তিলক কামোদ

  • অগ্নি-ঋষি অগ্নি-বীণা তোমায় শুধু সাজে

    বাণী

    অগ্নি-ঋষি! অগ্নি-বীণা তোমায় শুধু সাজে;
    তাই ত তোমার বহ্নি-রাগেও বেদন-বেহাগ বাজে॥
    		দহন-বনের গহন-চারী —  
    		হায় ঋষি — কোন্ বংশীধারী দেশি
    নিঙ্‌ড়ে আগুন আনলে বারি, অগ্নি-মরুর মাঝে।
    সর্বনাশা কোন্ বাঁশি সে বুঝতে পারি না যে॥
    দুর্বাসা হে! রুদ্র তড়িৎ হানছিলে বৈশাখে,
    হঠাৎ সে কার শুন্‌লে বেণু কদম্বের ঐ শাখে।
    		বজ্রে তোমার বাজল বাঁশি,
    		বহ্নি হল কান্না-হাসি,
    সুরের ব্যথায় প্রাণ উদাসী — মন সরে না কাজে।
    তোমার নয়ন-ঝুরা অগ্নি-সুরেও রক্তশিখা রাজে॥
    
  • অবুঝ মোর আঁখি বারি

    বাণী

    অবুঝ মোর আঁখি বারি, আমি রোধিতে নারি।।
    গ'লেছে যে-নদী জল, কে তারে রোধিবে বল,
    পাষাণের সে নারায়ণ তবু সে আমারি।।
    
  • রাখ রাখ রাঙা পায় হে শ্যামরায়

    বাণী

    রাখ রাখ রাঙা পায়, হে শ্যামরায়!
    ভুলে গৃহ স্বজন সবই সঁপেছি তোমায়॥
    সংসার মরু ঘোর, নাহি তরু-ছায়া,
    নব নীরদ শ্যাম, আনো মেঘ-মায়া;
    আনন্দ-নীপবনে নন্দ-দুলাল এসো,
    বাহও উজান, হরি, অশ্রুর যমুনায়॥
    একা জীবন মোর গহন ঘন ঘোর,
    এসো এ বনে বনমালী, গোপ কিশোর,
    কুঞ্জ রচেছি দুখ-শোক তমাল-ছায় -  
    প্রেম-প্রীতির গোপী চন্দন শুকায়ে যায়॥
    দারা সুত প্রিয়জন, হরি হে, নাহি চাই,
    পদ্মা-পলাশ-আঁখি যদি দেখিতে পাই;
    রাখাল-রাজা এসো, এসো হে ঋষিকেশ,
    গোকুলে লহ ডাকি’, অকূলে ভাসি হায়॥
    

  • সৃজন ছন্দে আনন্দে

    বাণী

    সৃজন ছন্দে আনন্দে নাচো নটরাজ
    হে মহকাল প্রলয়–তাল ভোলো ভোলো।।
    	ছড়াক তব জটিল জটা
    	শিশু–শশীর কিরণ–ছটা
    উমারে বুকে ধরিয়া সুখে দোলো দোলো।।
    মন্দ–স্রোতা মন্দাকিনী সুরধুনী–তরঙ্গে
    সঙ্গীত জাগাও হে তব নৃত্য–বিভঙ্গে।
    	ধুতরা ফুল খুলিয়া ফেলি’
    	জটাতে পর চম্পা বেলী
    শ্মশানে নব জীবন, শিব, জাগিয়ে তোলো।।