বাণী

কেঁদে যায় দখিন-হাওয়া ফিরে ফুল-বনের গলি।
‘ফিরে যাও চপল পথিক’, দু’লে কয় কুসুম-কলি।
		দু’লে কয় কুসুম-কলি॥
ফেলিছে সমীর দীরঘ শ্বাস —  
আসিবে না আর এ মধুমাস,
কহে ফুল, ‘জনম জনম এমনি গিয়াছ ছলি’।
		জনম জনম গিয়াছ ছলি’॥
কাঁদে বায়, ‘নিদাঘ আসে
আমি যাই সুদূর বাসে’,
ফুটে ফুল হাসিয়া ভাসে, ‘প্রিয়তম যেয়োনা চলি’।
		ওগো প্রিয়তম যেয়োনা চলি’॥

বাণী

কে এলো।
ডাকে চোখ গেল।।
ওলো ও-ডাকে কি ও
ঘুমের সতিনী ও,
ও যে চোখের বালি
ঘুম ভাঙায় খালি।।
সখি আঁখি মেল —
মেল আঁখি মেল।।

বাণী

কেন গো যোগিনী! বিধুর অভিমানে।
যৌবনে মগন গভীর ধ্যানে।।
হের গো কুসুম ঝরিয়া পায়ে,
চাহিয়া রহে ধরণীর পানে।।

বাণী

কে বলে মোর মাকে কালো, মা যে আমার জ্যোতির্মতী।
কোটি চন্দ্র সূর্য তারা নিত্য করে যার আরতি।।
	কালো রূপের মায়া দিয়ে
	মহামায়া রয় লুকিয়ে,
মায়ের শুভ্ররূপ দেখেছে শুভ্র শুচি যার ভকতি।।
যোগীন্দ্র যাঁর চরণ-তলে ধ্যান করে রে যাঁর মহিমা,
দু’টি নয়ন-প্রদীপ জ্বেলে খুঁজি সেই অসীমার সীমা।
	সাজিয়ে কালী গৌরী মাকে
	পূজা করি তমসাকে,
মায়ের শুভ্ররূপ দেখেছে শুভ্র শুচি যার ভকতি।।

বাণী

		কে নিবি মালিকা এ মধু যামিনী,
		আয় লো যুবতী কুল কামিনী॥
আমার		বেল ফুলের মালা গুণ জানে গো,
		পরবাসী বঁধুকে ঘরে আনে গো।
আমার		মালার মায়ায় ভালোবাসা পায়
কেঁদে		কাটায় রাতি যে অভিমানিনী॥
আমি		রূপের দেশের মায়া পরী,
(সেই)		আমার মালার গুণে কুরূপা যে সে হয় সুন্দরী।
যে		চঞ্চলে অঞ্চলে বাঁধিতে চায়,
যার		নিঠুর বঁধু সদা পালিয়ে বেড়ায়।
আমার		মালার মোহে ঘরে রহে সে
ফোটে		মলিন মুখে হাসির সৌদামিনী॥

বাণী

কোন্‌ দূরে ও-কে যায় চ’লে যায়, সে ফিরে ফিরে চায় করুণ চোখে।
তার	স্মৃতি মেশা হায়, চেনা-অচেনায় তারে দেখেছি কোথায়
					যেন সে-কোন্ লোকে।।
শুনি	স্বপ্নে তারি যেন বাঁশি মন-উদাসী
তারি	বার্তা আসে নব মধু-মাসে, পলাশ আশোকে।।
	কৃষ্ণচূড়া তার মালা লুটায় — চৈত্র-শেষে বনের ধূলায়
	কান্না-বিধুর তার ভৈরবী সুর প্রভাতী তারায় অশ্রু ঘনায়,
					চির-বিরহী চিনি ওকে।।