বাণী

উদার অম্বর দরবারে তোরই প্রশান্ত প্রভাত বাজায় বীণা।
শতদল-শ্রভ্রা পদতল-লীনা, প্রশান্ত প্রভাত বাজায় বীণা।।
	সহস্র কিরণ-তারে হানি’ ঝঙ্কার
	ধ্বনি তোলে অনাহত গভীর ওঙ্কার,
সেই সুরে উদাসীন, পরমা প্রকৃতি ধ্যান-নিমগ্না মহাযোগাসীনা।।
	আনন্দ-হংস বিমুগ্ধ গতিহীন
	স্থির হ’য়ে ব্যোমে শোনে সে জ্যোতির্বীণ,
ঝরা ফুল-অঞ্জলি তা’রি চরণে প্রণতা ধরণী বাণী-বিহীনা।।

বাণী

ঈদজ্জোহার তকবীর শোন ঈদ্গাহে!
(তোর) কোরবানিরই সামান নিয়ে চল্ রাহে।।
কোরবানির রঙে রঙিন পর লেবাস্
পিরহানে মাখ্‌রে ত্যাগের গুল্-সুবাস,
হিংসা ভুলে প্রেমে মেতে
ঈদগাহেরই পথে যেতে দে মোবারকবাদ দ্বীনের বাদ্শাহে।।
খোদারে দে প্রাণের প্রিয়, শোন্ এ ঈদের মাজেরা
যেমন পুত্র বিলিয়ে দিলেন খোদার নামে হাজেরা,
	ওরে কৃপণ, দিস্‌নে ফাঁকি আল্লাহে।।
তোর পাশের ঘরে গরীব কাঙাল কাঁদছে যে
তুই তারে ফেলে ঈদ্গাহে যাস্ সঙ সেজে,
	তাই চাঁদ উঠ্ল, এলো না ঈদ্
	নাই হিম্মৎ, নাই উম্মিদ,
শোন্ কেঁদে কেঁদে বেহেশ্‌ত হ’তে হজরত আজ কি চাহে।।

বাণী

আই লো, আই সতীন-রা আম খাবি তো আয়।
এ আম খেলে, হবে ছেলে ঘুচবে সকল দায়।।
ফকিরের দাওয়ার এ ফল,
খেলে পেটে আসবে লো ফল,
জীবন তোদের হবে সফল, আই লো তোরা আয়।।

লেটো গান: ‘বানর রাজকুমার’

বাণী

গুনগুনিয়ে ভ্রমর এলো ফুলের পরাগ মেখে
তোমার বনে ফুল ফুটেছে যায় ক'য়ে তাই ডেকে।।
	তোমার ভ্রমর দূতের কাছে
	যে বারতা লুকিয়ে আছে —
দখিন হাওয়ায় তারি আভাস শুনি থেকে থেকে।।
দল মেলেছে তোমার মনের মুকুল এতদিনে —
সেই কথাটি পাখিরা গায় বিজন বিপিনে।
	তোমার ঘাটের ঢেউগুলি হায়
	আমার ঘাটে দোল দিয়ে যায় —
লতায় পাতায় জোছনা দিয়ে সেই কথা চাঁদ লেখে।।

বাণী

পুরুষ	:	কিশোরী বাসন্তী ডাকিছে তোমায় ফুলবন।
স্ত্রী	:	ডাকে হে শ্যাম, তোমায় তাল ও তমাল বন শন্ শন্।।
পুরুষ	:	তুমি ফুলের বারতা
স্ত্রী	:	তুমি বন-দেবতা,
উভয়ে	:	আমরা আভাস ফাল্গুনের, দূর স্বর্গের পরশন।।
পুরুষ	:	কল্প-লোকের তুমি রূপ-রানী গো প্রিয়া,
		অপাঙ্গে ফোটাও যুঁই-চম্পা-টগর-মোতিয়া।
স্ত্রী	:	নিঠুর পরশ তব (হায়) যাচিয়া জাগে বনভূমি
		ফুলদল পড়ে ঝরি’ তব চারু পদ চুমি’,
উভয়ে	:	আমরা ফুলশর-ঊর্বশী দেব-সভার মোরা হরষণ।।

বাণী

মোরে সেইরূপে দেখা দাও হরি।
তুমি ব্রজের বালারে রাই কিশোরীরে
ভুলাইলে যেই রূপ ধরি’।।
হরি বাজায়ো বাঁশরি সেই সাথে,
যে বাঁশি শুনিয়া ধেনু গোঠে যেত উজান বহিত যমুনাতে।
যে নূপুর শুনে ময়ূর নাচিত এসো হে সেই নূপুর পরি।।
নন্দ যশোদা কোলে গোপাল
যে রূপে খেলিতে, ক্ষীর ননী খেতে এসো সেই রূপে ব্রজ দুলাল।
যে পীত বসনে কদম তলায় নাচিতে এসো সে বেশ পরি।।
কংসে বধিলে যে রূপে শ্যাম,
কুরুক্ষেত্রে হলে সারথি এসো সেইরূপে এ ধরাধাম।
যে রূপে গাহিলে গীতা নারায়ণ, এসো সে বিরাট রূপ ধরি।।