আল্লাজী গো আমি বুঝি না রে তোমার খেলা
বাণী
আল্লাজী গো, আমি বুঝি না রে তোমার খেলা। তাই দুঃখ পেলে ভাবি — বুঝি হানিলে হেলা।। কুমার যখন হাঁড়ি গড়ে, কাঁদে মাটি — ভাবে, কেন পোড়ায় আমায় চড়িয়ে ভাটি; ফুলদানি হয় পোড় খেয়ে সেই মাটির ঢেলা।। মা শিশুরে ধোয়ায় মোছায়, শিশু ভাবে — ছাড়া পেলে, মা ফেলে সে পালিয়ে যাবে। মোরা, দোষ করে তাই দুষি তোমায় সারা বেলা।। আমরা তোমার বান্দা, খোদা তুমি জানো — কেন হাসাও, কেন কাঁদাও, আঘাত হানো। যে গড়তে জানে তাঁরই সাজে ভেঙে ফেলা।।
আমি চাই পৃথিবীর ফুল ছায়া
বাণী
ঝর্না : আমি চাই পৃথিবীর ফুল ছায়া ঢাকা ঘরে খেলা। ব্রহ্মপুত্র : আমি চাই দূর আকাশের তারা সাগরে ভাসাতে ভেলা।। ঝর্না : আমি চাই আয়ু, চাই আলো প্রাণ ব্রহ্মপুত্র : মরণের মাঝে মোর অভিযান, উভয়ে : মোরা একটি বৃন্তে যেন দু’টি ফুল প্রেম আর অবহেলা।। ব্রহ্মপুত্র : আমি বাহির ভুবনে ছুটে যেতে চাই উদাসীন সন্ন্যাসী, ঝর্না : হে উদাসীন! তব তপোবনে তাই উর্বশী হয়ে আসি। ব্রহ্মপুত্র : মোর ধ্বংসের মাঝে উল্লাস জাগে ঝর্না : তাই বাঁধি নিতি নব অনুরাগে, উভয়ে : মোরা চিরদিন খেলি এই খেলা, গ’ড়ে তোলা ভেঙে ফেলা।।
নাটক : `হরপার্বতী’ (ঝর্না ও ব্রহ্মপুত্রের দ্বৈত গান)
বাঁশি কে বাজায় বনে আমি চিনি
বাণী
বাঁশি কে বাজায় বনে আমি চিনি আমি চিনি, কলসে কাঁকন চুড়ি তাল দিয়ে কয় গো রিনিঝিনি। আমি চিনি আমি চিনি।। বুঝি গো বন পাপিয়া তারেই দেখে ‘চোখ গেল, চোখ গেল’ বলে উঠে ডেকে। ও বাঁশি বাজলে ‘জলে যাসনে’, (ও বৌ যাস্নে) বলে ‘ননদিনী’ ‘ননদিনী’।আমি চিনি আমি চিনি।। মোর সেই বাঁশুরিয়ায় চেনে পাড়ার পড়শিরা চেনে তায় যায় যমুনায় গো যত প্রেমের গরবীরা। সে যে মোর ঘর জ্বালানো পর ভুলানো আমার কালো বরণ গো, তমালের ডাল দুলানো। মন কয় আমায় নিয়ে গো সেই ত খেলে ছিনিমিনি।।