শত জনম আঁধারে আলোকে
বাণী
শত জনম আঁধারে আলোকে তারকা-গ্রহে লোকে লোকে প্রিয়তম! খুঁজিয়া ফিরেছি তোমারে।। স্বপন হয়ে রয়েছ নয়নে তপন হ’য়ে হৃদয়-গগনে, হেরিয়া তোমারে বিরহ-যমুনা, প্রিয়তম! দুলিয়া উঠে বারে বারে।। হে লীলা-কিশোর! ডেকেছে আমারে তোমার বাঁশি, যুগে যুগে তাই তীর্থ-পথিক ফিরি উদাসী। দেখা দাও, তবু ধরা নাহি দাও ভালোবাস ব’লে তাই কি কাঁদাও, তোমারি শুভ্র পূজার-পুষ্প প্রিয়তম! ফুটিয়া ওঠে অশ্রুধারে।।
কৃষ্ণ-প্রিয়া লো কেমনে যাবি
বাণী
কৃষ্ণ-প্রিয়া লো! কেমনে যাবি অভিসারে? সে বিরহী রসে মানস সুরধুনী ’পারে।। সে এ পারে রহে না পারাপারের অতীত সে, এ পারে রহে না, এ পারে না, ও পারেও রহে না, কোন পারে রহে না।। গগনে গুরু গুরু মেঘ গরজে অবিরল বাদল ঝর ঝর ঝরে, আঁখি-জলে আঁখি তোর টলমল সই অন্তর দুরুদুরু করে। পথ দেখিবি কেমনে আঁখি-জলে পিছল আঁখি, পথ দেখিবি কেমনে। তোর আঁখি পিছল পথও পিছল পথে যাবি কেমনে, তোর অন্তরে মেঘ, বাহিরে মেঘ পথ দেখিবি কেমনে। একে কুহু-যামিনী তাহে কুল-কামিনী পথে পথে কালনাগিনী (লো), আছে আড় পেতে শাশুড়ি ননদিনী লো। তুই চাতকীর মত কেতকীর মত রাই মেঘ দেখে মত্ত হইলি ভয় নাই, যার প্রেমের পথে বাধা বিধির অভিশাপ — সাপেরে সে ভয় করে না।।
ভ্রমর-নূপুর পরিহিতা কৃষ্ণ-কুন্তলা
বাণী
ভ্রমর-নূপুর পরিহিতা কৃষ্ণ-কুন্তলা। বলয়-কাঁকন ঝনকিতা ছন্দ-চঞ্চলা।। মলয়-সমীর ঝিরি ঝিরি অঙ্গে গুঞ্জরে কদম-কেশর১ ঝুরুঝুরু চম্পা মুঞ্জরে, চটুল নয়ন চমকিত জোছনা-অঞ্চলা।। বিধুর কোকিল-কুহরিত আম্রকুঞ্জে২ গো রূপের পরাগ ঝরে তব পুঞ্জে পুঞ্জে গো, নিখিল-ভুবন তব রাস-নৃত্য হিন্দোলা।।
১. আমের মুকুল, ২. কদম কুঞ্জে