ক্ষীণ তনু যৌবন ভার বইতে নারি
বাণী
ক্ষীণ তনু যৌবন ভার বইতে নারি ধীরে চল গোরী ধীরে ধীরে টলে চিকন কাঁখে ভরা গাগরি ভরে তায় ঘাঘরি। দেহ টুটে না যায় যেন নাগরি নীল চোলি ভিজিয়া না যায় নীরে।। কঠিন ধরা হানে বেদনা কোমল পায়ে মুছায়ে দিব ব্যথা ব’স এ বকুল ছায়ে ‘না’বলি মুচকিয়া হেসো না ফিরে ফিরে।। দাঁড়ায়ে কত পথিক বহিতে সই ভার তব যদি চাহ গো সখি ভার তব আমি লব দাও আমারে ঠাঁই, তব ঐ তনুর তীরে।।
উঠেছে কি চাঁদ সাঁঝ গগনে
বাণী
উঠেছে কি চাঁদ সাঁঝ গগনে আজিকে আমার বিদায় লগনে।। জানালা পাশে চাঁপার শাখে ‘বউ কথা কও’ পাখি কি ডাকে? ফুটেছে কি ফুল মালতী বকুল — আমার সাধের কুসুম বনে সাঁঝ গগনে।। তুলসী তলায় জ্বলেছে কি দীপ পরেছে আকাশ তারকার টিপ? হারিয়ে যাওয়া বঁধূ অবেলায় এলো কি ফিরে দেখিতে আমায়, ঝুরিছে বাঁশি পিলু বারোয়াঁয় — কেন গো আমার যাবার ক্ষণে।।
ছেড়ে দাও মোরে আর হাত ধরিও না
বাণী
ছেড়ে দাও মোরে আর হাত ধরিও না প্রেম যারে দিতে পারিলে না তারে আর কৃপা করিও না।। আমি করুনা চাহিনি কভু কারো কাছে বহু লোক পারে, তব কৃপা যারা যাচে যারে হৃদয়ে দিলে না ঠাঁই তার তরে কাদিঁও আখিঁজল ঝুরিও না।। ভুল করেছিনু যেথা শুধু বিষ অসুন্দরের ভিড়, সেই পৃথিবীতে কেঁদেছি খুজিঁয়া প্রেম-যমুনার তীর। যার তরণী ভাসিল বিরহের পারাবারে পিছু ডেকে আর ফিরাতে চেয়ো না তারে আমারে পাষাণ-বিগ্রহ ক'রে আর মালা পরিও না।।
গভীর ঘুম ঘোরে স্বপনে শ্যাম-কিশোরে
বাণী
গভীর ঘুম ঘোরে স্বপনে শ্যাম-কিশোরে হেরে’ প্রেমময়ী রাধা। রাধারে ত্যজিয়া আঁধার নিশীথে চন্দ্রার সাথে বাঁধা।(শ্যাম-চাঁদ) যেন চাঁদের বুকে কলঙ্ক গো নির্মল শ্যাম-চাঁদের বুকে চন্দ্রা যেন কলঙ্ক গো।। অরুণ নয়ানে মলিন বয়ানে জাগিল অভিমানিনী (ভাবে) রাধার হৃদয় আধার যাহার সে কেন ভজে কামিনী। শ্রীরাধার মান ভয়হীন, তাই শ্রীরাধা অভিমানিনী, পরমশুদ্ধ প্রেম শ্রীরাধার, নির্ভয় অভিমানিনী।। কৃষ্ণকেও সে ভয় করে না, নির্ভয় অভিমানিনী রাধা বুঝতে নারে গো চির-সরল অমৃতময় গরল কেন হয় বুঝতে নারে গো কাঁপে থরথর সারা কলেবর, ভাবে রাধা একি বিপরীত। প্রেম ভিক্ষু কহে, বুঝি বুঝিবার নহে চঞ্চল শ্যামের রীত।। বোঝা যে যায় না চঞ্চল শ্যামের রীত অবুঝ মনের বোঝা যায় না তাতে তবু কখন সে রাধার, কখন সে চন্দ্রার।।
গীতিচিত্র: ‘অভিমানিনী’