বাণী

উভয়		:	মোর মন ছুটে যায় দ্বাপর যুগে দূর দ্বারকায় বৃন্দাবনে।
স্ত্রী+উভয়ে	:	মোর মন হ’তে চায় ব্রজের রাখাল খেলতে রাখাল-রাজার সনে॥
স্ত্রী		:	রূপ ধরে না বিশ্বে যাহার
			দেখতে সাধ যায় কিশোর-রূপ তার
পুরুষ		:	কেমন মানায় নরের রূপে অনন্ত সেই নারায়ণে॥
স্ত্রী		:	সাজ্‌ত কেমন শিখী-পাখা বাজ্‌ত কেমন নূপুর পায়ে,
পুরুষ		:	থির কেমনে থাক্‌ত ধরা নাচ্‌ত যখন তমাল-ছায়ে।
উভয়		:	মা যশোদা বাঁধ্‌ত যখন কাঁদ্‌ত ভগবান কেমনে॥
স্ত্রী		:	সাজ্‌ত কেমন বন-মালায় বিশ্ব যাহার অর্ঘ্য সাজায়;
পুরুষ		:	যোগী-ঋষি পায় না ধ্যানে গোপ-বালা কেমনে পায়।
উভয়		:	তেম্‌নি ক’রে কালার প্রেমে সব খোয়াব এই জীবনে॥

বাণী

আয় ঘুম আয়!
সাপিনীর দংশনে যেমন অবশ তনু —
তেমনি ঢলিয়া পড় মায়া-নিদ্রায়।।
সংসার অহিফেন বিষ পিয়ে হায়
যেমন অচেতন জীব অসাড়ে ঘুমায়,
যেমন পাতাল তলে ঘুমায় দৈত্যদলে
তেমনি ঘুমাও জড় পাষাণের প্রায়।।

নাট্যগীতি : ‘দেবী দুর্গা’

বাণী

নাহি ভয় নাহি ভয়।
মৃত্যু সাগর মন্থন শেষ আসে মৃত্যুঞ্জয়।।
কৃষ্ণাতিথির তিমির হরণ
আসিল কৃষ্ণ তিমির বরণ,
দিকে দিকে ঐ গাহে জনগণ —
জয় হে জ্যোতির্ময়।।
দলিত হৃদয়-শতদলে তাঁর
আঁখি-জল-ঘেরা আসন বিথার,
ব্যথা-বিহারীরে দেখিবি কে আয়।
ধ্বংসের মাঝে বংশী বাজায়,
নিখিলের হৃদি বেদনা-আভায় —
নবীন অভ্যুদয়।।

বাণী

ওগো ঠাকুর! বলতে পার কোথায় তোমার দেশ।
সেই দেশেতে যাব আমি করবো দুখের শেষ।।
	কাঁদবো তোমার পায়ে ধ’রে
	আমার বাবা-মায়ের তরে,
দেখতে নারি ঠাকুর, তাদের আর এ দীন বেশ।।

নাটকঃ ‘নরমেধ’

বাণী

আজো কাঁদে কাননে কোয়েলিয়া।
চম্পা কুঞ্জে আজো গুঞ্জে ভ্রমরা, কুহরিছে পাপিয়া।।
প্রেম-কুসুম শুকাইয়া গেল হায়,
প্রাণ-প্রদীপ মোর হের গো নিভে যায়,
বিরহী এসো ফিরিয়া।।
তোমারি পথ চাহি হে প্রিয় নিশিদিন
মালার ফুল মোর ধূলায় হ’ল মলিন
জনম গেল ঝুরিয়া।।

বাণী

এলো এলো রে ঐ সুদূর বন্ধু এলো।
এলো পথ চাওয়া এলো হারিয়ে পাওয়া
মনের আঁধার দূরে গেল, ঐ বন্ধু এলো।।
এলো চঞ্চল বন্যার ঢল মন্থর স্রোত-নীড়ে,
এলো শ্যামল মেঘ-মায়া তৃষিত গগন ঘিরে;
তার পলাতকা মৃগে বন ফিরে পেল।।
এলো পবনে বিহ্‌বল চঞ্চলতা
যেন শান্ত ভবনে এলো সারা ভুবনের কল-কথা।
অলি গুঞ্জরি’ কয় জাগো বনবীথি;
ডাকে দখিনা মলয় — এলো এলো অতিথি;
বাজে তোরণ দ্বারে বাঁশরি গীতি,
দুখ নিশি পোহাল, আঁখি মেল।।

নাটিকা: ‌‘বাসন্তিকা’