বাণী

আমারে চরণে দিও ঠাঁই
ও চরণ বিনা, ওহে গিরিধারী! কামনা কিছুই নাই।।
ব্যথিত হৃদয় হতে আকুল মরম বাণী,
থেকে থেকে ভেসে আসে, ফিরে এসো এসো রানী।
ফিরিতে পারি না আর অসীমে মিশিয়া যাই —
তুমি ফিরে যাও সখা আমাতে আর আমি নাই।।

বাণী

বাজ্‌ল কি রে ভোরের সানাই নিদ্‌-মহলার আঁধার-পুরে
শুন্‌ছি আজান গগন-তলে আঁধার-রাতের মিনার-চূড়ে।।
সরাই-খানার্‌ যাত্রীরা কি
‘বন্ধু জাগো’ উঠ্‌ল হাঁকি’?
নীড় ছেড়ে ঐ প্রভাত-পাখি
			গুলিস্তানে চল্‌ল উড়ে’।।
তীর্থ-পথিক্‌ দেশ-বিদেশের
আর্‌ফাতে আজ জুট্‌ল কি ফের,
‘লা শরীক আল্লহু’ মন্ত্রের
			নাম্‌ল কি বান পাহাড় ‘তূরে’।।
আজকে আবার কা’বার পথে
ভিড় জমেছে প্রভাত হ’তে,
নামল কি ফের্ হাজার স্রোতে
			‘হেরার’ জ্যোতি জগৎ জুড়ে।।
আবার ‘খালেদ’ ‘তারেক’ ‘মুসা’
আনল কি খুন-রঙিন ভূষা,
আস্‌ল ছুটে’ হাসীন ঊষা
			নও-বেলালের শিঁরিন সুরে।।

বাণী

পুরুষ	:	আজি মিলন বাসর প্রিয়া হের মধুমাধবী নিশা।
স্ত্রী	:	কত জনম অভিসারে শেষে প্রিয় পেয়েছি তব দিশা।।
পুরুষ	:	সহকার-তরু হের দোলে মালতী লতায় লয়ে বুকে,
স্ত্রী	:	মাধবী কাঁকন পরি' দেওদার তরু দোলে সুখে।
পুরুষ	:	হায় প্রাণ কানায় কানায় আজি পুরে
স্ত্রী	:	প্রাণ কানায় কানায় আজি পুরে
পুরুষ	:	হিয়া আবেশে পুলক মিশা
স্ত্রী	:	হিয়া আবেশ পুলক মিশা।।
পুরুষ	:	শরাব রঙের শাড়ি পরেছে চাঁদনি রাতি
স্ত্রী	:	চাঁদে ও তারাতে আজি মিলনের মাতামাতি
পুরুষ	:	হের জোয়া উতলা সিন্ধু পূর্ণিমা চাঁদের পেয়ে'
স্ত্রী	:	কোন দূর অতীত স্মৃতি মম প্রাণে-মনে ওঠে ছেয়ে।
পুরুষ	:	আজি মিলন-ঘন মেঘলোকে
স্ত্রী	:	আজি মিলন-ঘন মেঘলোকে
পুরুষ	:	প্রিয়া মিটিবে মরু-তৃষা
স্ত্রী	:	প্রিয় মিটিবে মরু-তৃষা।।
দ্বৈত	:	প্রিয় মিটিবে মরু-তৃষা।।

বাণী

কাজরি গাহিয়া এসো গোপ-ললনা।
শ্রাবণ-গগনে দোলে মেঘ-দোলনা।।
পর সবুজ-ঘাগরি চোলি নীল ওড়না,
মাখো অধরে মধুর হাসি, চোখে ছলনা।।
কদম-চন্দ্রহার প’রে এসো চন্দ্রাবলী
তমাল-শাখা-বরণা এসো বিশাখা-শ্যামলী,
বাজায় করতাল দূরে তাল-বনা।।
লাবনি-বিগলিতা এসো সকরুণ ললিতা
যমুনা-কূলে এসো ব্রজবধূ কুল-ভীতা,
অলকে মাখিয়া নব জল-কণা।।

বাণী

অমন করে হাসিস্‌নে আর রাই লো।
তুই পোড়ার মুখে হাসিস্‌নে আর রাই লো।।
ছি ছি রঙ্গ করিস অঙ্গে মেখে কৃষ্ণ কালির ছাই লো।।
বাঁশি হাতে গাছে চড়া, কয়লা-বরণ গয়লা ছোঁড়া সে লো
সেই নাটের গুরু নষ্টের গোড়া তোর প্রেমের গোঁসাই লো।।
ঐ গো-রাখা রাখালের সনে তোর নিন্দা শুনি বৃন্দাবনে রাই লো
ছি ছি কেষ্ট ছাড়া ইষ্ট কি আর ত্রিভুবনে নাই লো।।
ঐ অমাবস্যার কৃষ্ণ-চাঁদে, বাস্‌লি ভালো কোন্ সুবাদে তুই লো
তুই দিন-কানা হয়েছিস রাধে ভাবিয়া কানাই লো।।

বাণী

বলেছিলে তুমি তীর্থে আসিবে আমার তনুর তীরে।
তুমি আসিলে না, (হায়!) আশার সূর্য ডুবিল সাগর-নীরে।।
	চলে যাই যদি, চিরদিন মনে
	তোমার সে-কথা রহিবে স্মরণে
শুধু সেই কথা শোনার লাগিয়া হয়তো আসিব ফিরে।।
শুধু সেই আশে হয়তো এ তনু মরণে হবে না লীন
পথ চেয়ে চেয়ে, তব নাম গেয়ে বাজাব বিরহ-বীণ।
	হের গো, আমার যাবার সময় হলো
	তোমার সে-কথা মিথ্যা হবে না বলো,
কোন শুভক্ষণে নিমেষের তরে জড়াবে কন্ঠ ঘিরে।।