আমি মুক্তা নিতে আসিনি মা
বাণী
(মা) আমি, মুক্তা নিতে আসিনি মা ও মা তোর মুক্তি-সাগর কূলে। মোর ভিক্ষা-ঝুলি হ’তে মায়ার মুক্তা মানিক নে মা তুলে।। মা তুই, সবই জানিস অন্তর্যামী, সেই চরণ-প্রসাদ ভিক্ষু আমি, শবেরও হয় শিবত্ব লাভ মা তোর যে চরণ ছুঁলে।। তুই অর্থ দিয়ে কেন ভুলাস এই পরমার্থ ভিখারিরে, তোর প্রসাদী ফুল পাই যদি মা গঙ্গা ধারাও চাই না শিরে। তোর শক্তিমন্ত্রে শক্তিময়ী আমি হতে পারি ব্রহ্ম-জয়ী সেই মাতৃনামের মহাভিক্ষু তোর মায়াতেও নাহি ভুলে।।
আমার ঘরের পাশ দিয়ে সে
বাণী
আমার ঘরের পাশ দিয়ে সে চলতো নিতুই সকাল-সাঁঝে। আর এ পথে চলবে না সে, সেই ব্যথা হায় বক্ষে বাজে।। আমার দ্বারের কাছটিতে তার ফুটতো লালী গালের টোলে, টলতো চরণ, চাউনি বিবশ, কাঁপতো নয়ন-পাতার কোলে — কুঁড়ি যেমন খোলে গো! কেউ কখনো কইনি কথা, কেবল নিবিড় নীরবতা সুর বাজাতো অনাহতা গোপন মরম-বীণার মাঝে।। মূক পথের আজ বুক ফেটে যায় স্মরি’ তারি পায়ের পরশ বুক-খসা তার আঁচর-চুমু, রঙিন ধুলো পাংশু হ’ল, ঘাস শুকোলো যেচে’ বাচাল যোড়-পায়েলার রুমু-ঝুমু। আজো আমার কাটবে গো দিন রোজই যেমন কাটতো বেলা, একলা ব’সে শূন্য ঘরে — তেমনি ঘাটে ভাসবে ভেলা — অবহেলা হেলা-ফেলায় গো! শুধু সে আর তেমন ক’রে মন র’বে না নেশায় ভ’রে আসার আশায় সে কার তরে সজাগ হ’য়ে সকল কাজে। ডুকরে কাঁদে মন-কপোতী ‘কোথায় সাথির কূজন বাজে? সে-পার ভাষা কোথায় রাজে।।
বকুল ছায়ে ছিনু ঘুমায়ে গোপন পায়ে
বাণী
বকুল ছায়ে ছিনু ঘুমায়ে গোপন পায়ে আসিলে তুমি। রাতের শেষে ভোরের মতন ভাঙিলে স্বপন নয়ন চুমি’॥ ফুলের বুকে মধুর সম আসিলে তুমি আামার প্রাণে মরুর বুকে উঠিল ফুটে রঙিন কুসুম বেদন ভুলি’॥ জাগিয়া হেরি পরান ভরি উঠিতেছে ঢেউ এ কি এ ব্যথার বেদনা যত মধুও তত হিয়াতে শরম নয়নে আশার। অকালে ফাগুন আগুন শিখায় রাঙিল মনের কানন-ভূমি॥
ঘরে কে গো বলি ঘরে কে
বাণী
[সংলাপঃ পুরুষ: ঘরে কে গো? (দরজায় টোকার শব্দ) বলি ঘরে কে? (আবার টোকার শব্দ) শালাজ নাকি — ও হো-হো-হো-হো ...] পুরুষ : ঘরে কে গো? বলি ঘরে কে, শালাজ নাকি? এ যে মোর গোয়ালের গাই। স্ত্রী : ও ছোট ঠাকুর ঝি, ওলো আয় আয়, দেখে যা এসেছে নন্দাই। এ যে মোর ননদের ভাই। পুরুষ : দেখ, রাত্রি জেগে গুনব কত চালের কড়ি কাঠ স্ত্রী : তাইতো, আগে হয়নি সারা আমার ঘর কন্নার পাট। পুরুষ : তোমার কাজের মাথায় মারো লাঠি স্ত্রী : আমি নিয়ে শীতল পাটি মাস-শাশুড়ির পা টিপিতে যাই। পুরুষ : ওগো শুনছো! শোনো শোনো শোনো না — সত্যি সত্যি চললে, নতুনতর ঝুমকোর এক নমুনা এনেছি (আমি)। স্ত্রী : অ্যা, তাই নাকি! পুরুষ : হ্যা — গো — হ্যা। স্ত্রী : কাল চাল ডাল বাছবো, চল এই আমি আসিতেছি ওগো এই আমি আসিতেছি পুরুষ : না না, ও তোমায় পা টিপিতে বলেছিলেন কি ভাবিবেন মাসি স্ত্রী : আমার গা করছে বমি বমি তাকে বলে আসি। পুরুষ : এমন শ্যাকরার মত বিন্দে দূতি কলিকালের বৃন্দাবনে নাই॥ বেঁচে থাক বাবা শ্যাকরার পো হুল্লোড় ঘটালে তবে ছাড়লে॥