এলে পাষাণের বুকে চিরে নির্ঝর সম,
	করুণার ক্ষীরধারা আবে-জমজম;
ফিরদৌস হ’তে রহমত বারি ঢালো সাধ্বী মুসলিম গরবিনী।।

বাণী

তুমি যেয়ো না তুমি যেয়ো না।
মিলনের সাধ না মিটিতে চাঁদ বিদায় চেয়ো না।।
	শোনো গো আমার বক্ষের মাঝে
	সাত সাগরের ক্রন্দন বাজে,
জোয়ারের তরী এখনই বন্ধু ভাটার স্রোতে বেয়ো না।।

নাটক : ‘মধুমালা’ (স্বপনপরীর গান)

বাণী

দাসী হতে চাই না আমি হে শ্যাম কিশোর বল্লভ,
আমি তোমার প্রিয়া হওয়ার দুঃখ লব।
	জানি জানি হে উদাসীন
	দুঃখ পাব অন্ত বিহীন
বঁধুর আঘাত মধুর যে নাথ সে গরবে সকল সব।।
তোমার যারা সেবিকা নাথ, আমি নাহি তাদের দলে,
সবর্নাশের আশায় আমি ভেসেছি প্রেম পাথার জলে।
	দয়া যে চায় যাচুক চরণ
	আমার আশা করব বরণ
বিরহে হোক মধুর মরণ, আজীবন সুদূরে রব।।

বাণী

কলহংসিকা বাহনা পদ্মিনী-পাণি
মণি মঞ্জীরা শোভনা, ছন্দিতা বাণী।
বন্দে দামিনী-বর্ণা রাধা বৃন্দা-বন-চন্দে
মত্ত-ময়ূর-ছন্দে নাচে কৃষ্ণ প্রেমানন্দে।।
পল্লব-ঘন চক্ষে ঝরে অশ্রু-রস-ধারা
পূব হাওয়াতে বংশী ডাকে আয় রে পথ-হারা,
রুমঝুম ঝুম্ মঞ্জীর বাজে কঙ্কণ মণি বন্ধে।।
রিম্ ঝিম্ রিম্ ঝিম্ ঝিম্ কেকা-বন ঘন বর্ষে
তৃষ্ণ-তৃপ্ত আত্মা নাচে নন্দালোক হর্ষে,
ঝঞ্ঝার ঝাঁঝর তাল বাজে শূন্যে মেঘ মন্দ্রে।।