বাণী

পুরুষ	:	কোথায় গেলে পেঁচা-মুখি একবার এসে খ্যাচ-খ্যাচাও
স্ত্রী	:	বলি, গাই-হারা বাছুরের মতন গোয়াল থেকে কে চ্যাঁচাও॥
পুরুষ	:	(বলি ও শাকচুন্নি, আহাহাহা)
		অমন শ্যাওড়া বৃক্ষ ফেলে, আমার ঘাড়ে কেন এলে গো, ও হো হো
স্ত্রী	:	(বলি ও কালিয়া পেরেত)
		তুমি উনুন-মুখো দেবতা যে তাই
		ছাই-পাঁশের নৈবিদ্যি পাও।
পুরুষ	:	(মরি অরি অরি অরি মরি, কি যে রূপের ছিরি, আহাহাহাহা)
		চন্দ্র-বদন ন্যাপা পোছা
		কুত্‌কুতে চোখ নাকটি বোঁচা গো, ও হো হো
স্ত্রী	:	(বলি ও বেরসো কাট, বলি ও কেলো হুলো)
		তুমি কাঁদলে চোখে কালি বোরোয় কয়লার ডিপোয় লজ্জা দাও
		তুমি কয়লার ডিপোয় লজ্জা দাও।
পুরুষ	:	বলি ও জুজুবুড়ি
স্ত্রী	:	বলি ও ঝাঁকাভূঁড়ি
পুরুষ	:	ও বাবা জুজু
স্ত্রী	:	ও বাবা ঝাঁকা
পুরুষ	:	আহা, চাম্‌চিকে ওই ডানা কাটা
স্ত্রী	:	তুমি যেন পূজোর পাঁঠা
পুরুষ	:	আহা, হার মেনে যায় হাঁড়ি চাঁছা প্রিয়ে যখন খ্যাচ-খ্যাচাও।
স্ত্রী	:	(আ-মরি মরি, কি যে বচন সুধা)
		পিঁপড়ে ধরবে ও প্রাণনাথ তুমি, শিগ্‌গির মুখে ফিনাল দাও॥

বাণী

	বরষা ঋতু এলো এলো বিজয়ীর সাজে
বাজে	গুরু গুরু আনন্দ ডম্বরু অম্বর মাঝে।।
বাঁকা	বিদ্যুৎ তরবারি ঘন ঘন চমকায়
	হানে তীর বৃষ্টি অবিরল ধারায়
শুনি’	রথ-চক্রের ধ্বনি অশনির রোলে
			সিন্ধু তরঙ্গে মঞ্জির বাজে।।
	ভীত বন-উপবন লুটায়ে লুটায়ে
	প্রণতি জানায় সেই বিজয়ীর পায়ে।
তার	অশান্ত গতিবেগ শুনি’ পুব হাওয়াতে
	চলে মেঘ-কুঞ্জর-সেনা তারি সাথে
	তূণীর কেতকীর জল-ধনু হাতে
	চঞ্চল দুরন্ত গগনে বিরাজে।।

বাণী

	নিরুদ্দেশের পথে আমি হারিয়ে যাদি যাই
	নিত্য নূতন রূপে আবার আসবো এই হেথাই।।
	চাঁদনী রাতের বাতায়নে, রইবে চেয়ে উদাস মনে
	বলবো আমি হারাইনি গো, নাই ভাবনা নাই
	আকাশ থেকে তারার চোখে তোমার পানে চাই।।
তুমি	আকুল হয়ে ফিরবে কেঁদে যে বনপথ বেয়ে'
	ঝরা মুকুল হয়ে আমি সে পথ দেব ছেয়ে।
‌	তোমায়ভালোবেসে সাধ মেটেনি স্বামী
	মরেও মরতে পারব না তাই আমি
	দূরে গিয়ে দেখবো তোমায় কাছে যদি পাই।।

বাণী

তোমারেই আমি চাহিয়াছি প্রিয় শতরূপে শতবার।
জনমে জনমে চলে তাই মোর অনন্ত অভিসার।।
		বনে তুমি যবে ছিলে বনফুল
		গেয়েছিনু গান আমি বুল্‌বুল্‌,
ছিলাম তোমার পূজার থালায় চন্দন ফুলহার।।
তব সংগীতে আমি ছিনু সুর নৃত্যে নূপুর–ছন্দ,
আমি ছিনু তব অমরাবতীতে পারিজাত ফুল–গন্ধ।
		কত বসন্তে কত বরষায়
		খুঁজেছি তোমায় তারায় তারায়,
আজিও এসেছি তেমনি আশায় ল’য়ে স্মৃতি–সম্ভার।।

বাণী

ওগো	আমিনা তোমার দুলালে আনিয়া আমি ভয়ে ভয়ে মরি
	এ নহে মানুষ বুঝি ফেরেশ্‌তা আসিয়াছে রূপ ধরি’॥
		সে নিশীথে যখন বক্ষে ঘুমায়
		চাঁদ এসে তারে চুমু খেয়ে যায়
	দিনে যবে মেষ চারণে সে যায় মেঘ চলে ছায়া করি’,
	সাথে সাথে তার মেঘ চলে ছায়া করি’॥
	মনে হয় যেন লুকাইয়া রাতে তোমার শিশুর পায়
	কত ফেরেশ্‌তা হুর-পরী এসে সালাম করিয়া যায়॥
		সে চলে যায় যবে মরুর উপরে
		বস্‌রা গোলাপ ফোটে থরে থরে
	তার চরণ ঘিরিয়া কাঁদে ফুলবনে অলিকুল গুঞ্জরি’॥

বাণী

আমিনা-দুলাল নাচে হালিমার কোলে
তালে তালে সোনার বুকে সোনার তাবিজ দোলে।।
সে কাঁদিলে মুক্তা ঝরে হাসলে ঝরে মানিক
	ঈদের চাঁদে লেগে আছে সেই খুশির খানিক।
তাঁর কচি মুখে খোদার কালাম আধো আধো বলে।।
	দেখেছিল লুকিয়ে সে নাচ কোটি গ্রহতারা
	আসমানে তাই ঘোরে তারা আজো দিশাহারা
সেদিন নেচেছিল বিশ্বভুবন ইয়া মোহাম্মদ ব’লে।।
	কোরানের আয়াতে লেখা সেই নাচেরই ছন্দ
	তকবীরের ধ্বনিতে বাজে তাহারি আনন্দ
আমি থাকলে সেদিন হতাম ধূলি তাঁহার পায়ের তলে।।