বাণী
চাঁপার কলির তুলিকায়, কাজল লেখায় শ্রীমতী শ্রীহরির ছবি আঁকে। রাই ছবি আঁকে পটে গো, যারে হেরে নিতি গোঠে যেতে যমুনার তটে গো, সে বংশী বাজায়ে মঞ্জির পায়ে নাচে ছায়া বটে গো, রাই ছবি আঁকে পটে গো। আঁকিয়া শ্যামের মূরতি আঁকিল না রাধা শ্রীচরণ , রাধা চরণ আঁকে না, তুলি তুলিয়া রাখে চরণ আঁকে না। তখন ললিতা বলে- ‘রাধা! রাধা! রাধা! তুই আঁকলি না কেন চরণ রাধা!’ ‘জীবন মরণ যে চরণে বাঁধা, আঁকলি না কেন চরণ রাধা — বিশ্বের ত্রাণ বৃন্দাবনের ধ্যানজ্ঞান ব্রজগোপী সাধা’ — ‘আঁকলি না কেন চরণ রাধা’ —! তখন রাধা কেঁদে বলে- ‘ওগো ললিতা — সখি আঁকিলে চরণ যাবে সে পালায়ে আমি হব পদদলিতা। পলায়ে যাবে গো মথুরায়, আবার পালায়ে যাবে গো — চির চপল সে মথুরায় আবার পালায়ে যাবে গো — থাক লুকানো হৃদয়ে শ্রীচরণ।’