বাণী

শহীদী ঈদগাহে দেখ্‌ আজ জমায়েত ভারি।
হবে দুনিয়াতে আবার ইসলামী ফর্‌মান জারি।।
তুরান ইরান হেজাজ মেসের হিন্দ মোরক্কো ইরাক,
হাতে হাত মিলিয়ে আজ দাঁড়ায়েছে সারি সারি।।
ছিল বেহোঁশ যারা আঁসু ও আফসোস ল’য়ে।
তুইও আয় এই জমাতে ভুলে যা’ দুনিয়াদারী।।
ছিল জিন্দানে যারা আজকে তারা জিন্দা হ’য়ে,
ছোটে ময়দানে দারাজ-দিল্‌ আজি শমশের ল’য়ে।
তকদির বদলেছে আজ উঠেছে তকবির তারি।।

বাণী

শ্রীকৃষ্ণ নাম মোর জপ-মলা নিশিদিন শ্রীকৃষ্ণ নাম মোর ধ্যান।
শ্রীকৃষ্ণ বসন শ্রীকৃষ্ণ ভূষণ ধরম করম মোর জ্ঞান।।
শয়নে স্বপনে ঘুমে জাগরণে বিজড়িত শ্রীকৃষ্ণ নাম (মোর)
কৃষ্ণ আত্মা মম কৃষ্ণ প্রিয়তম ওই নাম দেহ মন প্রাণ।।
কৃষ্ণ নয়ন-ধার কৃষ্ণ গলার হার এ হৃদয় তাঁরি ব্রজধাম
ঐ নাম-কলঙ্ক ললাটে আঁকিয়া গো ত্যাজিয়াছি লাজ কুল মান।।

বাণী

প্রিয়তম, এত প্রেম দিও না গো সহিতে পারি না আর
তটিনীর বুকে ঝাঁপায়ে পড়িলে কেন মহা- পারাবার।।
	তোমার প্রেমের বন্যায় বঁধু, হায়!
	দুই কুল মোর ভাঙিয়া ভাসিয়া যায়;
আমি নিজেরে হারাতে চাহিনি, বন্ধু; দিতে চেয়েছিনু হার।।
তুমি চাহ বুঝি তুমি ছাড়া আর রহিবে না মোর কেউ,
তাই কি পরানে তুফান তোলে গো এত রোদনের ঢেউ।
	দেহ ও মনের সীমা ছাড়াইয়া মোরে
	কোথায় নিয়ে যেতে চাও মোর হাত ধরে
বলো কোন মধু বনে শেষ হবে বঁধু আমাদের অভিসার।।

বাণী

ব্রজগোপাল শ্যাম সুন্দর
যশোদা দুলাল শিশু নটবর॥
নন্দ নন্দন নয়নানন্দ
চরণে মধুর সৃজন ছন্দ
ভুবন মোহন কৃষ্ণচন্দ্র
অপরূপ রূপ হেরে চরাচর॥
কোটি গ্রহতারা চরণে নূপুর
ওঙ্কার ধ্বনি বাঁশরির সুর।
বঙ্কিম আঁখি বাঁকা শিখীপাখা
বাঁকা শ্রীচরণ ভঙ্গিমা বাঁকা
কৃষ্ণময় শ্রীঅঙ্গ ডাকা
করাল মধুর প্রভু গিরিধর॥

বাণী

ব্যথার আগুনে হৃদয় আমার
		জ্বলিছে দিবস রাতি গো।
কাঁদিতে আসিলে এ তনু শ্মশানে
		কে তুমি ব্যথার ব্যথী গো॥
মুছিয়া গিয়াছে চন্দনের লেখা
খুলে শুকাইয়া গিয়াছে মন্দারের মালা
নিভেছে আশা দীপ আজি অবেলায়
		কে তুমি রাতের সাথি গো॥

বাণী

ঝর্‌ল যে-ফুল ফোটার আগেই তারি তরে কাঁদি, হায়!
মুকুলে যার মুখের হাসি চোখের জলে নিভে যায়।।
হায় যে-বুলবুল গুল্‌বাগিচায় গোলাপ কুঁড়ির গাইত গান,
আকুল ঝড়ে আজ সে প'ড়ে পথের ধূলায় মূরছায়।।
সুখ-নদীর উপকূলে বাঁধিল যে সোনার ঘর,
আজ কাঁদে সে গৃহ-হারা বালুচরে নিরাশায়।।
যাবার যারা, যায় না তারা — থাকে কাঁটা, ঝরে ফুল।
শুকায় নদী মরুর বুকে, প্রভাত আলো মেঘে ছায়।।