যাদের তরে এ সংসারে খাটনু জনম ভর
বাণী
যাদের তরে এ সংসারে খাটনু জনম ভর, তাদের কেউ হবে না হে নাথ মরণ-সাথি মোর।। শত পাপ শত অধর্ম ক’রে বিভব রতন আনলেম ঘরে সে সকল ভাগ বাটোয়ারা ক’রে খাবে পাঁচ ভুত চোর।। জীবনে তোমার লই নাই নাম তোমাতে হয় নাই মতি মরণ-বেলায় তাই কাঁদি প্রভু কি হবে মোর গতি। চেয়ে দেখি আজ যাবার বেলায় কর্ম কেবল মোর সাথে যায় তরিবার আর না দেখি উপায় বিনা পদতরী তোর।।
হিন্দু-মুসলমান দুটি ভাই ভারতের
বাণী
হিন্দু-মুসলমান দুটি ভাই ভারতের দুই আঁখি-তারা। এক বাগানে দুটি তরু — দেবদারু আর কদমচারা।। যেন গঙ্গা সিন্ধু নদী যায় গো ব’য়ে নিরবধি, এক হিমালয় হতে আসে, এক সাগরে হয় গো হারা।। বুলবুল আর কোকিল পাখি এক কাননে যায় গো ডাকি’, ভাগীরথী যমুনা বয় মায়ের চোখের যুগল-ধারা।। পেটে-ধরা ছেলের চেয়েও চোখে ধরার মায়া বেশি, অতীতে ছিল অতিথি, আজ সে সখা প্রতিবেশী। ফুল পাতিয়ে গোলাপ বেলি এক সে-মায়ের বুকে খেলি, পাগল তারা — ভিন্ন ভাবে আল্লা ভগবানে যারা।।
কাঁদিতে এসেছি আপনার ল’য়ে
বাণী
কাঁদিতে এসেছি আপনার ল’য়ে কাঁদাতে আসিনি হে প্রিয়, তোমারে। এ মম আঁখি-জল১ আমরি নয়নের২, ঝরিবে না এ জল তোমার দুয়ারে।। ভালো যদি বাসি একাকী বাসিব বিরহ-পাথারে একাকী ভাসিব, কভু যদি ভুলে আসি তব কূলে, চমকি’ চলিয়া যাব দূর পারে।। কাঁটার বনে মোর ক্ষণেকের তরে ফুটেছে রাঙা ফুল শুধু লীলা-ভরে, মালা হয়ে কবে৩ দুলিবে গলে কা’র। জাগিব একাকী ল’য়ে স্মৃতি কাঁটার কেহ জানিবে না, শুকাল কে কোথা কা’র ফুলে কা’রে সাজালে দেবতা, নিশীথ-অশ্রু মোর ঝরিবে বিরলে তব সুখ-দিনে হসির মাঝারে।।
১. মম আঁখি-বারি, ২. থাকুক আমারি, ৩. গলে
আমায় নহে গো ভালবাস শুধু
বাণী
আমায় নহে গো – ভালবাস শুধু ভালবাস মোর গান। বনের পাখিরে কে চিনে রাখে গান হ’লে অবসান।। চাঁদেরে কে চায় – জোছনা সবাই যাচে, গীত শেষে বীণা প’ড়ে থাকে ধূলি মাঝে; তুমি বুঝিবে না বুঝিবে না — আলো দিতে পোড়ে কত প্রদীপের প্রাণ।। যে কাঁটা-লতার আঁখি-জল, হায়, ফুল হ’য়ে ওঠে ফুটে — ফুল নিয়ে তায় দিয়েছ কি কিছু শূন্য পত্র-পুটে! সবাই তৃষ্ণা মিটায় নদীর জলে, কী তৃষা জাগে সে নদীর হিয়া-তলে — বেদনার মহাসাগরের কাছে কর সন্ধান।।