বাণী

আমার আছে এই ক’খানি গান
তা’ দিয়ে কি ভর’বে তোমার প্রাণ।।
		অনেক বেশি তোমার দাবি
		শূন্য হাতে তাইতো ভাবি,
কি দান দিয়ে ভাঙবো তোমার গভীর অভিমান।।
	তুমি চাহ গভীর ব্যাকুলতা
	আমার কাছে বলার দুটি কথা।
		যে বাঁশরি গায় অবিরাম
		প্রিয়তম তোমারি নাম
যাবার বেলায় তোমায় দিলাম সেই বাঁশরি খান।।

বাণী

মোরে মায়ার ডোরে বাঁধিস যদি মা
তোরেই সে ডোর খুলতে হবে।
খুলিয়া মায়া ডোর মুছিবি আঁখি লোর
(আমি) আকুল হয়ে মা কাঁদব যবে।।
ওমা তোর কালী নাম যখনই মনে হয়
মনের কালিমা অমনি হয় লয়,
অভাবে দুঃখে শোকে আমার কিবা ভয়;
আমি যে গর্ব করি তোরই গরবে।।
শত অপরাধ করে দিনের খেলায়
ছুটে আসি তোর কোলে সন্ধ্যাবেলায়;
সংসার পথে মা মাখি যতই ধূলি,
মুছিয়ে রাঙা হাতে কোলে নিবি তুলি।
আমি সেই ভরসাতে মা হাসি খেলি ভবে।।

বাণী

কাঁদিস্‌নে আর কাঁদিস্‌নে মা, আমি মা তোর দুঃখ ঘুচাব।
বসন-ভূষণ দেব এনে মা তোর চোখের জল মুছাব।।
	তুই হবি মা রাজ-জননী
	এনে দেব রত্ন-মণি,
রাজার আসন আন্‌ব ছিনি তোরে সেই আসনে বসাব।।

চলচ্চিত্র : ‘ধ্রুব’ (ধ্রুবের গীত)

বাণী

বৃথা তুই কাহার পরে করিস অভিমান
পাষাণ-প্রতিমা সে যে হৃদয় পাষাণ।।
রূপসীর নয়নে জল নয়ন-শোভার তরে
ও শুধু মেঘের লীলা নভে যে বাদল ঝরে।
চাতকেরই তরে তাহার কাঁদে না পরান।।
প্রণয়ের স্বপন-মায়া,ধরিতে মিলায় কায়া
গো-ধূলির রঙের খেলা ক্ষণে অবসান।।

বাণী

ছাড়িয়া যেও না আর।
বিরহের তরী মিলনের ঘাটে লাগিল যদি আবার।।
	কত সে-বিফল জনমের পর
	পথ-চাওয়া মোর ফিরে এলে ঘর,
এলো শুভ দিন, কাটিল অসহ রাতের অন্ধকার।।
দেবতা গো ফিরে চাও,
মোর বেদনার তপস্যা-শেষ, মিলনের বর দাও।
	ল’য়ে জীবনের সঞ্চিত ব্যথা
	তোমার চরণে হলাম প্রণতা,
লহ পূজা মোর নয়নের লোর শীর্ণা তনুর হার।।

বাণী

তরুণ অশান্ত কে বিরহী।
নিবিড় তমসায় ঘন ঘোর বরষায় —
দ্বারে হানিছ কর রহি রহি।।
ছিন্ন পাখা কাঁদে মেঘ-বলাকা
কাঁদে ঘোর অরণ্য আহত-শাখা
	চোখে আশা-বিদ্যুৎ
	এলে কোন মেঘদূত,
বিধূর বঁধূর মোর বারতা বহি’।।